somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ব্লগ দিবসীয় ভাবনা (একটি অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা প্রযোজনা)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগামী ১৯ শে ডিসেম্বর। আসিতেছে, বহুল প্রতিক্ষিত ব্লগ ডে। এইদিনে, দেখা হবে প্রিয় সব ব্লগারদের সাথে। এইদিনটিকে আরো তাৎপর্যময় করে তুলতে, আমার মাথায় কিছু আইডিয়া ঘুরছে। যে আইডিয়াগুলোর জ্বালায় আমি, গতকয়েকদিন বেশ আরামেই ঘুমাচ্ছি।

১. ব্লগ ডেতে দিন শুরু হবে তোপধ্বনির মাধ্যমে। (যেহেতু সামু অফিসে কোন কামানের ব্যাবস্থা নেই, সেহেতু বিকল্প একটা চিন্তা করেছি। ব্লগে, আস্তিক-নাস্তিক, ছাগু-ভাদা ক্যাচালে অনেকের সুচিন্তিত গলাবাজীর অভিজ্ঞতা আছে। আশা করা যায়, তাদের কিছুক্ষনের আলোচনা তোপধ্বনির ভূমিকা পালন করবে। আলোচনার ব্যাপ্তি ২ মিনিট। শুরু হইয়াও, হইলোনা শেষ পদ্বতিতে তাদের আলোচনা থামিয়ে দেয়া হবে। কোলাকুলির মাধ্যমে তারা আবার একমত হইবেন। :)

২. এরপর হবে, গানের আসর। ব্লগে কিছু সুকন্ঠী গায়ক-গায়িকা দেখা যায়। যাদের গানের গলা নাকি অনেক সুন্দর। তারা একটা সমবেত ব্লগ সঙ্গীত পরিবেশনা করবেন। এই গান লেখার দায়িত্ব,ব্লগে যারা কবিতা লিখে ব্লগারদের চোখ ঝালাপালা করে দিয়েছেন,তারা।

৩. এরপর হবে কবিতা পাঠের আসর। এখানে প্রত্যেক কবি ব্লগার স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শুনাবেন। এই কবিতা পাঠের আসরের সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করবেন, কবিতা বিদ্বেষী ব্লগার দূর্যোধন ভ্রাতা।

৪. এরপর হবে কৌতুকের আসর। যাহারা মধ্যরাতে "মডু ঘুমাইছে, এই চান্সে ১৮+ হয়ে যাক" টাইপ কৌতুক পোষ্টাইয়া অনেক ইয়ং ব্লগারের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছেন, তাহারা এখানে কৌতুক পরিবেশন করিবেন।

৫. এই সকল অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে চলবে, ছবি প্রদর্শনী। সেখানে ছবি তোলার কারগররা ছবি প্রদর্শন করিবেন।

৬. দুপুর বেলায় খাবারের বিরতি দেয়া হবে। এখানেই আসল কথা! যেসকল নারী ব্লগারগনের রান্না-বান্নার পোষ্টে,আমি বা আমরা ক্ষুধার্ত লালা ঝরিয়েছি। অথচ,তাহাদের মন গলেনি। ভার্চুয়াল দাওয়াতেই সব কিছু মিটে গেছে। এইবার তাহদের খবর আছে। তাহারা, তাহাদের রান্না-বান্নার প্রতিভা এইবার হাতেকলমে দেখানোর সুযোগ পাইবেন। এই ব্যাপারে সুরঞ্জনাপু, রেজুপু,নিলুদি, ত্রিনিত্রিদের কোন ক্ষমা নেই। খাবোই খাবো। প্রচুর খাবো। :)

৭. খাওয়া-দাওয়া শেষে সিনেমা দেখা হবে। সিনেমাপাগল ব্লগাররা, মিটিং করে নির্ধারন করবেন একটা ছবি। যেটা সবাই মিলে দেখবো। (পরিবারের সবাই মিলে,দেখা যায় এমন ছবি।)

৮. এরপর খালি আড্ডা।এতোদিন যারা, "কে কে জেগে আছেন, আসুন আড্ডা দেই" টাইপ পোষ্ট দিয়ে অনেক পোলাপানকে রাতজাগা পাখি করেছেন, তারা এই আড্ডার সঞ্চালক থাকবেন। আড্ডায় ব্যাবহৃত যাবতীয় অনুষঙ্গ তাহারা সাপ্লাই দিবেন। চা-কফি, লাচ্চি.......... যার যা খাইতে মুঞ্চায় ;)


৯. সবশেষে, কান্নাকাটি পর্ব। আবার কবে দেখা হবে, ততদিন বেঁচে থাকবো কিনা টাইপ ভাবনা নিয়ে সমস্বরে কান্না-কাটির রোল পড়বে। :)

**** যেইসব ব্লগারগন। দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। ইচ্ছা থাকা সত্বেও আসতে পারবেন না, তাদের জন্য থাকবে ভিডিও কনফারেন্সের ব্যাবস্থা। তাহার ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে তাহাদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করবেন। ব্লগার অণুজীব ভাইয়ের নেতৃত্বে টেকি ব্লগারগণ এই কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন। :)
(আপনাদের কোন আইডিয়া থাকলে, শেয়ার করতে পারেন। উপযুক্ত আইডিয়া গ্রহন করা হবে )

কেহ আইডিয়া দিলোনা। কিন্তু ত্রিনিত্রি আপুর পিছলানো কমেন্ট দেখে আমার মাথাতে আরো একটা আইডিয়ার উদয় হয়েছে-
*** আমরা যেহেতু অনেক খাবো। খাওয়া নিয়ে ব্যাপক ব্যাস্ত থাকিব। তাইলে সার্ভিং করিবে কে? এ ব্যাপারে আইডিয়া হলো, যেসব ব্লগার বিভিন্নসময়ে লিঙ্ক সার্ভ করে আসছেন, বিভিন্নজনের পোষ্টে গিয়ে লিঙ্ক বিতরন করে আসছেন, তারা সার্ভ করিবেন। :)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৩৩
৫৭টি মন্তব্য ৫৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×