ঠিক আগের পোস্টে আরিলকে একটি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলাম। লিখেছিলাম : সাতদিন আরিল। সাতদিন আপনি বিশেষ নীতিমালা করে স্বাধীনতা বিরোধী নিক এবঙ তাদের পোস্ট বন্ধ রাখন। সেই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সামহোয়ারের চেহারা যদি না ফিরে, আমি অমি রহমান পিয়াল নাকে খত দিয়ে আপনার গুলশান অফিসে ঢুকব। জিভ দিয়ে চেটে চকচক করে দিয়ে আসব আপনার জুতো।

সামহোয়ার এই চ্যালেঞ্জ নেবে না। কেনো নেবে না সেটার জবাব খোঁজাও বৃথা। শুধু বলি এর পেছনে কিছুটা ক্লাস কনসেপ্ট কাজ করে। মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্টে যে শ্রেণীর লোকজন কাজ করে তারা উচ্চ এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত। এবং আইটি রিলেটেড। ভদ্রলোকের সন্তান। সুশিক্ষিত। গালিটালি দেয় না। শুনলে বিরক্তিতে ভ্রু কুচকায়। এই শ্রেনীটাই বাংলাদেশের এলিট শ্রেনী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তাদের নিত্যকার যাপনে কোনো প্রভাব ফেলে না। তারা অফিসে এসে যখন ব্লগ খোলেন তাদের কাজের মধ্যে হচ্ছে ব্লগে কি লেখা হচ্ছে। সেটায় কামারুজ্জামানের ছেলে কি লিখল আর অমি রহমান পিয়াল কি লিখল সেটা মুখ্য নয়। ভিজিটর কতো হয়েছে, আরো কিভাবে বাড়ানো যায় সেটা মূখ্য। কেউ গালি দিলে পরিবেশ রক্ষার্থে তার ব্যান মূখ্য। যার কারণে দিলো সেটা মূখ্য নয়। কারণ দে আর নট একচুয়ালি ইনভলভড ইন দ্য ব্লগস্ফিয়ার। আমাদের একটা প্লাটফর্ম দিয়েছেন, তাদের কাজ ব্লগ পুলিশের। মূর্খ পুলিশের। যারা বোঝেনই না ব্লগের আবহাওয়া, ব্লগারদের মানসিকতা। ভিড় দেখলেই লাঠি চার্জ। খালি সুশীল এবং মেনিমুখো নাটের গুরুরাই তাদের পছন্দের। এব্যাপারে অসাধারণ একটি পোস্ট দিয়েছেন সুব্লগার একরামুল হক শামীম। সামহোয়ারের নীতিমালার অসাধারণ ব্লিশেষণ।
যাহোক। রাজাকার মুক্ত ব্লগান্দোলনের একটা পর্যায় গিয়েছে গত রাতে। সামহোয়ারের ভাষায় ন্যায্য এবং ব্লগারদের ভাষায় অন্যায়ভাবে ব্যান হয়েছেন কিছু ব্লগার। এদের আনব্যান করা হবে বলে একটা প্রতিশ্রুতিও ঝুলছে স্টিকি পোস্ট হয়ে। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হবে এই আশায় থাকছি। তবে তার আগে কিছু ঘোষণাও দিয়ে যাচ্ছি। এই ঘোষণা জন্মযুদ্ধ গ্রুপের পক্ষ থেকে আমি অমি রহমান পিয়াল ব্যক্তি উদ্যোগে দিচ্ছি। যারা সহমত, তারা আমার পাশে থাকবেন বলে আশা রাখি।

প্রথম ধাপ :

আমরা রাজাকার মুক্ত সামহোয়ার ইন ব্লগ চাই। আমরা চাই লেখালিখির সুস্থ পরিবেশ। সে পরিবেশ আদায় করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। যারা ব্যান হয়েছেন, তারা নিশ্চিতভাবেই ব্লগকে ভালোবেসে, স্বাধীনতার চেতনাকে ভালোবেসে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ব্যান হয়েছেন। এই ব্লগাররা আনব্যান হয়ে পোস্ট না করা পর্যন্ত সামহোয়ার ইনে আমরা কোনো পোস্ট করবো না। সহযোদ্ধারা এটুকু সম্মাণ পেতেই পারেন আমাদের কাছে।

দ্বিতীয় ধাপ :

ব্যান হওয়া ব্লগাররা সবাই ফেরার পর আমরা যে সামহোয়ার ইন দেখতে চাই, সেভাবেই লেখালেখি করবো। আমরা সবাই নিজেদের পোস্ট দেবো। যিনি গল্প লিখতে চান লিখবেন, কবিতা, দিনলিপি, মজার ঘটনা, দুঃখজনক স্মৃতি- সোজা কথা আইডিয়াল পোস্ট। আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের পোস্ট পড়ব, ভালো লাগা খারাপ লাগার কথা জানাবো। আমরা প্রিয় ব্লগবাগানকে মনের মতো করে সাজাবো।

এই সময়টায় আমরা স্বাধীনতা বিরোধী ব্লগার গ্রুপটাকে সরাসরি উপেক্ষা করবো। তাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করবো। তারা আমাদের ব্লগে ব্যান থাকবে। এবং আমরা তাদের ব্লগে যাব না। আবারও বলছি। আমরা তাদের ব্লগে যাব না। আমরা জানি আমরাই সংখ্যায় বেশি। আমরা লাইন ধরে তাদের উপেক্ষা করবো। তারা যত দৃষ্টি কাড়া পোস্টই দিক। আমরা উপেক্ষা করবো।

পাশাপাশি এদের কেউ মরিয়া হয়ে যখন স্বাধীনতা বিরোধী পোস্ট দিবে। কেউ একজন সেটা চিহ্নিত করে একটি পোস্ট দেবেন। সেই পোস্ট আপত্তিকর জানিয়ে সামহোয়ারের সকল ব্লগার কোনো সমস্যা বাটনে সেটার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন। শুধু বিবিএ টিমের কাছে নয়। মেইল করবেন সরাসরি আরিলের কাছে। সেটার সিসি করবেন জানা এবং দেবোরা বোসকে। যতক্ষণ না ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, মেইল যেতেই থাকবে তাদের কাছে। এবং সেটার আপডেটও দেয়া হবে। নিচের ঠিকানায় মেইল করবেন এবং সিসি দেবেন:
[email protected]
[email protected]
[email protected]
[email protected]
[email protected]
[email protected]

তবে সবার আগে চাই কমরেডদের মুক্তি। তারা আনব্যান না হওয়া পর্যন্ত আমি অমি রহমান পিয়াল কি-বোর্ড বিরতিতে যাচ্ছি। যাদের মনে হয় অন্যায়ের শিকার ব্লগারদের প্রতি এভাবে সমর্থন দেবেন, তারা চাইলে আমার সঙ্গে যোগ দিতে পারেন। হ্যাপি ব্লগিং