“৪২০” বা “ফোর টুয়েন্টি” নাটকটি কে কে দেখেছেন হাত তুলেন।
নাহ থাক হাত তুলতে হবে না,যারা দেখেছেন তাদের উদ্যেশ্যেই বলছি।আর যারা এখনো দেখেন নাই,তারা মন চাইলে দেখতে পারেন।
যাই হউক যারা যারা দেখেছে তাদের সবার ভাষ্য এক,
“বাংলাদেশের রাজনীতির আসল এবং সত্যিকারের প্রকৃত রূপ এখানে তুলে ধরা হয়েছে এবং এটাই বাংলাদেশের রাজনীতির চরিত্র।এভাবেই বাংলাদেশের প্রধান দুই দল রাজনীতি করে। “
এই পরিমাণ মন্তব্য ঝেড়ে ফেলার পর আলোচনার টেবিলে যেয়েই শুরু করে জামায়াত-শিবির এই করেছে সেই করেছে,হেন তেন।
একটু আগে কি দেখে কি মন্তব্য করে গেলো আর এখন কি বলে!
মোস্তফা সারোয়ার ফারুকি নিজে এক টক শো তে বলেছেন,ঢাকার কোন জায়গায় একটা মিলাদ মাহফিলে দাওয়াতে গিয়ে ফেরার সময় সব ছাত্রলীগের ছেলেরা আমার সাথে সেলফি তুলেছে এবং আমাকে বলেছে আমি কেন “৪২০,ফোর টুয়েন্টি” টু করছি না!বাংলাদেশের রাজনীতির আসল রূপ তো ওই নাটকে এসেছে।আসার পরেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই আমাকে বলেছে “টু” যেন করি।
তার মানে এটা যে বাংলাদেশের রাজনীতির আসল রূপ তাতে তারাও জানে এবং জেনেই তারা মুনাফিক হয়ে নির্লজ্জ হয়ে এক ঢোল বাজাতেই থাকে।
আসলে “যত দোষ নন্দ ঘোষ” এর আখ্যা পাওয়া জামায়াত মুরগীর বা গরুর নরম হাড্ডির মত,চিবাতে যে কি মজা!ব্যাকফুটে আছো ! জামায়াতের ঢোল বাজাও।
যাই হউক কথা যা বলছিলাম,যে দেশের ৯০ ভাগ জনগণ সম্পূর্ণ সচেতনভাবে মুনাফিক সেই দেশ থেকে খুব বেশী প্রত্যাশা করা উচিত না।যদিও আমি সকল সময়েই আশাবাদী।
২ টা উদাহরণ দিয়ে শেষ করছি,
আজ থেকে সম্ভবত ১২ বছর আগের কথা।ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে ছাত্র ইউনিয়নের বুড়া কিছু ছাত্র আর আর কিছু বহিরাগত রাত ১২ টার পর শিবির এর ছেলেদের মারতে গেলো।মারামারি হল।
পরের দিন সেই ছাত্র ইউনিয়নের ছেলেরাই ছাত্রলীগ কে সাথে নিয়ে মিছিল করলো সন্ত্রাসী শিবিরকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করতে হবে।ব্যানার ফেস্টুন চলল!
তারও বছরখানেক আগে সম্ভবত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম একটা ঘটনার পর শিবির মারাত্মকভাবে আহত হয়।
জাতীয় পত্রিকাগুলোর শিরোনামঃ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের তাণ্ডব!
আক্রমণকারীরাই মিছিল আর শ্লোগান “সন্ত্রাসী শিবির কে নিষিদ্ধ করতে হবে”
আসলে আমাদের লোকজন এত কঠিন “ 69 “ যে --- তাদের দ্বারা বা তাদের দিয়ে উন্নতির আশা সম্ভবত কেয়ামত হলেও সম্ভব হবে না।
হাজার ৪২০ দেখে পাবলিক বুঝবে সবই,বুঝাবে উল্টা।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫