ভাঙাচোরা গ্রন্থের সমুদয় পাপ, সাহিত্য কর্মে-ধর্মে যে-ই সাধনসঙ্গী হতে চাইল। যুগ-ঝঞ্ঝার ফুঁৎকারে লেখক পরিচিতির শেষ অংশে অমনি লিখে রাখা হলো—
ভালোলাগা সামলে রাখুন।
অজানা-অচেনা রাজ্যতে বসবাসের চিন্তা আসল নৈর্ব্যক্তিকভাবেই। ভেবে ভাল লাগছে- বিদ্যমান নেশায় প্রতিনিধিত্ব করছে প্রকাশক্ষম অপব্যাখ্যার রাষ্ট্রীয় সাহিত্যরূপ। দুরূহ তে আচ্ছন্ন রেখে জীর্ণতার গুরুবাক্য পুনঃপ্রকাশ করার অধিকার আমাকে দেওয়া হয় নাই। অথচ আমাকে এ রাজ্যের পরিমিতিবোধ সম্পর্কে নিরীক্ষার দায়িত্বে অভিষিক্ত করা হয়েছে; অনেকটাই আলো-আঁধারির নিসর্গে অতীত চিহ্নিত এক শিল্পালয় এবং বিহ্বলতার প্রাচীর ।
চতুর্দশ শতকের আধাবিমূর্ত প্রাঙ্গণ সুবোধ্য কায়দায় বাতচিত করলো বটে। কিন্তু গাত্রবর্ণে স্বাতন্ত্রিক প্রজ্ঞার সহজাত আভা দেখে কাছাকাছি হতে আপত্তি জানালাম। গুণগ্রাহী অনেকে উৎকৃষ্ট সংযোজন সহকারে সাহচর্য নিয়ে পাশে আসতেই, আমার সাফ জবাব—
ভালোলাগা সামলে রাখুন।
একশত ছয়টি নির্বাচিত অভিঘাত বহুবিচিত্র সম্পাদনায় অনবদ্য হবে, এহেন ইঙ্গিত চার মাত্রার তালে দীর্ঘক্ষণ বেজে চললো। জানি, অন্তত কেউ-না-কেউ তো সাড়া দিবেন নিশ্চয়ই ! সংঙ্কারতিক্ত আমোদ ও পোষিত আস্থা বলে কথা।
মাধুর্য-ঝঙ্কার কাজে লাগাল কি ? নিশ্চিত হবার উপায় নেই। তবে এইক্ষণে উপলব্ধির প্রামাণ্যলিপি সাফল্যের মুখ-মনস্ক চিত্তে প্রায় চকমকিত ! আত্মপ্রচারের দাপট দেখে দু-একটা অধম-নরাধম জয় জয় আহবানে স্বচর্ম পরিত্যাগের ইচ্ছায় উচ্ছ্বসিতও হতে দেখলাম। কথা-চালাচালির শেষ পর্যায়ে, দন্তযুগলে শক্তভাবে সাহিত্যিক শ্রদ্ধা ও সমকালীন ছাতামাথা-সম্মাননা চূর্ণ(পদাঘাত) মেখে আমার সোজাকথা-
আমার পকেটে অর্থ, হস্তে পণ্ডিতি সত্তা, প্রচারণায় হিতবাদী মাধ্যমশক্তি ও সাম্রাজ্যভুক্ত সংগঠন আছে মশাই, হুম ! তাই বলি—
আপনার ভালোলাগা সামলে রাখুন।
অন্ধবিন্দু | সামহোয়্যার ইন...ব্লগ
চিত্র:দ্যা গালফ স্ট্রিম-উইন্সলো হোমর