"সুফিয়া বা সোফিয়া"----
কয়েকদিন আগে একটা স্ট্যাটাসে লিখেছিলাম যে ধার করে বিরিয়ানি খেতে খুব মজাই লাগে।
বন্যার ভয়াবহ পরিণতিতে দেশ ধ্বজভঙ্গ হয়ে আছে যার খেসারত দিচ্ছে দেশের অধিকাংশ মানুষ।অথচ সেখানে ধার দেনা করে চলা দেশের জন্য কি টাকা খরচ করে সুফিয়া দেখানোর বা তাকে নিয়ে বিলাসিতার কোন দরকার আছে?
কেউ কেউ প্রযুক্তির নাম এগিয়ে যাওয়ার বাণী তুলতে পারে।
এগিয়ে যাবেন,কে না করেছে?
চীন প্রযুক্তির উন্নতি শুরু করেছিল বিলাসিতা দিয়ে না বরং তার সীমাবদ্ধতাকে উন্নত করার প্রয়াস দিয়ে।
এমন না যে দেশে লোকসংখ্যার ঘাটতি আছে তাই কাজের জন্য বিদেশ থেকে লোক না এনে রোবট আনলে বেটার কাজ হবে।আবার দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য যেসব প্রযুক্তিগত জ্ঞান বা সমৃদ্ধি আমাদের দরকার সেইসব প্রযুক্তির দিকে নজর না দিয়ে রোবটের নজর কথিত ডিজিটাল বাংলাদেশের মত আরেকটি দুর্নীতির প্রজেক্ট।
মনে আছে দোয়েলের কথা?
কোথায় সে?মরে তো গেছে,কিন্তু ফসিল ও তো পাচ্ছি না --- এখন আবার রোবট।
ছাল নাই কুত্তার বাঘ নামের মত বাংলাদেশের চালচলন মরার উপর খাড়ার ঘা এর মত।এমনিতেই দুর্নীতিবাজরা লুটতরাজ করে শেষ করতেছে তার উপর ফালতু রোবটের পাল্লায় পা দেয়া তো এরকমই!তাই না?
বিপুল সংখ্যক জনগণ কে কাজে লাগানো বাদ দিয়ে নতুন উটকো ঝামেলা রোবটের কোন সেক্টরে অনেক প্রয়োজন অন্তত একটু জানা দরকার।
পাগলা কুকুরের বাস্তব প্রতিচ্ছবি সৌদি আরব কি করলো না করলো তার সাথে আমাদের সম্পর্ক কি যখন আমাদেরকে সৌদি আরবের কাছে ভিক্ষা করতে হয়?
মালয়শিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বাংলাদেশ সফরকালে বলেছিল তোমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হল,তোমাদের আছে মানব সম্পদ যা আমাদের দেশে বাইরে থেকে কিনতে হয়।অথচ প্রতিদিন গুমের তালিকায় সেই মানব সম্পদকে ঠেলে দিয়ে অর্থ সম্পদ নষ্ট করে রোবট সম্পদ প্রদর্শনী বা আনয়ন দেশের অসহায়,নিষ্পেষিত দরিদ্র মানুষের দারিদ্রতার সাথে বড় রকমের তামাশা ছাড়া আর কি?
তেল ছাড়া গাড়ী চালানো বা পাতা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কিংবা আরও কিছু সিগ্নিফিকেন্ট আবিষ্কার করা দেশী বিজ্ঞানীদের কে পৃষ্ঠপোষকতা করার কোন খবর নাই অন্যদেশ থেকে সুফিয়াকে ধরে এনে হিপক্রেসি করা হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৫