ইউটিউবে একজনের আমন্ত্রন পেয়ে আমি প্রথম আসি সামহয়ার এ। প্রথম প্রথম পড়ে কিছুই বুজতাম না। শুধু একটা জিনিশ ই বুজলাম "এখানে দলাদলি" আছে। ভাব্লাম বাংলাদেশী থাকবে আর দলাদলি থাআকবে না...হতেই পারে না।
কিহু দিন চল্ল আমার শুধুই পোস্ট পড়া। অনেক জ্ঞ্যান হল। আগে মনে করতাম শুধু বিদেশী আর ভিন্ন ধর্মের লোক জন ই ইসলাম নিয়ে কটু কথা বলে। এখানেই প্রথম দখলাম না আমার মাতৃভাষা ও মুস্লীম নিকেই অনেকে খারাপ কথা বলছে। প্রতিবাদ আমার মনের ভিতরেই থেকে যেত যেহেতু বাংলা ভাল টাইপ করতে পারতাম না।
এমন সময় প্রথম আমি লিখার চেস্টা করি। প্রথম আলোই একটা নিউজ পড়ি যে সরকার দেশের পাঠ্যপুস্তকে রচিত বিকৃত ইতিহাস নতুন করে রচনার উদ্যোগ নিয়েছেন।
আমি খুব ই খুশি হলাম এই জন্য যে দীর্ঘ ৩৫ টা বসর আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে, অনেক বই পড়তে হয়েছে ইতিহাসের কিছু ব্যক্ষা পাবার জন্য। আমার ছেলে রা এখন মাধ্যমিক ক্লাসেই সব জানতে পারবে।
কিন্তু ঘর পোড়া গরু আর সিদূরে মেঘ নিয়ে একটা কথা আছে না। তাই অনেক কস্ট করে একটা লিখা খাড়া করলাম।
সৃস্টির আনন্দ যে এমন তীব্র, সেই দিনই তার আস্বাদ পেলাম।
আমার যুক্তি ছিল, জামায়াত ইসলামি (রাজাকার) বি এন পি(রাজাকার এর প্রশ্রয় দানকারী ) হিশাবে দখানো হলেও শেখ মুজিবর রহমান এর বাকশালী আন্দলনের কোন ইতিহাস কেন পুস্তকের কোন পাতাই নেয়। তার মানে কি এমন কোন ঘটনা আমাদের দেশে ঘটেনি ? যদি এমন ঘটনা (বাকশালি আন্দলন, ব্যাংক ডাকাতি, নারী অপহরন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরন) হয়ে থাকে তাহলে এইগুলাও পুস্তকে স্থান পাবার দাবি রাখে।
ব্যাস!!!!শুরু হয়ে গেল
প্রথম কমেন্ট আসল আমি নাকি হরিদাশ? তার পরে আমাকে বানান হল ছাগল, কাঠাল পাতা চিবাতে দেওয়া হল,
একজন বলল আমি শিবির.........আমার পে রোল আসে মগবাজার থেকে।
অনেকে পাকি দালাল ও বানিয়ে দিলেন।
যায় হোক আমার দৃস্টি কিন্তু আজকে ওখানে না। নতুন পাঠ্য বই বেড়িয়েছে। নতুন করে ইতিহাস লিখা হয়েছে? এখন কি কেও বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন আপনার ছেলে মেয়েরা বাংলাদেশের শঠিক ইতিহাস টা পাঠ্যপুস্তক থেকে পড়ে জান্তে পারবে?
যেই লাঊ সেই কদুই থেকে গেল। এক নেতার থেকে ১০ পাতা কেটে আর এক নেতা কে দেওয়া হল। ফলাফল কিন্তু শুন্যই। একজন মানেন তো আর একজন মানেন না।
জাতির ইতিহাসের বিতৃত বিশৃংখলার জগদ্দল পাথর আমাদের বুক থেকে কবে নামবে কে জানে?