somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শামেলীর যুদ্ধ- আযাদী আন্দোলনের এক বিস্মৃত অধ্যায়

৩১ শে মে, ২০১২ রাত ৮:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১৮৫৭ সাল। সারা হিন্দুস্তান তখন বিদ্রোহের আগুনে উত্তাল। বিদ্রোহ দমাতে গিয়ে বৃটিশ সরকার হয়ে পড়ে টাল-মাটাল। বিদ্রোহের ঢেউ থানাভুনেও আছড়ে পড়েছিল। আর এখানেই ছিল হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ (রহ) এর প্রতিষ্ঠিত আন্দোলনের কর্ণধাররা। বালাকোটের যুদ্ধের পর এ আন্দোলন অনেকটা থেমে গিয়েছিল, তবে বিভিন্ন যায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে এ আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট মুজাহিদরা যুদ্ধ করে যাচ্ছিলেন। শাহ ওয়ালীউল্লাহ (রহ) এর বংশধররা, যারা এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন তারা মক্কায় হিজরত করেন। ১৮৪৪ সালে যখন হাজী ইমদাদুল্লাহ সাহেব (রহ) বায়তুল্লায় প্রথমবারের মত হজ্জ করতে যান,তখন মাওলানা ইসহাক (রহ) হাজী ইমদাদুল্লাহ(র) কে হিন্দুস্তানের জন্য আমীর নিযুক্ত করেন। তিনি ১৮৬৬ সালে হিন্দুস্তান প্রত্যাবর্তন করার পর এই আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা হাজী ইমদাদুল্লাহ সাহেবের চতুষ্পার্শ্বে সমবেত হন। আর হাজী সাহেব অবস্থান করছিলেন থানাভুনে, ফলে থানাভুন হয়ে হয়ে ওঠে এই আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র।



১৮৫৭ সালের আন্দোলনের সূচনা ইংরেজদের কাছে যেমন ছিল আকস্মিক ঠিক তেমনি বিপ্লবী দলগুলোর জন্যও তা ছিল তাৎক্ষণিক। তাই যারা এই কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিল না, তাদের পক্ষে প্রথম সুযোগেই একটি দলের সাথে যোগ দেওয়া বা তা থেকে দূরে থাকার সুযোগ ছিল। কিন্তু যারা ইতি পূর্বেই নিজেদের জীবনকে কোন একটি ব্যবস্থার সাথে জড়িয়ে নিয়েছিলেন, তাদের পক্ষে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা কিংবা দলের ফয়সালা ব্যতিরেকে ব্যক্তিগতভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে তাড়াহুড়া করে কোন কাজ শুরু করার সুযোগ ছিল না বা তা সঠিকও নয়। যে দলটি পূর্ব থেকেই বৃটিশদের বিরুদ্ধে জিহাদে লিপ্ত ছিল, যখন সে দলটির কাছে দিল্লীর বিপ্লবের খবর পৌঁছে তখন সে সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করার প্রয়োজন দেখা দেয়। যখন পুরো দেশ বিপ্লবের আগুনে উত্তপ্ত, এই সুযোগ তারা হাতছাড়া করতে চাচ্ছিলেন না। তাই জরুরী অধিবেশন ডাকা হয়। তাই মাওলানা কাসেম(রহ) কে নানুতাহ থেকে, মাওলানা রশীদ আহমদ সাহেবকে গংগুহী থেকে এবং হযরত মাওলানা ইয়াকুব সাহেবকে সাহারানপুর থেকে ডেকে আনা হয়। প্রথমে দিল্লীর আন্দোলনের সঠিক চিত্র ও প্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য মাওলানা রহমাতুল্লাহ কীরানভীকে দিল্লী প্রেরণ করা হয়।মে মাসের শেষের দিকে বা জুন মাসের প্রথম দিকে মাওলানা কিরানভী দিল্লী পৌঁছান। তখন পর্যন্ত আন্দোলন ছিল বৃদ্ধ বাদশাহ ও আলালের ঘরের দুলাল শাহাযাদাদের অনভিজ্ঞতার হাতে বন্দী। তবুও বিপ্লবী সিপাহীরা নেতৃত্বের চাবি কাঠি তাদের হাতেই তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু একটা নীতিবাদী দলের পক্ষে তাদের উপর আস্থা রাখা ছিল বড়ই মুশকিল। কিন্তু এইসব স্বাধীনচেতা বীর পুরুষদের পক্ষে এই অনুকূল পরিবেশ ও উপযুক্ত পরিস্থিতিতে নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকা সম্ভব ছিল না। আবহাওয়ার এই শুভ
পরিবর্তন দ্বারা তারা মোটেই উপকৃত হবেন না, তা কি করে সম্ভব হতে পারে। কিন্তু যে উজ্জ্বল শরীয়ত ও পবিত্র শিক্ষার আলোকে তারা সম্মুখে পা বাড়াতেন, তার প্রথম শর্ত ছিল, যে পাই সম্মুখে বাড়ানো হবে, তা হবে নিয়ম-শৃঙ্খলা, সুস্থ-চিন্তা এবং পরিপূর্ণ আইনের অনুগত। যাই হোক, এ প্রথম অধিবেশনে এতটুকু কাজ হয়, যে দলীয় শৃঙ্খলা তখন পর্যন্ত একটা সংস্কারমূলক ও রাজনৈতিক দল হিসেবে ছিল, এখন থেকে তা শাসন ব্যবস্থায় রূপ দেওয়া হয়। হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ সাহেবকে 'আমির' এবং মাওলানা কাসেম সাহেব, মাওলানা রশীদ আহমদ সাহেব,হাফিজ যামিন সাহেব এবং মাওলানা মুহাম্মাদ মুনীর সাহেবের মতো বড় বড় আলেম এবং নেতাদের সেরা বিভাগ, প্রতিরক্ষা বিভাগ,বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ ইত্যাদির দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়। সে উপলক্ষে এ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় যে, আইন শৃঙ্খলা বিধানের জন্য স্বয়ং বাদশাহকেও এ ব্যবস্থায় শামিল হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হবে। এ উদ্দেশ্যে বাদশার ঘনিষ্ঠ সভাসদ ও অকৃত্রিম সুহৃদ নওয়াব শিব্বির আলী মুরাদ আবাদীকে দিল্লী প্রেরণ করা হয়। নওয়াব শিব্বীর আলীকে প্রেরণ করার আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল, বাদশাহ যাতে দিল্লী থেকে শামেলীতে অভিজান চালান। আর তারা অভিজান চালাবেন এদিক থেকে। এমনিভাবে দু'দিক থেকে অভিজান চালালে এলাকাটি ইংরেজদের এবং তাদের দোসরদের উপদ্রব থেকে মুক্ত হবে।



যাই হোক, রমজান মাসের পরপরই মে মাসের শেষের দিকে অথবা জুন মাসের প্রথম দিকে হাজী ইমদাদুল্লাহ সাহেবের নেতৃত্বে আঞ্চলিক বা স্থানীয় আইন ও নিয়ম-শৃঙ্খলা অনুযায়ী থানাভুনে একটি সরকার ব্যবস্থা কায়েম করা হয়।



মে মাস শেষ, জুন মাসও শেষ হওয়ার পথে, তবু এই নিষ্ঠাপূর্ণ প্রচেষ্টা সুসংবদ্ধ রূপ নেওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না। এসময় থানাভুনের রইস কাযী ইনায়াত আলী সাহেবের ভাইয়ের বিয়োগান্তক ঘটনা সংঘটিত হয়। তিনি হাতী ক্রয় করার জন্য সাহরানপুর যান। তার সম্পর্কে ইংরেজদের দোসররা ইংরেজদের অবহিত করে। তখন সাহারানপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ স্পেংকী(Spankie) উনাকে গ্রেফতার করে এবং ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দেয়। এ ঘটনাতে থানাভুন সরকারের কেউ কেউ উত্তেজিত হলেও যারা এরকম শত শত ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন এবং যাদের জিহাদের উদ্দেশ্য ছিল 'ইলায়ে কালিমাতুল্লাহ' তথা আল্লাহর বাণীকে বুলন্দ করা এবং ন্যায় ও হককে ঊর্ধ্বে তুলে ধরা তারা আবেগতাড়িত হয়েই সাথে সাথে কোন সিদ্ধান্ত নেননি বরং তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন ঠাণ্ডা মাথায়।



এদিকে ১৮৫৭ সালে ২রা জুলাই জেনারেল বখত খান তার সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত বাহিনী নিয়ে দিল্লী পৌঁছেন। দলপতি হিসেবে তাদের সাথে ছিল মাওলানা সরফরাজ আলী সাহেব। বাদশাহ ও তার শাহাযাদাদের সময় যে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সেনাবাহিনীতে ছিল, জেনারেল বখত এসে সেনাবাহিনীকে শুধু সুশৃঙ্খল করেন নি, বরং নিয়ম-শৃঙ্খলাকে সে মানদণ্ডে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন, ইসলামী শিক্ষা অনুযায়ী যা ছিল জরুরী। বখত খান দিল্লীর জামে মসজিদে ওলামাকিরামকে একত্রিত করেন এবং জিহাদের ফতোয়া ঘোষণা করেন। এই ফতোয়াতে রহমাতুল্লাহ সাহেবের সাক্ষর ছিল যাকে ইতিপূর্বে থানাভূন থেকে দিল্লীর অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছিল।

দিল্লীতে জিহাদের ফতোয়া জারী হওয়ার পর, থানাভুনের পথ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায়। ফলে এতদঞ্চলের আমির হাজী ইমদাদুল্লাহ সাহেবের পক্ষেও পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ সহজ হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য মজলিসে শুরার অধিবেশন ডাকেন। আর আল্লাহর বাণী- " এবং কাজের ক্ষেত্রে তাদের সাথে পরামর্শ কর"- এর দাবীও ছিল তাই। অধিবেশনের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল পদক্ষেপ গ্রহণ-অন্য কথায় জিহাদ ঘোষণা।



শূরার অধিবেশনে সকল সদস্য দিল্লীতে গৃহীত জিহাদের ফতোয়ার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তারপর হাজী ইমদাদুল্লাহ সাহেবকে ইমাম নিযুক্ত করে সকলে তার হাতে জিহাদের বায়াত করেন। অর্থাৎ ইতিপূর্বে সরকার গঠনের সময় বায়য়াত করা হয়েছিল আর এখন করা হচ্ছে জান-মাল কোরবানীর জন্য। তখন দীন ও স্বদেশভূমির জন্য উৎসর্গিত প্রাণ মুজাহিদরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে একটা সুসংগঠিত শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঘর ত্যাগ করে থানাভুন থেকে শামেলী অভিমুখে যাত্রা করে, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল দিল্লী। শামেলী অভিমুখে যাত্রা করার আর একটা কারণ ছিল, শামেলীর রইস জিহার সিং আযাদীর যে পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, তার সাহায্যের ভীষণ প্রয়োজন ছিল।

অতঃপর জিহাদের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় এবং তার ঘোষণা দেওয়া হয়। হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ সাহেবকে ইমাম নিযুক্ত করা হয়। মাওলানা কাসিম সাহেবকে নানুতভীকে সশস্ত্র বাহিনীর সিপাহসালার ও মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীকে কাযী বা বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়। এবং মাওলানা মুনীর সাহেব নানূতভী ও হাফেয যামেন থানভীকে সেনাবাহিনীর ডান ও বাম ব্রিগেডের অধিকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়। যেহেতু উল্লেখিত ব্যক্তিদের তাকওয়া ও ইলম ( শরীয়ত ও তাসাউফ জ্ঞান)- এর বিপুল খ্যাতি ছিল, তাদের ইখলাস ও লিল্লাহিয়্যাত সম্পর্কে লোকেরা অবগত ও প্রভাবিত ছিলেন এবং তাদের দীনদারী ও খোদাভীতি সকলে প্রত্যক্ষ করে আসছিল, তাই তাদের প্রতি লোকদের আস্থা ছিল। মুরীদ ও ছাত্র ছাড়াও সাধারণ মুসলমান তাদের অত্যন্ত ভক্ত ছিল। এ কারণে অতি অল্প সময়ে মধ্যেই দলে দলে লোক তাদের পতাকাতলে সমবেত হতে থাকে। তখন পর্যন্ত অস্ত্রের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। সাধারণতঃ সকলের কাছেই অস্ত্র থাকত। আর অস্ত্র রাখা এবং অস্ত্র পরিচালনা শিক্ষা করা মুসমানদের মাঝে জরুরী মনে করা হতো। কিন্তু সেসব অস্ত্র ছিল অনেকটা পুরনো ধরনের। শুধু গাঁদা বন্দুক ছিল। কার্তুজের কোন রাইফেল ছিল না। কেবল ইংরেজদের কাছে এই রাইফেল ছিল। হাজার হাজার মুজাহিদ সমবেত হয় এবং থানাভুন ও তার আশ পাশে সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ইংরেজদের অধীন শাসকদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।



এ সময় খবর আসে, তোপখানা ,সাহারানপুর থেকে শামেলীতে প্রেরণ করা হচ্ছে এবং এক প্লাটুন সৈন্য রাতে এ পথ অতিক্রম করবে। এ খবর শুনে লোকেরা ব্যাকুল হয়ে পড়ে। কারণ, এ সকল মুজাহিদদের কাছে যে সব অস্ত্র ছিল, তা হচ্ছে তরবারি, হাতওয়ালা বন্দুক, বর্শা ইত্যাদি। কারো কাছেই তোপ ছিল না। সুতরাং কি করে ইংরেজদের এই তোপখানার মোকাবেলা করা হবে? হযরত গাঙ্গুহী (রহ) বললেন- তোমরা ঘাবড়ে যেও না।

সড়কটি ছিল একটি বাগানের গা ঘেঁষে। হযরত ইমদাদুল্লাহ সাহেব মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহীকে ৩০-৪০ জন মুজাহিদের কমান্ডার নিযুক্ত করেন। সকলকে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকার হুকুম দিয়ে তিনি বললেন, আমি নির্দেশ দেওয়ার সাথে সাথে তোমরা একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে
পড়বে। ইংরেজ প্লাটুন তোপখানা সহ বাগানের কাছে পৌঁছতেই সকলে এক সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। ইংরেজ সৈন্যরা ঘাবড়ে যায় এই ভেবে যে, না জানি আরো কত লোক আত্মগোপন করে আছে- তারা সকলেই তোপখানা সেখানে রেখে পলায়ন করে। হযরত গাঙ্গুহী (র) নিজেই তোপখানা টেনে নিয়ে হাজী সাহেবের মসজিদের সম্মুখে চলে আসেন। এতে মানুষের অন্তরে তাদের প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, যুদ্ধ বিদ্যার পারদর্শিতা দিক ফুটে ওঠে।


বর্তমানে শামেলী মুজাফফর নগর জেলার একটি সাবডিভিশনের সদরদপ্তর। তৎকালে সেটা সাহরানপুর জেলার সাথে সংযুক্ত ছিল। সাহরানপুরের শাসক মিঃ স্পেংকী এই এলাকায় নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য একটা গোর্খা বাহিনী সেখানে প্রেরণ করেছিলেন। সেখানকার
সামরিক কমান্ডার এডোয়ার্ডস গোর্খাদের সাহায্যে সেটা পুরো অধিকার করে ছিল। তাদের একজন বিশ্বস্ত লোক ইবরাহীম খাঁর অধীনে একটা বাহিনী রেখে তারা শামেলী ত্যাগ করে এবং ১৮৫৭ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর আরও সম্মুখে অগ্রসর হয়। মুজাহিদরা বিশেষ করে কাযী ইনায়াত আলী ও তার সঙ্গীরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে শামেলীর উপর আক্রমণ করতে চাচ্ছিলেন। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শামেলীতে হামলা চালানো হবে। শামেলীতে আক্রমণ করা হয়।



শামেলীতে যে ইংরেজ সৈন্যরা ছিল,তারা মুজাহিদদের ভিড় দেখে তহসীলের চৌহদ্দিতে আটকা পড়ে এবং ভেতর থেকে গুলি করা শুরু করে।তহসীলের ইমারত ছিল দুর্ভেদ্য, মুহূর্তে তা দুর্গের কাজ করে। মুজাহিদদের ভিড় ছিল বাইরের ময়দানে যেখানে কোন আড়াল ছিল না, তাছাড়া তাদের নিকট বন্দুকের সংখ্যা ছিল কম। তাই দুই দিনের যুদ্ধে তাদের অনেকে
অঘোরে প্রাণ দিতে থাকে। তহসীলের কাছে ছিল একটা ছাপড়া। মাওলানা কাসেম (র) নজর পড়ে ঐ ছাপড়ার দিকে। তিনি সেটা তুলে এনে তহসীলের সদর দরজার সামনে স্থাপন করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে ফটক পুড়ে যায় এবং ভেতরে প্রবেশের পথ উন্মুক্ত হয়।


তৃতীয় দিন হাফিয যামিন সাহেব তহসীলের দরজা ভেঙ্গে ফেলেন। তখন ইংরেজ সৈন্যদের মাঝে মুকাবিলা করার সুযোগ ছিল না। তাদের কেউ কেউ পালাতে সক্ষম হয়,কিছু সংখ্যক নিহত হয় এবং বাকিরা গ্রেফতার হয়। শেষ পর্যন্ত মুজাহিদদের অধিকারে শামেলী চলে আসে।এতে প্রায়
১১৩ জন ইংরেজ সৈন্য মারা যায়।তবে মুজাহিদের মধ্যে হযরত যামিন সাহেব এই যুদ্ধে শহীদ হন।



আর উনার মৃত্যুর সাথে সাথে মুজাহিদদের অগ্রযাত্রা ব্যহত হয়। তার শাহাদাতের পূর্বে প্রতিদিন খবর আসত, আজ অমুক স্থান ইংরেজদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, আজ হিন্দুস্তানিরা অমুক স্থান অধিকার করেছে। কিন্তু হাফিজ যামিন সাহেবের শাহাদাতের পর প্রথমেই খবর আসে যে, ইংরেজরা দিল্লী দখল করে ফেলেছে। যাই হোক, হাফিজ যামিন সাহেবের শাহাদাত আর দিল্লীর পতনের খবরে অনেক লোক সাহস হারিয়ে ফেলে নিজ নিজ ঘরে ফিরে যায়।



এদিকে এডওয়ার্ডস ফিরে এসে শামেলীর অবস্থা দেখে ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়, কারণ তাদের ১১৩ জন সৈন্যের প্রাণহানি হয়েছে। কিন্তু তখন মুজাফফর নগরের অবস্থা খুব খারাপ। তাই সে সেখানে চলে যায়।


তারপর ক্যাপ্টেন স্মীথ ও ল্যাফট্যানেন্ট কিউলরস এর নেতৃত্বে শিখ এবং গোর্খা বাহিনী থানাভুন প্রেরণ করে।শহরের লোকদের কাছে কোন বড় তোপ ছিল না, মামুলি ধরনের ২ টি ছোট তোপ ছিল। এ দুটি দিয়েই নগর দ্বার রক্ষার কাজ চালানো হচ্ছিল। ইংরেজদের ২-৩ টি গোলা জনবসতিতে পড়ে, এ সময় মুজাহিদদের একজন ছোট তোপ দিয়ে একটি গোলা
নিক্ষেপ করেন। গোলা ইংরেজদের তোপের মুখে গিয়ে পড়ে এবং তা অকেজো হয়ে যায়। দ্বিতীয় গোলা দ্বারা আরেকটি তোপ বিকল হয়।মুজাহিদদের কাছে যুদ্ধাস্ত্র ছিল সামান্য, মাত্র কয়েকশ জনের কাছে ছিল মামুলী বন্দুক, তলোয়ার ও তীর-ধনুক ছিল বেশী। ইংরেজ সৈন্যদের
কাছে যেন কোন সাহায্য না পৌঁছে সেজন্য মুজাহিদরা পরের দিন শহরের বাইরে গিয়ে ইংরেজদের উপর হামলা চালায়। সাত ঘণ্টার হাতাহাতি যুদ্ধের পর ইংরেজ সৈন্যরা পরাজিত হয়। মুজাহিদরা তাদের মেরে তাড়িয়ে দেয়।


১৮৫৭ সালের সেপ্টেম্বরে যখন বাহাদুর শাহ গ্রেফতার হন তখন দিল্লীর উপর ইংরেজদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে ইংরেজ সৈন্যরা আশেপাশের এলাকা অধিকার করা শুরু করে। কয়েকদিন পরেই আসে থানাভুনের পালা। কর্নেল ডনলপ এর নেতৃত্বে সেখানে সামরিক বাহিনী প্রেরণ
করা হয়।রাতের অন্ধকারে ইংরেজদের আগমনের সংবাদে সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এবার তো পরাজয় নিশ্চিত। কিন্তু বাহাদুরি হুলো, নিশ্চিত পরাজয়ের অবস্থা সৃষ্টি হলেও, মোকাবেলা করার সাহস করা। থানাভুনের চারপাশে ছিল পাঁচিল। তাই যে তোপটি মুজাহিদরা পূর্বে ছিনিয়ে
এনেছিল, তা একটি উচুস্থানে স্থাপন করা হয়। এ তোপের প্রথম ফায়ার এতটা সফল হয় যে, এর গোলা ঠিক ইংরেজদের তোপের মুখে গিয়ে পড়ে। ফলে ইংরেজদের তোপটি টুকরো টুকরো হয়ে যায়।





কিন্তু এ ধারা খুব বেশীক্ষণ বহাল থাকেনি। কেননা এখানে ছিল একটি মাত্র তোপ আর শত্রুদের ছিল অনেক। এখানে গাঁদা বন্দুক ছিল, তাও সংখ্যায় অনেক কম। অপর দিকে শত্রুর ওখানে নতুন ধরনের রাইফেলের প্রাচুর্য। শেষ পর্যন্ত দু'ঘণ্টার চেয়ে বেশী মোকাবেলা অব্যাহত থাকতে পারেনি। সুবহে সাদিকের সময় পূর্ব দিক থেকে থানাভুনে অবিরাম গোলাবর্ষণ
শুরু করে ইংরেজরা।



তারপর শহরের পাঁচিল ভেঙে দেওয়া হয়, দরজা উড়িয়ে দেয়া হয় এবং তেল ঢেলে গৃহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যাকেই পাওয়া যায় তাকেই হত্যা করা হয়। মূল্যবান সবকিছু ইংরেজ সৈন্যরা পকেট ভর্তি করে নিয়ে যায়, অবশিষ্ট যা বাকি ছিল তা আশ পাশের গ্রামের লোকেরা লুটে নেয়। ফলে থানাভুন এক শূন্য বিরানভূমিতে পরিণত হয়।

থানাভুনের পর ইংরেজরা শামেলী দখল করে তার ধ্বংস সাধন করে। কাযী ইনায়াত আলী সাহেবের ব্যক্তিগত সহকারী মওলভী আব্দুর রহীম ছিলেন শহীদদের মধ্যে অন্যতম। তার সাথে তার সৎ মাকেও স্ব গৃহে শহীদ করা হয়। মোট ১৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের সকলকেই মহাজন ওয়ালাবাগানে ফাঁসি দেওয়া হয়।



আলেমদের প্রতি ইংরেজদের বিরূপ মনোভাবের কারণে এরপর আর কোন সংগঠন গড়ে উঠতে পারেনি। সরকার তাদেরকে গ্রেফতার করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করে। জনসাধারণকে বড় বড় লোভ দেখিয়ে তাদের ধরার জন্য চেষ্টা করা হয়, এমনকি কখনো কখনো শাসকরা তাদের নিকটও পৌঁছে যায়। কিন্তু প্রতিবারই তারা বিস্ময়করভাবে গ্রেফতারের হাত থেকে রক্ষা পান।


হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ সাহেব (রহ) দু'বছর হিন্দুস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে আত্মগোপন করে থাকার পর মক্কায় হিজরত করেন। কেবল মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহি গ্রেফতার হন তিনি ছয় মাস কারা নির্যাতন ভোগ করেন। তারপর সাধারণ ক্ষমার অধীনে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যান্যদেরকে সরকার আর উত্যক্ত করেনি। কাযী ইনায়েত আলী খান সাহেব তারপরেও অনেকদিন ইংরেজদের সাথে কয়েক দফা সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এসব সংঘর্ষের কয়েকটিতে তিনি জয়ীও হন। তাই তার বিরুদ্ধে বিপুল সংখ্যক সেনা নিয়োজিত করা হয় তাকে গ্রেফতার করার জন্য।এক সংঘর্ষে তার বিরুদ্ধে ইংরেজরা প্রায় তিন গুণ বেশী সৈন্য নিয়ে নিয়ে তাঁকে ঘেরাও করে এবং কামানধারী বিশাল ইংরেজ সৈন্যের বহর তাদের সাথে ছিল। ১০ ঘণ্টার যুদ্ধের পর উনার একটা ভুলের কারণে তিনি পরাজিত হন। এরপর হিন্দুস্তানের বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়ানোর পর তিনি আলোর রাজ্যের তাজারা গ্রামে এক বন্ধুর কাছে চলে যান এবং সেখানে নির্জনে নীরবে জীবন যাপন করেন, এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন, উনার মৃত্যুর পর মানুষ জানতে পারে তিনিই ছিলেন থানাভুনের মাশহুর মুজাহিদ কাযী ইনায়াত আলী খান।


ইংরেজদের হামলার পর থানাভুন সম্পূর্ণ বিরান হয়ে পড়েছিলো। এখানকার বাসিন্দারা অন্য এলাকায় বসবাস শুরু করে। মুজাহিদদের থেকে যাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয় তাদের নানাভাবে কোণঠাসা করে রাখা হয়। তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়, কাযী সাহেবের ২২ টি গ্রাম বাজেয়াপ্ত করা হয় যা বংশানুক্রমে তাদের জায়গীর ছিলো। গোটা এলাকা দু'বৎসর যাবত অনাবাদী ছিল। রানী ভিক্টোরিয়ার সাধারণ ক্ষমার ঘোষণার পর পুনরায় যখন তা আবাদ হয়, তখনও সেখানে ১৩২ জন শহীদের লাশ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। তাদেরকে ইংরেজরা মহাজনওয়ারা বাগানে ফাঁসি দিয়েছিল। তাদের লাশ কোন চিল-শকুন খায়নি, অন্য কোন জন্তু জানোয়ারও স্পর্শ করেনি- এ দৃশ্য দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়।থানাভুনে আযাদী যুদ্ধে মোট কতজন শহীদ হয়েছেন, তার সঠিক তথ্যের কোন রেকর্ড পাওয়া যায়নি।তবে অনেকে অনুমান করেছেন , অন্তত এক হাজার মানুষ বাসাবাড়ি স্থানান্তর-কালে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে জীবন দিয়েছেন।


থানাভুনের মুক্তিকামী মানুষের ভীতি দীর্ঘকাল ইংরেজদের মনে জাগরূক ছিল। তাই দীর্ঘকাল যাবত তাদেরকে সরকারী চাকুরীতে নেয়া হয়নি। সিপাহী বিপ্লবের কয়েক দশক পরেও তাদের পুলিশ বিভাগে নেওয়া হয় নি। এমনকি বিশ্বযুদ্ধের সময়ও এখানকার কোন লোককে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয় নি। ১৯১৭ সালে মুজাফফর নগরেরে কালেক্টর সি. ম্যুর থানাভুন দেখে বলেছিলেনঃ থানাভুন থেকে এখনো বিদ্রোহের গন্ধ আসে। সরকারের এমন বিদ্বেষমূলক আচরণের কারণে এখানকার জনবসতি আস্তে আস্তে কমে গিয়েছিল। এত বড় জনবসতি হওয়া সত্ত্বেও এখানে সরকার মিডল ক্লাস স্কুল পর্যন্ত স্থাপন করে নি- স্থাপন করেনি, কোন হাসপাতাল কিংবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান, অথচ এরচেয়ে অনেক ছোট জনবসতিতেও এসব প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছিল।



যাই হোক এরপর শাহ ওয়ালীউল্লাহ ধারার সেই আন্দোলন দীন ও শিক্ষা রক্ষা আন্দোলনে পরিণত হয় এবং আন্দোলনের কর্ণধাররাও রাজনীতি থেকে দূরে থাকবেন বলে ঘোষণা দেন। ফলে প্রতিষ্ঠা করা হয় মাযাহেরুল উলুম ও দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা। তারপরেও এই আন্দোলন প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে চলতে থাকে। ১৯০৭ সাল থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত "রেশমী রুমাল আন্দোলন" গোপনে চলতে থাকে। কিন্তু এই আন্দোলন শেষ পর্যায়ে গিয়ে কয়েকজনের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য সফল হতে পারেনি। তখন এ আন্দোলন দ্বারা হিন্দুস্তান আযাদ হয়নি, হতে পারেনি। কিন্তু এ আযাদী আন্দোলন আফগানিস্তানের জন্য ভিত্তি প্রস্তর হিসেবে প্রমাণিত হয়, যাতে প্রাচ্যে এক নবজাগরণ সৃষ্টি হয়। এরপর তারা অংশগ্রহণ করেন খিলাফত আন্দোলন সহ বিভিন্ন আন্দোলনে। ১৯১৯ সালে তারা প্রতিষ্ঠা করেন 'জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ"। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই পরবর্তীতে তারা স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।


মোটকথা আযাদী যে শিরোনামেই হোক এবং স্বাধীনতা যেভাবেই আসুক, তা ছিল ঐসব বুযুর্গদের অক্লান্ত চেষ্টার ফলশ্রুতি, যাতে শাহ ওয়ালিউল্লাহ ধারার বুযুর্গানে দীন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর তা ইংরেজরাও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল।একজন বৃটিশ জেনারেল যিনি ১৮৫৭ সালের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তার স্মৃতিচারণমূলক একটি লেখার একটি উদ্ধৃতি দিয়েই আমার লেখা শেষ করতে চাই:
”If to fight for one’s country, plan and mastermind wars against occupying mighty powers are patriotism, then undoubtedly maulvis (read Ulama hanged by the British rulers) were the loyal patriots to their country and their
succeeding generations will remember them as heroes.”
(Rebellion Clerics : P-49)



তথ্যাসূত্রঃ

১) উলামায়ে হিন্দ কা শানদার মাযি- মাওলানা মুহাম্মাদ মিয়া (র)
২) চেপে রাখা ইতিহাস- গোলাম আহমাদ মোর্তজা
৩) হায়াতে মাদানী ও আযাদী আন্দোলনে আলেম সমাজ
৪)একটি জীবন একটি আন্দোলন
৫)সাওয়ানেহে কাসেমী
৬) তাযকিরাতুর রশীদ
৭)নকশে হায়াত
৮)150 Years The First War of India's Independence
Recounting untold history
By M. Burhanuddin Qasmi
৯)Freedom fighters of India, edited by Lion
M. G. Agrawal
১০)A History of Indian Mutinity By G.W Forrrest C.I.E.
১১)The Indian Mutinity of 1857 By Colonel
G.B Malleson C.S.I
১২)RECORDS OF THE INTELLIGENCE DEPARTMENT
OF THE GOVERNMENT OF THE NORTH-WEST PROVINCES OF INDIA DURING THE MUTINY
OF 1857 By SIR WILLIAM MUIR, K.C.8.L, D
.C.L. SIR WILLIAM MUIR, K.C.8.L, D.C.L.
১৩)MASHA'IKH-E-CHISHT By Mujlisul Ulama
of South Africa
১৪)Deoband Ulema's Movement for the Freedom
of India By Farhat Tabassum
১৫)Muslim Freedom Fighters of India by S.Ganjoo
১৬)wikipedia
১৭)The Role of Popular Muslim Movements in
the Indian Freedom Struggle By Altaf Fatima
১৮)Ulama Freedom Struggle and Concept of
Pakistan By Mohammed Anwer Hussain
১৯)THE ROLE OF POPULAR MUSLIMS IN THE INDIAN
FREEDOM STRUGGLE By Qureshi Shaheen Sultana
২০)THE IMPERIAL GAZETTEER OF INDIA By W. W. HUNTER, C-S. I., CLE., LL.D
২১)http://www.indianetzone.com/47/history_saharanpur_district.htm
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১২ রাত ৯:৫৮
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রোএক্টিভিটি এবং কম্পাউন্ড ইফেক্ট: আমার গুরুত্বপূর্ণ দুইটি শিক্ষা

লিখেছেন মাহদী হাসান শিহাব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১১



আমার গুরুত্বপূর্ন দুইটা লার্নিং শেয়ার করি। এই দুইটা টুল মাথায় রাখলে দৈনন্দিন কাজ করা অনেক সহজ হয়। টুল দুইটা কাজ করতে ও কাজ শেষ করতে ম্যাজিক হিসাবে কাজ করে।

এক.

স্টিফেন কোভের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

লিখেছেন সায়েমার ব্লগ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৩

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ
ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

১।
যৌন প্রাকৃতিক, জেন্ডার নয়।জেন্ডার মানুষের সৃষ্টি (social, cultural construction)। যৌনকে বিভিন্ন সমাজ বিভিন্ন সময়ে যেভাবে ডিল করে, তাঁকে ঘিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্মৃতির ঝলক: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনুভূতি এবং মনের শান্তির খোঁজে

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০১



সরল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংমিশ্রণে একটি ঘূর্ণায়মান পথ জুড়ে ঘুরে বেড়ানোর অবস্থানে আমি খুব শান্তি অনুভব করি। নদীর জল ছুঁয়ে পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে এক আন্তরিক সংযোগ অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×