“কাশেম বিন আবু বকর”এর ছবি আর বিশাল ঘটনা ফোনে ফোনে যখন শুনছিলাম তখন নিজের হাসি নিজেই আটকে রাখতে পারছিলাম না।মানে পুরো ঘটনাটা আরব্য রজনীর অবাস্তব অকল্পনীয় কাহিনীর মত মনে হয়েছিল।তাই টিপিক্যাল বাঙ্গালীর মতই বোঝার আগেই ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলাম।যা ছিল অভ্যাসগত ভুল যা একদমই উচিত নয়।মন্তব্যের জন্য সময় নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় নেয়া উচিত।
যাই হউক পরে বিভিন্ন মন্তব্য আর বেশ কিছু বিষয় জেনে একটা জিনিষ ভাবলাম যে যার এত পাঠক আছে তার সম্পর্কে সমালোচনার অর্থই নিরর্থক কারণ বিশ্বের কোন সাহিত্যিকই তো আপামর জনতার সাহিত্যিক হতে পারেননি।সেখানে কাশেম বিন আবু বকর কে কেন সকলের লেখক হতে হবে?
যদি তাই হয় তবে মমতাজের মত একজন সঙ্গীত শিল্পী কিভাবে সংসদে যেতে পারে এবং তাকে কিভাবে আপনারা বরণ করে নিলেন !
সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে আসিফ আকবর ও তো সঙ্গীত বোদ্ধাদের মন ও জয় করতে পারে নি এমনকি এক শ্রেণীর শ্রোতা ছাড়া বাকীরা আসিফ আকবর কে গ্রহণ করতে নারাজ।
তাই বলে কি মমতাজ বা আসিফ আকবর কে এভাবে ছুড়ে ফেলেছেন বা এমন ঠাট্টা বিদ্রূপ করেছেন?
নাহ!
তাহলে ঘটনাটি কোথায়!
তাহলে কি এক মুঠো দাড়ি,পাঞ্জাবী মূলত আসল চর্ম রোগ ! আর সেটিই সম্ভবত চুলকানির কারণ! তাই তার রাসালো সাহিত্যের গায়ে বেশভূষা কে জড়িয়ে ইসলাম এর লেবাস চড়িয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার প্রয়াস চালানো হচ্ছে ?
হুমায়ুন পাঠকরা মজার কারণে হুমায়ুন আহমেদ কে বিশাল সাহিত্যিক ভেবে নিলেও সাহত্যিকদের মতে বাংলা সাহিত্যের মানের মানদণ্ডে উনি অত বড় সাহিত্যিক না কিন্তু তাই বলে উনাকে কি ছুড়ে ফেলা যাবে বা ফেলা হয়েছে এবং এরূপ ঠাট্টা বিদ্রূপ হয়েছে?
বা ইমদাদুল হক মিলন এর লিখা!
নাহ!
কারণ প্রতিটা সৃষ্টির আলাদা আলাদা গ্রহণযোগ্যতা আছে হয়তো আমার আপনার ভালো নাও লাগতে পারে।কিন্তু সে সৃষ্টি করতে পেরেছে এমন কিছু যা অনেক মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করতে পেরেছে বা পারছে।মানদণ্ডের বিচারে হুমায়ুন আহমেদ কে যদি গ্রহণ করা যায় তবে সেও সাহিত্যের কোন এক পাতায় ঠাই পাওয়ার দাবী রাখে।
আরেকটা জিনিষ ও সত্য,নিজেরা হাঁটতে পারি না বলেই দৌড়াচ্ছে কাউকে দেখলে হিংসা হয় আর আটকে দিতে আমরা করি নানা ফন্দি,ছুড়ে দেই তির্যক মন্তব্য।আমরা কবিতা গল্প লিখে বই বের করে যখন কাঠখড় পুড়িয়েও বই বিক্রি করতে পারি না তখন হৃদয়ের সমস্ত ক্ষোভ ঝাড়তে চাই অন্যের উপর আর সে যদি হয় বেশভূষায় সামান্য তবে কিরূপ ভয়ঙ্কর আমরা হয়ে যাই তার প্রমাণ কি এটা নয়!
আর এই যুগে এসে তো লেবাসের ব্যাপারটিও বেশ প্রণিধানযোগ্য।তাই চুলকানি টা চুলকাতেই হবে।
সাহিত্য মান নিয়ে আলোচনা সমালোচনা আর ঠাট্টা বিদ্রূপ মোটেই এক কথা নয়।তবে সত্যিকারের মন্তব্য করতে হলে সম্ভবত তার লেভেলে এসেই তখন মন্তব্য করা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২