ক্রিকেট নিয়ে লিখা ভাবনা গুলো উপরের কর্ণধারদের কানে যাবে কি না সেটা জানি না।আর আমার মতামতই যে ইউনিক তাও বলছি না।তবে ---
পাপন ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাকি সেই এগারো জন ক্রিকেটার,কোচ এবং সবকিছু সেটাই বোঝা প্রবলেম।
তার সবকিছুইতেই হিরো হিরো ভাব ক্রিকেট কে তার হাতের পুতুল বানিয়ে ফেলা হয়েছে।ভালো কিছু হলে সে করেছে আর খারাপ হলে মুশফিক/সাকিব/মাশরাফি করেছে এটাই যেন ক্রিকেটের প্রতিদিনকার চিত্র।
কোচ,নির্বাচক এবং বাকী সবাই যেন পাপন আর সুজনের আঁচলের তলের বাচ্চা।
তার উপর কোচ যেন বাংলাদেশের চেয়েও বড় কেউ-পাপন তো খেলোয়াড়দের মানুষই মনে করে না।
সন্দেহ নেই মুশফিক ক্যাপ্টেন হিসেবে ভালো না এবং অপরিপক্ব,তাকে কেন বাদ দেয়া হয় না?
কেন ফর্মের তুঙে থাকা মাশরাফি কে ছেঁটে ফেলা হয়?
কেন মাহমুদুল্লাহ এর মত পরিক্ষিত খেলোয়াড়কে আরও উপড়ে বিবেচনা করা হয় না?
প্রতিবছর বিপিএলে সবচেয়ে বাজে টিম নিয়েও মাহমুদুল্লাহ একটা ভালো অবস্থানে যেতে পারে অথচ সে উপেক্ষিত থাকে!!
সৌম্যের ফর্ম অফ হতেই পারে কিন্তু খেলতে দিতেই হবে এমন বিধান কেন?ঘরোয়া তেও যার কোন পারফরম্যান্স নেই সে নিয়মিত জাতীয়ে দলে খেলে দলকে ১০ জনের দল বানিয়ে দিচ্ছে।কোন স্বার্থে?
শুভাগত হোম বয়া লিটন দাস তারাও তো দলকে ৮/৯ জনের টিম বানিয়ে দিচ্ছে।
এসব পাপন,সুজন হাতুরে গংরা করেও খেলোয়াড়দের উপর দোষ চাপিয়েই যাচ্ছে অনবরত।
এর নাম কি অভিবাবকত্ব নাকি একনায়কতন্ত্র !
দুর্নীতিবাজ সুজন যেখানে শাস্তি পাওয়ার কথা আজ সে সর্বেসর্বাদের একজন হয়ে গেছে।
দলে মেগ্রাথ/শেন ওয়ার্ন থাকলে কোচ লাগে না,হাতুরুও নিজেই সব কিছু করেছে এমনটা ভেবে তাকে গড বানিয়ে দেয়ার যে চেষ্টা পাপন আর সুজনের তা সত্যিই মারাত্মক ভয়ানক।
ঘরোয়া ক্রিকেট যদি টেস্ট পরীক্ষা না হয় তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের দরকার কি?
নতুন কোচ নিয়োগেও পাপনের কি চমৎকার সাংবাদিক দের মুখোমুখি হওয়া!খেলোয়াড়দের জিজ্ঞাসা করেছেন তারা কোচ ছাড়া কনফিদেন্ট কি না!
"তোমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী,তাই না?তোমরা পারবেই,তাই না?" --- তাইলে আর কোচ নিলাম না -- কি বল?
এই যদি হয় প্রশ্নের নমুনা তবে ক্রিকেটের (বাংলাদেশ) ফাদারের সামনে ছোট ছোট বাচ্চাদের কিছু বলার থাকে?
১১ জন এর কি দরকার? সৌম্য,শুভাগত হোম,শুভাশিস,লিটন কুমার দাস,সুজন আর পাপন মাঠে নেমে গেলেই তো হয়!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২