somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার প্রিয় কিছু ভিন্নস্বাদের ম্যুভি (লিঙ্ক সহ) - ১

০৩ রা জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এর আগের পোষ্ট গুলোতে আমার প্রিয় কিছু নন হলিউডি ম্যুভির কথা আলোচনা করেছিলাম। এবারের পোষ্ট কিছু ভিন্নধর্মী হলিউডি ও নন-হলিউডি ম্যুভি নিয়ে কথা বলব।


১। ম্যালকম এক্স (১৯৯২): ম্যালকম এক্স বা এল হাজ মালিক এল শাবাজ ছিলেন মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ মানবাধিকার কর্মী ও আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের সংগঠন নেশন অফ ইসলামের শীর্ষস্থানীয় নেতা। মার্টিন লুথার কিং বা নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে তার নামঅ আজ সমস্বরে উচ্চারিত হত যদি তিনি আর কিছুটা দিন বেঁচে থাকতেন, বা তাকে যদি বাঁচতে দেয়া হত। প্রথম আধঘন্টা দেখার পর ম্যুভিটা বিশেষ কিছু মনে হয়নি আমার কাছে, কিন্তু এর পরে রদ্ধশ্বাসে শুধু চেয়েছিলাম স্ক্রিনের দিকে। একজন ছিচকে চোর, ড্রাগডিলার থেকে কিভাবে একটি যুবক তার গন্তব্য বুঝতে পারে ও একটি জাতিকে নেতৃত্ব দেয়ার গুণাবলী অর্জন করে, সেটা তাকে না দেখলে বলে বুঝানো মুশকিল। তাকে শুধু আমার এক নেতাই মনে হয়নি, তাকে মনে হয়েছে নতুন যুগের সুচনার এক অগ্রগামী পুরুষ হিসেবে, আর ম্যালকম এক্স এর ভূমিকায় ড্যানজেল ওয়াশিংটনের মন ভূলানো অভিনয়ের কথাও কখনোই ভোলার মতন নয়। শেষে এক অন্তঃকোন্দলে তাকে বুলেট বিদ্ধ করে জনসম্মুখে তাকে হত্যা করা হয়, ধারনা করা হয় তার মৃত্যুর পেছানে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সি.আই.এ-র হাত রয়েছে। ৯০% পজিটিভ রিভিউ সহ এই আত্মজীবনী মূলক ম্যুভি লরেন্স অফ এরাবিয়া বা গান্ধির সমকাতারে উচ্চারিত হয়। তার লেখা একটা কবিতার উধৃতি দিচ্ছিঃ

When I was born, I was black.
When I grow up, I'm black.
When I'm ill, I'm black.
When I go out in the sun, I'm black.
When I'm cold, I'm black.
When I die, I'm black.

But you -

When you're born, you're pink.
When you grow up, you're white.
When you're ill, you're green.
When you go out in the sun, you go red.
When you're cold, you go blue.
When you die, you're purple.

And you have the nerve to call me coloured?


টরেন্ট লিঙ্ক
ইউটিউব লিঙ্ক


২। কুন্দুন (১৯৯৭): তিব্বতে র নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা দালাই-লামাকে ঘিরে যতগুলো ম্যুভি হয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে ভালো লেগেছে এই ম্যুভিটি, কুন্দুন। চায়নায় নিষিদ্ধ এই ম্যুভিটিতে ১৪-তম দালাই-লামার জীবন কাহিনীর আবর্তন দেখানো হয়েছে সুচারুরূপে। তার ছোটবেলা থেকে গড়ে ওঠা, আশ্রমের নিষ্কলুষ অহিংস পরিবেশ, লামাকে কখনও ভাবায়নি যে তাকে এত বড় একটা প্রতিকূল পরিস্থিতি-তে পড়তে হবে। যৌবনে উপনিত হবার পরপর-ই পার্শ্ববর্তী কম্যুনিস্ট চায়না থেকে সৈন্যরা এসে যখন স্বাধীন তিব্বত দখল করে নিলো, তখনও তিনি বুঝে উঠতে পারেননি তার কি করা উচিৎ। শেষে ভারতে আশ্রয় নেয়ার মধ্য দিয়ে ম্যুভিটির পরিসমাপ্তি ঘটে।
টরেন্ট লিঙ্ক


বাইসেন্টেনিয়্যাল ম্যান (১৯৯৯) : আইজ্যাক অ্যাসিমভের 'দ্যা পজিট্রনিক ম্যান' গল্পটির নাম শুনেছেন? 'বাইসেন্টেনিয়্যাল ম্যান' ম্যুভিটি এর ছায়াতেই নির্মিত হয়েছে যার প্রধান চরিত্রে আছে রবিন উইলিয়ামস।
এন্ড্রু (রবিন উইলিয়ামস ) একটি এন্ড্রয়েড রবোট ২০০৫ সাল থেকে একটি বসত-বাড়িতে কাজ শুরু করে। ক্রমে ক্রমে সে বাড়ির একজন সদস্য রূপেই গণ্য হতে শুরু করে। ম্যুভিটিতে একটি রবোটের মানবিক আকাংক্ষা-বুদ্ধিমত্তা, স্বাধিনতা, যৌনতা, প্রেম আবেগ ও মৃত্যু সবগুলো দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নিজেকে শাররিক ভাবে পরিবর্তন করতে করতে শেষ পর্যন্ত মানুষ হিসেবে স্বীকৃতির দাবীদার হয় এন্ড্রু আর সবই তার 'লিটল মিস' ও তার মেয়ের ভালোবাসার প্রতিদান।
টরেন্ট ডাউনলোড


৪। আইজ ওয়াইড শাট (১৯৯৯): স্ট্যানলি কুবরিকের ম্যুভির ধরন ও ঢং এর সাথে পাঠকদের আমার আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই। আর সাথে যদি থাকে অভিনেতা/অভিনেত্রী হিসেবে টম ক্রুজনিকোল কিডম্যান , তাহলে তো সোনায় সোহাগা। এক রাতের একটা পার্টিতে কিছু বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র ঘটনা থেকে মোড় নেয় ভয়ঙ্কর কিছু ঘটনা আর সুখের সংসারে সন্দেহের তীব্র বিষ ছড়িয়ে পড়ে দুজনেরই মাঝে।
টরেন্ট লিঙ্ক


৫। গুড উইল হান্টিং (১৯৯৭): হলিউডি ম্যুভিগুলোর মাঝে আমার পছন্দের ম্যুভি গুলোর বেশীরভাগ-ই মিরাম্যাক্স বন্টন করে, এটাও তার ব্যাতিক্রম নয়। ম্যাট ডেমন আর বেন এফ্লেক সহ আরও কিছু বন্ধু এম.আই.টি র আশ-পাশে থাকে, এর মাঝে ম্যাট ডেমন একটু অন্যরকম আর পার্ট টাইম চাকুরী করে এম.আই.টি-তে। আনুষ্ঠানিক ডিগ্রী কম হলেও প্রতিটি বিষয়ে তুখোড় জ্ঞান তার। স্কার্সগার্ড এম.আই.টি-র গণিতের অধ্যাপক ও গণিতের জাদুকর বলা যায় তাকে। তিনি ম্যাট ডেমনের গণিতে অসাধারন প্রতিভা আবিস্কার করে তা নিজের কাজে ব্যাবহার করার চেষ্টা করেন, এর মাঝে নার্ভাস ব্রেক -ডাউনের জন্য থেরাপিস্ট রবিন উইলিয়ামসের সাথে দেখা হয় ম্যাট ডেমনের, মাঝে এক বান্ধবীও জুটে যায় তার। ঘটনা এভাবে চলতে থাকে, মাঝে অনেক সুযোগ পেলেও, এক পর্যায়ে সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে তার বান্ধবীর কাছে চলে যায় ম্যাট ডেমন। সব মিলিয়ে ভালো লাগবে ছবিটি আশা করি।
টরেন্ট লিঙ্ক

আজ তাহলে এপর্যন্ত-ই থাক ... আগামীতে আরও কিছু ম্যুভি নিয়ে কথা হবে ... ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৫৩
১৩টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×