:: সিরিয়াকে আইএস মুক্ত করে রাশিয়ার গন্তব্য হতে পারে ইরাক ...
রাশিয়া বিমান হামলা শুরু করার পর থেকেই পেছন সরতে শুরু করছে আইএস। এর ফলে একে একে মুক্ত হতে শুরু করেছে আইএসের দখলে থাকা নানান এলাকা।
সাফল্যেরে পথে ৬ অক্টোবরে রাশিয়া পালমিরার কাছে ২০টি আইএস ট্যাঙ্ক বিধ্বস্ত করতে সক্ষম। এর আগের দিন হোমসে আইএসের যোগাযোগকেন্দ্র ধ্বংস করে দিতে সফল হয় রাশিয়া। ফলে একদিকে যেমন আইএসের যোগাযোগ সুবিধা অনেকখানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তেমনই সমস্ত ডাটাও ধ্বংস হয়ে গেছে নিমেষে।
রাশিয়ার রণতরী থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাতেও ধ্বংস হচ্ছে একের পর এক আইএস ঘাঁটি। স্থলপথে অভিযান পরিচালনা করছে সিরিয়ান আর্মি। অনেক জায়গা থেকেই জঙ্গীরা তাই পালিয়ে যেতে শুরু করেছে।
এর আগে ওয়াশিংটনের চালানো প্রায় বছরব্যাপি সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের পরও ওইসব এলাকায় আইএস নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিলো। তবে এখন পুতিনের সহযোগিতায় আইএসকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করতে শেষ লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ।
আর এখানেই যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া যে শুধু আইএসের বিরুদ্ধেই অভিযান পরিচালনা করছে এমন নয়। আসাদবিরোধী অন্যান্য বিদ্রোহী গ্রুপও তাদের টার্গেট। আবার আসাদকে উচ্ছেদ করতে গিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বিরোধীদের সহায়তার পাশাপাশি আইএসের উত্থানেও ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হয়।
বর্তমান অবস্থায় শুধু দামেস্ক বা মস্কো বা তেহরান নয়, রণবিশ্লেষকরাও মনে করছেন, আইএসের অন্তত: সাময়িক পরাজয় এখন সময়ের ব্যাপার। তাদের প্রত্যাশা, খুব শিগগিরই আইএসের দখল মুক্ত সিরিয়া ফিরবে পৃথিবীর মানচিত্রে।
শুধু সিরিয়া নয়, শিগগিরই ইরাকেও রাশান বাহিনী অভিযানে নামতে পারে।
সিরিয়ায় আইএস দমনে রাশিয়ার কার্যক্রমে মুগ্ধ ইরাকও আইএস দমনে রাশিয়ার কাছ থেকে একইরকম সহযোগিতার চাইতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
লেখাঃ অনলাইন নিউজ
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩০