পিকে মুভিতে আমীর খান মন্দিরের খাদেমদের আলগা ভুরি থেকে টাকা তুলে নিলে খাদেমরা তাঁকে যখন মারতে এলো তখন সে সারা শরীরে দুর্গা কালির ছবি লাগিয়ে দিলো।
যে যেদিকেই মারতে যায় সেই থেমে যায়।থেমে যায় কি থামতে বাধ্য হয়।দেবতার ছবি বলে কথা !
সরকার কোন কিছু করতে চাইলে তার সাথে জুড়ে দেয় মুক্তিযুদ্ধ আর তার চেতনা এবং সরকারের পছন্দ না হলে জুড়ে দেয় রাজাকার নামক মিথ।আর কই যায় !
যুক্তি থাকলেও মুক্তির জন্য বমি করে আবার খেয়ে ফেলতে হয় বা বাধ্য হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন থেকে শুরু করে আজকের কোটা সংস্কারের আন্দোলন পর্যন্ত সকল ন্যায্য দাবী তে সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী রাজাকারদের আন্দোলন বলে ট্যাগ লাগিয়ে আন্দোলনকারীদের স্তব্দ করে দিয়েছে বা দিচ্ছে।
শেষে ফাঁসির দড়ি পড়তে হয় ভেবে সবাই পিছু হটেছে বা হটবে।
মতিয়া চৌধুরী ইতিমধ্যে সকলকে রাজাকারের বাচ্চা উপাধি দিয়ে দিয়েছে।এখন ছাত্র ছাত্রীরা কি করবে?
অথচ প্রকৃত সত্য এটাই যে চাকুরী প্রত্যাশী প্রত্যেক মেধাবী ছেলে মেয়েরা নিঃসন্দেহে প্রথমেই মুক্তিযোদ্ধা কোটাই বাদ দিতে চায়।কিন্তু বললে যে বিপদ সে কথা তারাও জানে।কারণ ট্যাগ আছে যে ---
দেশকে ভালোবাসা আর মুক্তিযোদ্ধা কোটা এক বিষয় না।
চাকুরীর বয়স সীমা যাদের পেরিয়ে গেছে বা যাদের কোটার সুযোগে দুর্নীতি করে চাকুরী নেয়ার ক্ষমতা বা সুযোগ আছে তাদের মত অথর্ব গুলো ছাড়া বাকী সবাই সকল কোটাই বাদ চায়।আর তার বড় কোপ যেহেতু মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পড়বে তাই চেতনার দালালদের হাতিয়ার প্রস্তুত।
যা দিয়ে চলছে ৪৬ বছরের রাজনীতি।