somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গঃ ডাক্তার

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পুলিশ এক দাঁড়ি টুপি পাঞ্জাবী পরিহিত রিকশাওয়ালাকে নাকে খত দেয়াচ্ছে।অন্য সবার মত আমিও এটাকে সিজদা বলেছি।যদিও ওটা সিজদা না ওটা “নাকে খত”।
আলোচনা সেই বিষয়ে না।আলোচনা পুলিশের অবস্থার জন্য।
পুলিশ এর টার্গেটকৃত অনেক বাড়ি বা মানুষ আছে যাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে মাসোহারা নেয়।ঘুষ,দুর্নীতি চাঁদাবাজি এমন কোন সেক্টর নাই যেখানে পুলিশকে পাওয়া যাবে না।
যাই হউক প্রসঙ্গ আমার ডাক্তার।
নিকট অতীত বা তারও আগ থেকেই মূর্খ জনগণ ডাক্তারদের কসাই ভাবতো।সেটা মানুষের ভাবনা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল।তবে ইদানীং সরকার ডাক্তার দের কে জনগণের প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছে।
সরকার যখন এহেন ভূমিকায় তখন ডাক্তার সমাজ বা জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজটা কে করবে?
কয়েকদিন আগে প্রশ্নপত্রে লোভী বিশেষণটি সরাসরি ডাক্তারদের গায়ে লেপন করে দিয়েছে।এটা একটা চূড়ান্ত চক্রান্ত বই আর কিছু না।লোভী হয় মানুষ।সেখানে ডাক্তার বা পুলিশ বা কোন পেশার সাথে কোন অর্থে এটি করা হয়েছে?
উন্নত বিশ্বে এমনটা হলে প্রশ্নকর্তার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা হত।
ছোটবেলায় রিকশা দিয়ে চরতে গিয়ে দেখতাম রিকশাওয়ালাদের মত খারাপ আর কেউ নাই।
উকিলের চেম্বারে যাওয়া যেদিন থেকে শুরু করলাম,দেখলাম এরাই বোধ হয় সবচেয়ে খারাপ।
পুলিশের থানায় অফিসিয়াল কাজ বা যে কোন ক্ষেত্রেই এই বিড়ম্বনা আর লোভীদের খপ্পরে পড়েছি।
সেখানে এক ডাক্তারদের কে কেন চূড়ান্ত প্রতিপক্ষ বানানো হচ্ছে?
আমি ডাক্তারদের খুব পছন্দ করি এমন বলবো না।কারণ আমার আত্মীয়দের মধ্যে থাকা সকল ডাক্তারদের আত্তঅহমিকার রূপ দেখেছি।তবে সেটা যে আসলেই ডাক্তার বলে এমনটা তো নাও হতে পারে।মূলত আত্মীয়দের মধ্যে রেষারেষি থাকে আর সেই অর্থে সেটা হবার সম্ভাবনাই বেশী।
বিশ্বে কোন ডাক্তার সবচেয়ে ধনী এমন কিন্তু কোন প্রমাণ নেই।বরং সকল ধনীদের সবাই অন্য পেশার সাথে জড়িত এবং তাদের শতকরা ৯৫ ভাগই লোভী শুধু না চরম লোভী।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে যত চোর আর দুর্নীতিবাজ এখন পর্যন্ত চিহ্নিত তার অন্তত ৯৮ শতাংশই ডাক্তারি পেশার সাথে জড়িত না।
কোন দুর্নীতিবাজ চোর বা লোভীদের নাম এখানে নিতে চাচ্ছি না কারণ সেক্ষেত্রে অনেকেই লিখাটির সাথে রাজনীতির গন্ধ খুঁজতে পারে।
বাংলাদেশের ডাক্তারদের ব্যাপারে যদি বলা হয় তবে দেশের জনগণের যে চাপ তাতে ডাক্তারদের অবস্থা বিবেচনা না করে ডাক্তার আর দেশ যেভাবে মুখোমুখি দাড় করানো হচ্ছে তাতে স্বাস্থ্যখাত শুধু ভেঙ্গেই যাবে।সমাধান হবে না এটাই চূড়ান্ত।
বাংলাদেশে প্রতি ৩০১২ জন রোগীর জন্য একজন করে ডাক্তার আর ২ লাখ ৮০ হাজার দরকারি নার্সের বিপরীতে আছে মাত্র ২২ হাজার নার্স।প্রতি ২৬৬৫ জন রোগীর জন্য মাত্র একটি করে সরকারী বেড আছে সরকারী হাসপাতাল গুলোতে।
এই অপ্রতুলতার মধ্যে একজন ডাক্তার বাধ্য হয়ে যে পরিমাণ রোগী দেখে তা কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সম্ভব না হলেও বাংলাদেশের ডাক্তাররা তা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে।
তারুপর রেফারাল সিস্টেম না থাকাতে রোগীদের ডাক্তার দেখানোর সিস্টেমে গলদ আছে যার কারণে সবাই ছুটছে বিশেষজ্ঞদের কাছে আর সেই বিশেষজ্ঞ প্রকারান্তরে বাধ্য রোগী দেখতে।এরকম একটি সিস্টেম যখন তাকে বাধ্য করে তখন এক সময় টাকাটাও তার কাছে একটা বিষয় হয়ে উঠে।কিন্তু সেটা যে সম্পূর্ণ তার উপর পড়বে এমনটা টোটালি অনুচিত।কারণ স্বাস্থ্যসেবায় সরকারী সিস্টেম না থাকাতে বেসরকারি ক্লিনিক মালিক গুলো মূলত এই কসাইখানা খুলে দোষ ঢালছে ডাক্তারদের কাঁধে।অথচ এর বেশীরভাগ লভ্যাংশ কিন্তু জোর করে যাচ্ছে ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারদের মালিকদের পকেটে।
সরকারী হাসপাতালে দ্বিতীয় তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের দুর্নীতি আর চুরি ডাকাতি,কাজে ফাঁকি দেয়ার প্রভাব ও পড়ছে ডাক্তারদের ঘাড়ে।
ঔষধ কোম্পানি গুলোর বেপরোয়া দৌরাত্ম্য ও ডাক্তারদের বাধ্য করছে অনেক সময় অনৈতিকতার কাছে মাথা নত করার জন্য।
আরেকটি যে বিষয় বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যাবস্থায় সিগ্নিফিকেন্ট নেগেটিভ ভূমিকা রাখে তা হল কোন ধরনের প্রেস্ক্রিপশান ছাড়া ফার্মেসী ওয়ালাদের ডাক্তার বনে যাওয়াও ডাক্তারদের কে লোভী বা কসাই খেতাব পেটে ভূমিকা পালন করছে অথচ এসব ফার্মেসীওয়ালাদের কোন রাইট নেই একজন ডাক্তারের কন্সার্ন ছাড়া একটা ঔষধ বিক্রি করার।
একজন ডাক্তার এর ৩০০ টাকার ভিজিটের বিপরীতে যখন একজন ফার্মাসির মালিক আন্দাজি কিছু ঔষধ দিয়ে দিচ্ছে রোগীকে আর সেই ঔষধ খেয়ে হয়তো কয়েকদিনের জন্য রোগটি ডোমে যায় আর লোকজন প্রচার করতে শুরু করে যে ডাক্তারের কাছে গেলেই এই দিতো সেই দিতো করে অনেক টাকা খরচ করাতো অথচ ফার্মাসি তে কিছুই দিতে হয় নাই।আলটিমেটলি একসময় সেই রোগ বাসা বেঁধে যখন ডাক্তারের কাছে আসে তখন হয়তো সময় শেষ হয়ে যায় আর ডাক্তার তার সর্বৌচ্চ চেষ্টা করেও ব্যার্থ হলে সে খেতাব পেয়ে যায় উদাসীন এবং কসাই।
স্বাস্থ্যখাতে সরকারী হাসপাতালের যে করুন অবস্থা তাতে একজন ডাক্তার চাইলেও ভালো চিকিৎসা দেয়া সম্ভব না।কিন্তু অব্যবস্থাপনার জন্য সম্পূর্ণ দোষ পড়ে ডাক্তারদের ঘাড়ে যেখানে সাধারণ ডাক্তারদের কোন কিছুই করনীয় নেই।
কারণ বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যেখানে প্রতিটা ক্ষেত্রে আছে রাজনীতি।ছাত্র রাজনীতি,দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের কমটি,তৃতীয় শ্রেণী,ডাক্তার এমনকি কাজের সব জায়গায়।ট্রেড ইউনিয়ন বা বিভন্ন ইউনিয়নের নামে নোংরা রাজনীতির অন্যতম শিকার ডাক্তার সমাজ।
মেয়েদের সিজারিয়ানের ক্ষেত্রে একটা বাস্তব উদাহরণ দিচ্ছি।”স্বনামধন্য একটি বেসরকারি প্রাইভেট ক্লিনিকে এক সাংবাদিক তার স্ত্রীকে সন্তান ডেলিভারি দেয়ার সময় নিয়ে আসে।অবস্থা এতোটাই ভয়ানক ছিল যে ডাক্তাররা বলল যে উনার সিজারিয়ান করতেই হবে।সাংবাদিক এর এক কথা নর্মালে ট্রাই করতে হবে।কিন্তু সিচুএশন আসলেই ওইরকম ছিল না। সেক্ষেত্রে সাংবাদিক এর লিখিত নিয়েই তারা নর্মাল ডেলিভারির জন্য অপেক্ষার এক পর্যায়ে অবস্থা খুব খারাপ হলে আর কোন চেষ্টাই সফল হয় নি।গর্ভের বাচ্চাটি মারা যায়।সাংবাদিক তার সাক্ষরিত কাগজ কে থোড়াই কেয়ার করে শিশু বাচ্চা হত্যার দায়ে প্রধান ডাক্তারকে দিনের পর দিন কোর্ট প্রাঙ্গণে হাজির করিয়ে যাচ্ছে।
আবার এক ডাক্তার তার রোগীকে একটু মাথা তুলে খেতে বললে রোগীর স্বামী ডাক্তারকে ব্যাশ্যা,মাগী সহ আরও নোংরা ভাষায় অকথ্য গালি গালাজ শুরু করে এমনকি সেই মহিলা ডাক্তারকে এটাও বলে যে আমি তোদের মত ডাক্তারকে প্রতিদিন পয়দা করি।পড়ে জানা যায় সেই স্বামী আসলে পুলিশের এসআই।অথচ ডাক্তারের কোন দোষ ই ছিল না।বরং ডাক্তার এত সুন্দর ব্যাবহার করেছিল কিন্তু স্বামীটি তার প্রভাব দেখাতে ডাক্তারকে অঝথা লাঞ্ছিত করে।
আবার সন্তান ডেলিভারির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রোগীরা ১৬ থেকে ২২ ঘণ্টার যে নর্মাল ব্যাথা তা মানতে চায় না।তাই তাদের পক্ষ থেকেই মারাত্মক প্রেশার থাকায় আজকাল অনেক ডাক্তার ইচ্ছে করেই প্রথমেই সিজারিয়ানে যায় যাতে রোগীর আত্মীয়দের কটু কথা না শুনতে হয় অথচ এটাই তাদেরকে কসাই বানিয়ে দিয়েছে।
অথচ উন্নত বিশ্বে রোগীর আত্মীয়দের সাথেই রাখতে দেয় না।তাই তাদের পক্ষ থেকে বাঁদরের মত লাফালাফি করাই সম্ভব হয়ে উঠে না।

বাংলাদেশে ডাক্তাররা প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ আর নিরাপত্তার হুমকির কারণে তটস্থ থাকতে হয়।যা সুস্থ চিকিৎসার ক্ষেত্রে অন্তরায়।
আবার একটা জিনিষ বুঝতে হবে যে ডাক্তারদের পড়াশোনার প্রেশার কখনো শেষ হয় না এবং সর্বোপরি তারাও মানুষ।তাই তাদেরকে দুনিয়ার বাইরের এলিয়েন মনে করে আমরা যা প্রত্যাশা করি সেটা আমাদের উপর হলে আমরা কি রেসপন্স করতাম?

ডাক্তারদের যে বেতন বা সুবধাদি তা কি কোনভাবেই তাদের মাথা ঠাণ্ডা রেখে সেবার দিকে উদ্ভুদ্ধ করতে পারে?অথচ উন্নত বিশ্বে ডাক্তারদের ডিউটি টাইম,ওভার টাইম,রিলাক্সের যে সুবিধাদি তাতে তারা নিশ্চিন্তে সেবার দিকে ব্রত হয়।
স্বাস্থ্যখাতে সরকারের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা,কু রাজনীতি,সেবার মান বাড়ানোর কোন পদক্ষেপ না নেয়া আর মানহীন ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমতি দেয়াই প্রথম এবং প্রধান সমস্যা।
সেখানে নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে ডাক্তারদের লোভী কসাই বানিয়ে সরকার আমাদের আসলে কি দিতে চাচ্ছে?
তারউপর গত ১৬ বছরে মানহীন ২৬ টি বেসরকারি মেদিক্যলের অনুমতি সহ কেন ৫৩ টি মেদিক্যেল কলেজ খোলা হয়েছে যেখানে বেশীরভাগটুকুই হল ব্যাবসা।

বলছি না সব ডাক্তার ভালো।তবে শতকরা ৮৫ ভাগ ডাক্তার ভালো মানসিকতা পোষণ করে এবং তার মধ্যে বেশীরভাগ অন্যান্য চাপের কারণে ইচ্ছে থাকলেও ভালো কাজ করতে পারে না।
আরেকটি কথা না বললেই নয়।একজন ভালো ডাক্তার ইচ্ছা করলেই ভিজিট ফি কমিয়ে রাখতে পারে না।কারণ কম ভিজিট দেখলে সেই ডাক্তারের কাছে কোন রোগী যেতে চায় না।তো এই যে সাইকলজিক্যল প্রবলেম এ থেকে উত্তরণের পথ কি সাধারণ মানুষ দেখাতে পারবে?
একটা সুন্দর সুস্থ সাচ্ছন্দ্যময় জীবনের জন্য যতটুকু অর্থ দরকার তা যদি সরকার মিটিয়ে দেয় তবে নিশ্চয়ই ডাক্তাররা এমন হবে না আবার এইটুকু অর্থ চাওয়ার অধিকার একজন কঠিন অধ্যাবসায়ি ডাক্তার এর অবশ্যই আছে আর সেই থাকা থেকে রোগী প্রতি কিছু টাকা তাকেও নিতে হয়।এখন এক ডাক্তারের জন্য যদি ৩০০০ এর উপর রোগী বরাদ্দ থাকে তবে সে কি করতে পারে?

পরিশেষে একটা কথা একটু বলতেই হয়,ডাক্তারদের একটা অংশ আত্মঅহমিকায় ভোগে।যার কারণ সে ডাক্তার এটার চেয়েও আমাদের পরিবেশ বেশী দায়ী কারণ আমাদের পরিবেশ আমাদেরকে কখনোই শিখায় নাই যে আমরা মানুষ বরং আমাদের শিখিয়েছে যে আমরা কেউ ডাক্তার,কেউ ইঞ্জিনিয়ার কেউবা বিলিওনার কেউবা বড় ব্যাবসায়ি।তাই এই সমাজে মানুষ পরিচয়ে যখন কেউ নাই তখন ডাক্তাররা একটু এরকম করা আহামরি দোষের কিছু নাই।যদিও পুরো সিস্টেমটাই জঘন্য।
ডাক্তার জনগণ মুখোমুখি হলে দেশ তার শেষ জায়গাটুকুও ভেঙ্গে ফেলবে।সেবার মান বাড়াতে ডাক্তার নয় সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
ডাক্তার দের খেলনা নয় রাজনীতি মুক্ত হয়ে মূল্যায়ন করতেই হবে তবেই সেবার মান বাড়বে।
সবাই লোভী এবং তারমধ্যে একমাত্র ডাক্তাররাই সম্ভবত মানুষের মাথায় এখনো হাত বুলিয়ে দেয় ইচ্ছায় আর অনিচ্ছায় হউক।
(আমার লিখার আরও কিছু বিষয় আনতে চেয়েছিলাম।কিন্তু আশা করি এতেই কিছু বুঝবেন তাই সংক্ষিপ্ত করে শেষ করলাম)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪৩
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×