একজনকে প্রশ্ন করলো একুশে ফেব্রুয়ারি কি?
চমৎকার উত্তর দিয়েছেন।সম্ভবত হাজারের বছরের শ্রেষ্ঠ উত্তর বললেও ভুল বলা হবে না।
উত্তরটি ছিল এরকম !
আসলে ২১ শে ফেব্রুয়ারির ভাষা তো এখন আর আমরা ব্যাবহার করি না।তাই জানি না।
প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞাসা করলো?
আপনারা ভাষা ব্যাবহার করেন না?
উত্তরদাতাঃ আসলে আমরা জব ব্যাবসা নিয়ে ব্যাস্ত থাকি তো তাই ভাষা ব্যাবহারের সময় পাই না।তাই আমরা জানি না।
আসলে জানে না এটা তো কোন বিষয় না।না জানতেই পারে তবে বাঙ্গালীর পাকনামো করার চিরায়ত যে স্বভাব সেই স্বভাব থেকে সে কখনো পশ্চাদপদ এ কথাটি স্বীকার করবেই না।
এমনকি ১০০ শতাংশ ভুল বলেও সে বলতেই থাকবে যে আমিই সঠিক টি বলেছি।সবাই শত্রুতা করে আমাকে ভুল বলছে।
সব জায়গায় এই প্রবণতা আছেই।
কেউ কেউ তো শতভাগ ভুল মাঝে ডুবে থেকেও বুদ্ধিজীবী হয়ে বসে আছে।সে নিজে কিন্তু ভুল আর ভুল এবং মিথ্যা তথ্যের একটা গোডাউন কিন্তু সে কিন্তু প্রতিনিয়ত বুদ্ধি বিলিয়েই যাচ্ছে।
৭১ এ পাকিদের সাহায্য করেও যেমন বড় বড় মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছে তেমনি ক্লাশে ফেইল করেও বুদ্ধিজীবী বা জ্ঞান বিতরণের আঁধার হয়ে আছে অনেকেই।
গানের “গ” ও জানে না কিন্তু দিব্যি গানের প্রধান সমালোচক।আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ মাড়ায় নি কিন্তু সে বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে বসে আছে।
ডাক্তার সঙ্ক্রান্ত কোন ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নিয়ে আছে।
যোগ্যতার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই মুল বিষয় না।তবে যারা গোবরে পদ্ম ফুল হয়ে ফোটে তাদের সংখ্যা তসবিহর ছড়ায় গুনা যায় না।তাই যোগ্যতর ব্যাক্তির স্থান যোগ্যতম জায়গায় হওয়া উচিত।
সেই সাথে জানি না এ কথাটি স্বীকার করে শেখার চেষ্টা করাই জ্ঞানীর লক্ষণ।না জেনে খুব জানি ভাব মানুষ হলে কাজের কাজ কি হয় জানি না তবে সমাজ থেকে শিক্ষার আলো নিভে যায় এবং লজ্জা ও কমে যায়।
২১ আমার একটি ইতিহাস।বাঙ্গালী জাতির মাথায় এই ইতিহাস ঢুকানোর দায়িত্ব সরকারের আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।শুধু ভাষণ আর রাজনীতি দিয়ে এই ইতিহাসের জ্ঞান অর্জন হবে না আর আমরা দিনকে দিন কৌতুক দিবস হিসেবে এই দিনটির অপেক্ষা করতে থাকবো।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৪