স্রোতের বিপরীতে চলা টা সহজ কথা না,হিম্মত লাগে।তবে স্রোতের সাথে চলাটাকে তো আর চলা বলা চলে না।তবুও সবাই এভাবেই চলছে আর বাহবা কুড়াচ্ছে।যুক্তির ও শেষ নাই মুক্তির রাস্তার ও অভাব নাই।
যেমন,
“যৌতুক কিন্তু আমি একদম চাই না,এটা আমার অপছন্দের একটি কাজ।মেয়ে সাজিয়ে দিবেন সেটা ভিন্ন কথা।সমাজ বলে কথা।আর গিফট দেয়া এটা তো নরমাল।কিন্তু বাবা যৌতুকের কথা উঠলে আমি নাই।আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি আমি এটা ঘৃণা করি।”
“ঘুষ দিয়ে কাজ করাতে চাচ্ছেন?এসব কাজ আমার দ্বারা হবে না।ডিপার্টমেন্টে সবাই জানে আমি ঘুষ খাই না।মানুষ কাজ শেষ হলে গিফট দেয়,সেটা ভিন্ন কথা কিন্তু যদি ঘুষের কথা বলেন তবে আমি নাই।”
“আচ্ছা লিখাটা একটু পড়বেন সময় পেলে,বলবেন কেমন হয়েছে আসলে আমি লাইক কমেন্ট এসব নিয়ে মাথা ঘামাই না,কিন্তু লিখা টা মানুষ তো পড়বে এতো কষ্ট করে লিখি।”
যে যতই বলুক না কেন আমি খ্যাতির কাঙ্গাল না কিন্তু খ্যাতি আর যশ এর জন্য শুধু কাঙ্গাল না মানুষ রীতিমত সত্তার বিসর্জন দিয়ে আত্মার প্রশান্তি আনতে হেন পন্থা নাই যে অবলম্বন করতে চায় না।কেউ বিবস্ত্র হয়ে কেউবা চিপায় চাপায় ঘুরে।কেউ আদা জল খেয়ে নামে আর কেউ মিনমিনিয়ে ঘ্যানঘ্যান করে।অবশেষে একেকজন শুধু নিজের সত্ত্বার পূজারী হয়ে যায়।
এই দেখে যারা লাইনে থাকতে চায় তারাও খেই হারিয়ে ফেলে “কি যে করি”-নাচতেও মন চায়,ঘোমটাও খুলা দায় -
যাই হউক আমাদের মত ভিক্ষুকদের জন্য স্যালুট।মিনমিনিয়ে আর কত!ঘোমটা খোলার সময় কি হয় নি!নাকি ভেতরে খেমটা নাচ চলছে!বিধাতাই জানে কীসে কত দূর !
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:০৫