আজ শিখলাম তরমুজ দুই প্রকার, কালো তরমুজ আর বাংলালিঙ্ক তরমুজ।
কালোগুলো মিষ্টি আর মোবাইল অপারেটরেরটা পানসে।
আগে জানতাম, তরমুজ দুই প্রকার। কালো আর সাদা। কালোগুলো মিষ্টি, সাদাগুলো পানসে।
আবার দেশি ও হাইব্রিড বিশেষণ তো ছিলোই!
তাহলে শর্তানুসারে বাংলালিঙ্ক = সাদা
কে জানে কিভাবে সম্ভব!
মোবাইল অপারেটরগুলোর কোন কলঙ্ক নেই তারা ধবধবে সাদা পবিত্র এটা বিশ্বাসযোগ্য না।
আরেকবার শুনলাম বাজারে নাকি দুই রকম তরমুজ উঠেছে, গোল আর চারকোণা। স্কয়ার তরমুজের সুবিধা হলো যে এরা ঠিকমত জায়গায় এঁটে যায়, চার তরমুজের মাঝের ডায়মন্ড আকৃতির ডেডস্পেস থাকে না। তাই অল্প জায়গায় বেশি তরমুজ বেশি লাভ, এজন্যে নাকি চারকোণা করে জন্মানো হয়েছে। এরাও নাকি মিষ্টি।
চিন্তার খোরাক, প্রকৃতি গোলাকৃতি থেকে চারকোণা হতে চাইলো?!
অনেক ভেবে ভেবে হাইপোথিসিস বের হলো যে ফলের সবচেয়ে ছোট অবস্থায় ওটাকে স্বাভাবিক গোল অবস্থার অায়তনের চেয়ে ছোট স্বচ্ছ স্কয়ার বক্সে রেখে দিতে হবে। এর চেয়ে বড় আর হতে পারবে না, হতে চাইলে আট পাশের সেমি-ডায়মন্ড শেপড ফাঁকা অংশে বড় হয়ে ভরাট হয়ে যাবে। আর স্বচ্ছ কারণ রোদ যেন ঠিক মত পড়ে, সালোক সংশ্লেষণ আর শ্বসন বন্ধ না হয়।
পারফেক্ট হাইপোথিসিস, শুধু অতিরিক্ত তাপ বেরুবে কেমন করে এটাই মিস হয়ে গেছে।
যাহোক, চারকোণা তরমুজ কখনোই চোখে পড়েনি। শোনা পর্যন্তই শেষ। বাজারে জিজ্ঞেস করবো সাহস হয়নি যদি পাগল ঠাওরায়!
কিন্তু এটাও নাকি মিষ্টি ছিলো।
অর্থাৎ গোলগুলো পানসে।
তাহলে আবার শর্তানুসারে দাঁড়ায়, সাদা = গোল = পানসে।
সত্য (= সাদা) জিনিসটা সবসময়ই পানসে, এ আর নতুন কি!
পানসে = পানির মতো স্বাদ যার।
পানি। অতি জরুরি পদার্থ।
কত কিছু জানার বাকি চিন্তা করার বাকি ভেবে দেখার বাকি হুমমম...
আমি তরমুজে ধন্য হলাম!
ওহ, অতিরিক্ত তাপ বের করার উপায় পেয়েছি!
স্কয়ার বক্সে ছোট ছোট ছিদ্র থাকবে যেন বাতাস তরমুজ সারফেসে এসে ঠান্ডা করে যায়। পানি ও ঢালা যেতে পারে।
feeling হযবরল জগাখিঁচুড়ির সাথে এনভাইরনমেন্টাল তরমুজিকরণ।
-------------------------------------------------------------------
আপডেটঃ হাইপোথিসিসটা মনে হয় ঠিক হইছে, এই মাত্র গুগোল করে দেখলাম স্কয়ার তরমুজ সত্যিই আছে, জাপানে ফলায়। কিভাবে বানায় সেটাও মনে হয় ঠিকই ধরতে পারছি!
এমনকি হার্ট শেপড তরমুজও নাকি আছে।
দেখুন এখানেঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮