বইমেলা শেষ হল।
সাহিত্যপ্রেমিদের দীর্ঘ নিঃশ্বাস উপেক্ষা করে। আবার একটি বছর ধরে প্রতিক্ষা করে যেতে হবে।
নতুন বইয়ের ঘ্রান নিয়ে যে উৎসবের শুরুটা হয়েছিল তার শেষে এসে দেখলাম কাঙ্খিত এর চেয়ে বেশি সফল হয়েছি আমরা। বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ড।
মাত্র তিনমাস বয়েসি সংগঠন হলেও আমরা পেছনে ফেলেছি অনেক কে। ১২টি মান সম্মত বই প্রকাশ করেছি।
তিনমাস বয়েসি সংগঠন বইমেলায় স্টল পেয়েছে!
পাঠকের ভালবাসা, বন্ধুদের উৎসাহ আর ব্লগারদের সহযোগীতায় আমরা বহুদুর যাবার পথ দেখছি।
লেখা লেখি করছি বহুদিন হল। তবে নিজের লেখা বই প্রকাশ করতে গিয়ে টাকা পাণ্ডুলিপি হারিয়ে বড় একটা হোচট খেয়েছিলাম। তারপর দশ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। ব্লগে এসে পুরাতন স্বপ্নটা আবার জাগলো বুকের ভেতর।
কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখলাম নীনদের জন্য রাস্তা এখনও তেমনী রয়ে গেছে।
বিস্মিত হলাম যখন দেখলাম পাচ শত কপি বই প্রকাশের জন্য প্রকাশকরা ৩০-৩৫হাজার টাকা চাইল!!
অবশেষে এমন কয়েকজন নবীন প্রবীন লেখক মিলে গড়ে তুললাম
বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ড।
প্রথম প্রকাশ হল আমার বই তুমি এলে বাদল দিনে।
এরপর আরো এগারোটি।
যারা লিখেন অনেক দিন কিন্তু প্রকাশ করতে পারছেন না। তাদের জন্য পরামর্শ হল এখুনি নতুন উদ্যমে শুরু করুন। আগামী মেলার জন্য কি বই প্রকাশ করতে চান।
পাশে থাকবো ।
আমাদের প্রকাশিত বই অনলাইনে কিনতে হলে এই লিংকে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ রাইটারর্স গিল্ডের সকল বই
বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ড, সংগঠনের লক্ষ ও উদ্দেশ্য:
বাংলাভাষাভাষী সকল সাহিত্য প্রেমীদের এক মঞ্চে আনাই সংগঠনের প্রধান লক্ষ ও উদ্দেশ্য।
লেখকদের সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করা।
লেখকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করা।
সর্বস্তরে বাংলাভাষার বিশুদ্ধ প্রয়োগ ও ব্যবহার (লেখ্য ও কথ্য) নিশ্চিত করার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানো।
আদি বাংলা সাহিত্যের নিদর্শন সংরক্ষণ। যাতে করে নতুন প্রজন্ম বাংলা সাহিত্যের চর্চা সঠিকভাবে করতে পারে।
নতুন লেখকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। যাতে করে তারা মৌলিক সাহিত্য চর্চায় সব্যসাচি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
নবীন লেখকদের বই প্রকাশের জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা। পাশাপশি দেশের প্রথিতযশা লেখকদের লেখা প্রকাশ করা।
নিয়মিত সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করা যাতে করে নবীনরা লেখালেখিতে উৎসাহিত হয়।
দুঃস্থ, অসুস্থ লেখকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান।
সাহিত্য সংস্কৃতির বিভিন্ন অবদানের জন্য যথার্থ সম্মাননা প্রদান।
এই সংগঠনের একটি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম প্রকাশনা। এই সংগঠন দেশের নবীন, প্রবীণ লেখকদের মৌলিক, সৃষ্টিশীল সাহিত্য গ্রন্থ প্রকাশ ও বিপণনের ব্যবস্থা করবে। এক্ষেত্রে কপিরাইট আইন/প্রকাশনা সংক্রান্ত যাবতীয় আইন অনুসরণ করা হবে।
গ্রন্থ প্রকাশের ক্ষেত্রে একটি কার্যকর পাণ্ডুলিপি বাছাই কমিটি থাকবে। উপস্থাপিত সকল পাণ্ডুলিপি যাচাই বাছাই করার পর পাণ্ডুলিপি বাছাই কমিটির সুপারিশ ক্রমে পাণ্ডুলিপি প্রকাশের জন্য বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে পাণ্ডুলিপি বাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।.
বই প্রকাশের কাজ করবে প্রকাশনা কমিটি। বইয়ের বাজেট নির্ধারণসহ বাজার জরিপ করবে প্রকাশনা কমিটি।
পাণ্ডুলিপি বাছাই কমিটি ও প্রকাশনা কমিটি যুগপৎভাবে লেখকের রয়্যালটির পরিমাণ এবং বইয়ের মূল্য নির্ধারণ করবেন।
সংগঠন কেন্দ্রীয়ভাবে একটি এবং পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলা/উপজেলা/ইউনিয়নে সমৃদ্ধ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করবে।
দেশকে উন্নত করতে হলে সাহিত্য চর্চার কোন বিকল্প নেই। লেখকদের দেশাত্ববোধক লেখনী পাঠকদের মনে জাতীয়তাবোধের সৃষ্টি করে। একটি দেশ প্রেমিক জাতি গঠনের জন্য চাই দেশপ্রেমিক সৃজনশীল লেখক সমাজ। বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ড এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:১৭