somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপেক্ষিক তত্ত্বের কিছু অজানা কথা -২

০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পূর্বকথাঃ সম্প্রতি ইজরায়েলের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনস্টাইনের কিছু গোপন চিঠি প্রকাশিত হয় প্রায় শত বর্ষ পরে, তার সাথে সাথেই সেই পুরোনো প্রশ্নগুলো আবার উঠতে শুরু করে যা এত বৎসরের জন্য ধামাচাপা ছিলো, আর তা হল, আপেক্ষিক তত্ত্বে অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের অবদানের সঠিক মুল্যায়ন কতটুকু? এখন আপনাদের যা শোনাব তা আগের পোষ্টটি থেকেও চমকপ্রদ। জানিনা, হয়তো এর পর থেকে আপেক্ষিকতা নামটি শুনলেই মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ছবিটি মানসপটে ভেষে উঠবে কিনা! আরেকটি কথা- সাধারন আপেক্ষিকতাবাদে ১৯১৫ সালের ১৫ই আর ২৫শে নভেম্বর বিশেষ দুটি দিন। এব্যপারেও বিস্তারিত বলব।
প্রথম পর্ব

প্রথমেই আপেক্ষিকতার সাধারন তত্ত্বকে অসাধারন সহজ উপায়ে বুঝানোর চেষ্টা করে দেখি : আমরা ছোটবেলা থেকেই পড়ে এসেছি, আলো সরল রেখায় চলে, তাই না? আলো একটি তাড়িত চৌম্বকিয় তরঙ্গ। তার মানে সকল তাড়িত চৌম্বকিয় তরঙ্গ-ই সরল পথে চলবে (যাকে জিওডেসিক স্ট্রেইটলাইন বলা হয়)। এখন আপেক্ষিকতার সাধারন তত্ত্বে কি বলা হয়েছে? বলা হয়েছে যে – না, আলো সবসময় সরল পথে চলবেনা, মাঝে মাঝে নিয়মের ব্যাতিক্রম ঘটিয়ে বাঁকা পথেও চলতে পারে! কখন বাঁকা পথে চলবে? দেখানো হল যে, অতি গুরু ভরের (যার ভর খুব বেশী, যেমন সূর্য) কোন বস্তুর পাশ দিলে তাড়িত চৌম্বক রেখা যেতে নিলে তা একটু বেঁকে যাবে। [যেমন ধরুনঃ কোন লুল-পুরুষের চোখের সোজা দৃষ্টি অনেক সময় সুন্দরী মেয়েদের দেখলে একটু বেঁকে(!) যায়], অনেকটা সেরকম। ওপরের ছবিতে দেখুন কৃত্তিম উপগ্রহ ক্যাসিনি সূর্যের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তের পৃথিবীতে সংকেত পাঠাবার সময় সূর্যের কাছাকাছি এসে সিগনাল গুলো একটু বেঁকে গিয়েছে। (ছবিঃউইকি) কিন্তু কেন এমন হল? কারন সূর্য বা খুব বেশী ভারী বস্তু (ব্ল্যাক হোল হলে আদর্শ) খুব বেশী পরিমানে গ্র্যাভিটন কণিকা নিঃসরণ করতে থাকে আর সেখানে স্থান-কাল-পাত্রের সংকোচন হয়। আর তাই কোয়ান্টাম তত্ত্বের মতে তাড়িতচৌম্বকিয় তরঙ্গগুলো শক্তির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্যাকেট হবার কারনে আলো বা যে কোন রশ্মির সাথে সেখানে মিথঃস্ক্রিয়া ঘটে আর সে কারনেই খুব বেশী ভরের বস্তুর পাশ দিলে তাড়িত চৌম্বক রেখা যেতে নিলে তা বেঁকে যায়।


কম্পিউটারে সাধারন আপেক্ষিক তত্ত্বের ভিত্তিতে সিমুলেশন করা একটি মডেলে নিউট্রন তারা থেকে ব্ল্যাকহোলে রূপান্তরের সময় তারা কর্তৃক গ্র্যাভিটন কণিকা নিঃসরণ।

এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। কোন গবেষণা একক প্রচেষ্টায় সম্ভব নয়। অনেকের সম্মিলিত প্রয়াস এনে দেয় একটি কাজের পরিপূর্ণ সাফল্যতা। তাই কাজের স্বতাধিকারের মতবিরোধ বিজ্ঞানের ইতিহাসে খুবই সাধারন একটা বিষয়, যেমনটি বর্তমানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী স্টিফেন্স হকিংসের মতে, নিউটন নয় বরঞ্চ জার্মান গণিতবিদ লিবনিৎজ-ই ক্যালকুলাসের আসল জনক, যার সত্যতা নির্ণয় নিতান্তই দুরুহ ব্যপার আর অনেক ক্ষেত্রে বিতর্কের অবসান এখন পর্যন্ত হয়নি।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে। আইনস্টাইন ও জার্মান বিজ্ঞানী ডেভিড হিলবার্ট (১৮৬২-১৯৪৩) দুজনেই স্বাধিনভাবে সাধারন আপেক্ষিক তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করছিলেন। হিলবার্ট রেইনম্যান স্কেলার থেকে সাধারন আপেক্ষিকতার মহাকর্ষিয় ক্ষেত্র তত্ত্ব বা ফিল্ড থিওরী আবিষ্কার করেন কিন্তু অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হিলবার্টের পরে এই ক্ষেত্র তত্ত্বটি হিলবার্টের সাহায্যেই আবিষ্কার করে সম্পুর্ণ একক ভাবে নিজের নামে নামাঙ্কিত করেন । মহা বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের নামে একটি গুরুতর অভিযোগ, অস্বীকার করার উপায় নেই- কিন্তু আমরা মানুষগুলো খুব স্বার্থপর প্রকৃতির হই! ডেভিড হিলবার্ট আইনস্টাইন থেকে অন্তত পাঁচদিন পূর্বে সাধারন আপেক্ষিকতা সম্পর্কে তার তত্ত্ব সুসম্পন্ন করেন কিন্তু তার গবেষণা পত্র কোন এক অজানা কারনে(!) চার মাসেরও অধিক সময় পরে ছাপানো হয়, এর ফলে আপেক্ষিক তত্ত্বের সম্পুর্ণ কৃতিত্বের দাবিদার হন আইনস্টাইন। প্রশ্ন উঠতে পারে, হিলবার্ট কি তার এই আবিষ্কারের স্বপক্ষে কোন দাবী তুলেছিলেন? না, তিনি তা করেননি। হয়তো তিনি তার মেধার সঠিক মুল্যায়ন না পেয়ে কাজের প্রতি বিতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। আসলে কি হয়েছিলো সেই সময়টিতে? সেটিই জানতে চেষ্টা করব আমরা এখন-

১৯১৫ সালের ১৫ই নভেম্বরকে আক্ষরিক অর্থেই সাধারন আপেক্ষিক তত্ত্বের জন্মদিন বলা যেতে পারে। ঠিক এই দিনে ডেভিড হিলবার্ট আপেক্ষিকতা সম্পর্কে তার ক্ষেত্রতত্ত্ব আবিষ্কার করেন আর ১৬ই নভেম্বর তিনি “গটিনজেন্ট ম্যাথমেটিক্যাল সোসাইটি”-র কনফারেন্সে উপস্থাপনা করেন, কিন্তু তিনি লিখিত কন পেপার জমা দেননি [*1]। ইতিমধ্যে আইনস্টাইন হিলবার্টের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন এই বলে, তিনি মহাকর্ষিয় ক্ষেত্রতত্ত্বের সমাধানে অপারগ, তাই আশু হিলবার্টের সাহায্য প্রয়োজন। সহজ-সরল ও নির্লোভ স্বভাবের মানুষ হিলবার্ট ফিরতি ডাকে তার সমাধানকৃত সমীকরণ গুলো আইনস্টাইনের কাছে প্রেরণ করেন আর দিনটি ছিলো ১৭ই নভেম্বর। আইনস্টাইন হিলবার্টের প্রতিক্ষিত চিঠি পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলেন। আইনস্টাইনের ক্ষেত্র তত্ত্বে যা ঘাটতি ছিলো তিনি তা দ্রুত হিলবার্টের আর্টিকেল থেকে পূরণ করে তড়িঘড়ি করে নভেম্বরের ২৫ তারিখে "Zur allgemeinen Relativatstheorie" শিরোনামে প্রুশিয়ান একাডেমীতে একটি জার্নাল প্রকাশ করেন যাকেই কিনা সাধারন আপেক্ষিক তত্ত্বের ভিত্তি ধরা যায়, কিন্তু তিনি একটি বারের জন্য হলেও ডেভিড হিলবার্টের কাজের কোন ধরনের রেফারেন্স দেননি [*2,3]। আইনস্টাইন প্রথমদিকে যে সমীকরণ বের করেছিলেন তা হলঃ
Rµν=Tµν’ যা ছিলো অসম্পুর্ণ। কিন্তু হিলবার্টের চিঠি পাবার পর আইনস্টাইন তার সমীকরণ শূদ্ধ করে লেখেনঃ Rµν-(1/2)R.gµν=Tµν’, যেখানে Rµν হল রিক্কি টেনসর, Tµν হল এনার্জি মোমেন্টাম টেন্সর আর gµν হল মেট্রিক টেনসর বা তাড়িত চৌম্বকীয় বিভব। অর্থাৎ, ঘুরে ফিরে আইনস্টাইন যা করেছেন তা হল, হিলবার্টের সমীকরণ গুলোকে তিনি সার্বজনীনকৃত করেন এবং তাড়িত চৌম্বকীয় বলের ক্ষেত্রে মহাকর্ষীয় বলের প্রভাব আলোচনা করেন। যাই হোক, অবশেষে হিলবার্ট তার গবেষণা পত্র ৬-ই ডিসেম্বরে জমা দেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত জার্নাল কমিটি তার জার্নালের কিছু পাতা হারিয়ে যাবার অভিযোগে (!) গবেষণা পত্র গ্রহণে অপারগতা জানায়। রাগে ক্ষোভে তিনি আর কোন গবেষণা করেননি। আজ যদি হিলবার্টের ১৯১৫ সালের ৬-ই ডিসেম্বরের সেই জার্নালটি প্রকাশিত হত তাহলে হয়তো আপেক্ষিকতার জনক হিসেবে আজ আইনস্টাইন না হয়ে অন্য একজন মানুষকে আমরা সশ্রদ্ধ সন্মান জানাতাম।
অবশেষে বহুদিন পর ১৯২৪ সালে হিলবার্টের জার্নালতি প্রকাশিত হলে সেখানে ভূমিকায় তিনি লেখেন “...আইনস্টাইন তার প্রকাশিত গ্রন্থে, আমার আবিষ্কৃত তত্ত্বের সমীকরণ ব্যাবহার করেছিলেন...” এ যেন এক আক্ষেপের সূর, কিন্তু তবুও তিনি এক অজানা কারনে নিশ্চুপ ছিলেন আর আপেক্ষিকতাবাদের আবিষ্কারক হিসেবে দাবীও তোলেননি কিম্বা প্রচার বা প্রসারের সুযোগও তিনি নেননি। কিন্তু নথিপত্র গুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে আধুনিক ইতিহাসবেত্তারা দেখিয়েছেন, হিলবার্ট-ই সর্বপ্রথম আপেক্ষিকতার সাধারন তত্ত্ব প্রকাশ করেন, আর এ সম্পর্কে তিনি সেমিনারেও বক্তৃতা দিয়েছিলেন, কিন্তু গটিনজেন্ট একাডেমীতে রিসার্চ পেপার আকারে জমা দেননি [*4]। এ সম্পর্কে শুনি আধুনিক হিস্টোরিয়ানদের মতামত কিঃ
জি এস কিশওয়ানী তার ‘History of Relativity’ গ্রন্থে দাবী তোলেন বিশেষ আপেক্ষিকতা বিষয়ে লরেন্টজ আর পয়েনক্যারকে মূল সন্মাননা দেয়া উচিৎ, তেমনি সাধারন আপেক্ষিক তত্ত্ব সম্পর্কে বলেন,
“আইনস্টাইনের সাধারন আপেক্ষিকতাবাদ হিলবার্টের মহাকর্ষিয় ক্ষেত্র তত্ত্বের মডিফায়েড ভার্সন ছাড়া আর কিছুই না” [*5,6]। আরেক লেখক ‘হারবার্ট ডিঙ্গেল’ বলেন, আপেক্ষিক তত্ত্ব শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের ওপর নয়, এর অনেকগুলো দিক রয়েছে। একই তত্ত্বের বিভিন্ন প্রকার রূপভেদ দেখা যায়। আইনস্টাইন, হিলবার্ট, পয়েনক্যার বা লরেন্টজ প্রত্যেকেই নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গিতে আপেক্ষিক তত্ত্ব ব্যাক্ষ্যা বিশ্লেষণ করেছেন [*7]। ড্যানিয়েলা ভ্যুয়েন্সক যিনি কিনা আপেক্ষিক তত্ত্বের ইতিহাসের ওপর পন্ডিত, তার মতে, হিলবার্টের চিঠি পাওয়া বিনা আইনস্টাইনের পক্ষে কখনোই স্বাধিনভাবে আপেক্ষিকতত্ত্বের ফিল্ড থিওরী দেয়া সম্ভব ছিলোনা। কিন্তু পরবর্তীতে হিলবার্টের বিরূদ্ধে আইনস্টাইনের কুৎসা রটানো সত্যিই বিস্ময়কর। (…Einstein arrived at the correct field equations only with Hilbert's help ("nach großer Anstrengung mit Hilfe Hilberts"), but nevertheless calls Einstein's reaction (his negative comments on Hilbert in the November 26 letter to Zangger). কিন্তু বর্তমানেও এ নিয়ে যথেষ্ট তর্ক-বিতর্ক অব্যাহত আছে। সবথেকে চড়া প্রতিবাদ করেছেন ২০০৫ সালে ক্লাউস সমার। তিনি ফিজিক এন আনসারার জেইট (Physik in unsurer zeit) আর্টিকেলে বলেন-
“আইনস্টাইন কখনোই স্বাধিনভাবে আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব দাড় করাতে পারেননি, বরঞ্চ নভেম্বর মাসে হিলবার্টের চিঠি ও আর্টিক্যাল পড়েই তিনি আপেক্ষিকতার ক্ষেত্র তত্ত্ব সম্পন্ন করেন”। তিনি আরও বলেন, “২০শে ডিসেম্বরে লেখা আইনস্টাইনের একটি চিঠিই প্রমান করে যে, হিলবার্ট আইনস্টাইনের বিরূদ্ধে তথ্য চুরির অভিযোগ আনেন কিনা এই ভয়ে সর্বক্ষণ ভীত-সন্ত্রস্থ থাকতেন”,কিন্তু হিলবার্ট তা করেন নি। [*8]
(Einstein skandal Hilberts hatte ihm mehr geschadet als jeder andere zuvour: Einstein's conciliatory December 20 letter was motivated by the fear that Hilbert might comment Einstein's behavior in the final version of his paper, claiming that a scandal caused by Hilbert could have done more damage to Einstein than any scandal before)

সায়েন্স ম্যাগাজিনের আর্টিক্যাল থেকে কিছু অংশ তুলে দিলামঃ
According to the commonly accepted view, David Hilbert completed the general theory of relativity at least 5 days before Albert Einstein submitted his conclusive paper on this theory on 25 November 1915. Hilbert's article, bearing the date of submission 20 November 1915 but published only on 31 March 1916, presents a generally covariant theory of gravitation, including field equations essentially equivalent to those in Einstein's paper. A close analysis of archival material reveals that Hilbert did not anticipate Einstein. The first set of proofs of Hilbert's paper shows that the theory he originally submitted is not generally covariant and does not include the explicit form of the field equations of general relativity. [9]

ইতিহাসের ধারাটি-ই যেন এমন, তারা চূড়ান্ত সাফল্যমন্ডিত একজনকে মনে রেখে বাকিদের বিস্মৃতির কারাগারে নিক্ষেপ করে দেয় আর জন্ম দেয় হতাশা আর আত্মগ্লানী। প্রত্যেক বিজ্ঞানীর খন্ড-খন্ড কাজ জুড়ে একটা বিশাল কাজের বিস্তৃতি ঘটে, যা কখনোই একা করা সম্ভবপর নয়। তাই শুধু একজনকে সর্বাত্মক কৃতিত্ব দেয়াটা বিজ্ঞানের প্রতি অবমাননা বলে আমার মনে হয়।


*রেফারেন্স সমূহঃ

1. Kip Thorne (1994): Black Holes and Time Warps: Einstein's Outrageous Legacy, W. W. Norton & Company; Reprint edition (January 1995). ISBN 0-393-31276-3

2. Daniela Wuensch, "zwei wirkliche Kerle", Neues zur Entdeckung der Gravitationsgleichungen der Allgemeinen Relativitätstheorie durch Einstein und Hilbert. Termessos, 2005, ISBN 3-938016-04-3

3. Mehra, J. (1974) "Einstein, Hilbert, and the Theory of Gravitation" Reidel, Dordrecht, Netherlands.

4. Bjerknes, Christopher Jon (2002), Einstein, the incorrigible plagiarist, Downers Grove, Illinois: XTX Inc., ISBN 0-9719629-8-7 Author's site

5. Keswani, G. H. (1965-6) "Origin and Concept of Relativity, Parts I, II, III", Brit. J. Phil. Sci., v15-17. British Journal for the Philosophy of Science, ISSN 0007-0882

6. Keswani, G. H. and C. W. Kilmister (1983) "Initimations of relativity. Relativity before Einstein", British Journal for the Philosophy of Science 34, 343-54. ISSN 0007-0882

7. Herbert Dingle, "Note on Mr Keswani's articles, Origin and Concept of Relativity", Brit. J. Phil. Sci., vol 16, No 63 (Nov 1965), 242-246

8. Sommer, Klaus: "Wer entdeckte die Allgemeine Relativitätstheorie? Prioritätsstreit zwischen Hilbert und Einstein", Physik in unserer Zeit Volume 36, Issue 5, Pages 230 - 235. Published Online: 29 Aug 2005.


9. Leo Corry, Jürgen Renn* and John Stachel "Belated Decision in the Hilbert-Einstein Priority Dispute" Science 14 November 1997: Vol. 278 no. 5341 pp. 1270-1273 DOI: 10.1126/science.278.5341.1270
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১৪
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×