বাজ পাখির শিকারী চোখে বিস্ময়!
পাহাড়ের ধারে চুলহীন বৃদ্ধ বৃক্ষের চূড়ায়,
তার সুরক্ষিত বাসায় স্যালমন মাছ!
বিস্ময় যখন চোখ হয়ে জংশনে যাচ্ছিল,
ততক্ষনে ধারালো নখগুলো ভুলে গেছে তাদের প্রাচীন কর্তব্য!
আজরাইল এর শক্তি নিয়ে থাকা ঠোটগুলো হারিয়েছে কঠোরতা।
গত ছাব্বিশ বছর তিক্ষ্ন নকশা দিয়ে যাকে ভোগ করতে হতো,
সে আজ তার নিরাপদ ঘরে।
স্যালমন কি জানে না, এ ঘরে পানি নাই!
এ ঘরের ভালোবাসা স্বীকৃতি দেয়নি কোন বাজও,
এ ঘরে প্রাণ আছে শুধুমাত্র বাস্তুসংস্থানের প্রয়োজনীয়তায়!
এ ঘরে টান নাই, বাণ নাই আছে শুধু অস্তিত্ব!
যা কিনা বেচে থাকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে!
মহাবিশ্বে প্রথম কোন বাজের নকশা
পানির স্বাধ ফিরিয়ে দিতে মায়াবী চোখের স্যালমনের পক্ষে!
বাজ শুধালো,
“স্যালমন, সমাজের চোখে অত্যাচারি বাজ থেকে তুমি কি কিছু চাও?”
উত্তর দিতে সময় লেগেছিল তিনদিন।
ততদিনে বাজের ঘর পরিণত হয়েছে পুকুরে!
যার পাড়গুলো মায়া দিয়ে গড়া, তল বিশ্বাস দিয়ে!
অস্তিত্বের প্রশ্ন হারিয়ে গেছে, বাস্তুসংস্থানের চক্র আটকে গেছে!
জমিনের শিয়াল সমাধান হারিয়েছে!
শরমের মাথা খেয়ে, সত্যের শক্তি নিয়ে, রাতের শেষে
স্যালমন তৃতীয় দিন বলেছিল, আমি পূণ্যবান হিসেবে স্বীকৃতি চাই!
তখন পাখিরা ডাকছিলো।
বাজ বেচে থাকার কারণ বুজিয়া, কৃতজ্ঞতা জানাতে উদ্ধাকাশে ছুটতে শুরু করলো!
উৎসর্গ:
জান্নাত ই জাহান
০৫.০৬.২০১৬
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৫