somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আর কতো মৃত্য দেখতে হবে!!!!!

১৯ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইদানিং নিজেকে অনেক বেশি অসহায় মনে হয়। পত্রিকার পাতা খুললেই শুধু মৃত্যু আর মৃত্যু । সব মৃত্যুর খবর হয়তো চোখেও লাগে না কিন্তু কিছু কিছু খবর আছে যেগুলো চোখে না পরে যাই না। মৃত্যু স্বাভাবিক ব্যাপার মানুষের জীবনে,কিন্তু কিছু মৃত্যু এত বেশি অসাভাবিক যে সেগুলা মেনে নেয়া যায় না । গত ১/২মাস এ এমন কিছু মৃত্যুর খবর দেখলাম যা দেখলে সত্যিই এখন মৃত্যু কে স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক মনে হয়.
প্রথমেই বলব ঢাকা ইউনিভর্সিটি এর ছাত্র আবু বকর এর কথা। এই ছেলে নাকি তার বিভাগের ফার্স্ট বয় ছিল । শেষ বর্ষের পরীক্ষাও দিয়েছিলো ফলাফল প্রকাশের বাকি ছিল শুধু (পরে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে এবং সেখানে দেখা যায় সে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে পুরা বিভাগে)। এই ছেলেটি মারা যায় ঢাকা ইউনিভর্সিটি এর রাজনৈতিক কোন্দলের শিকার হয়ে,যদিও প্রায় সব পত্রিকায় এটি আসছে যে সে কোনো ছাত্র সংগঠন/পলিটিকাল পার্টি এর সাথে জড়িত ছিল না। এই আবু বকর এর মৃত্যুর সময় তার রুমে নোট খাতা পাওয়া সেটাই নাকি ১টি প্রশ্নের অর্ধেক উত্তর লেখা ছিল (সুত্র --প্রথম আলো), তার মানে সে ওই সময় ওই খাতায় লিখছিল .এমন ১টি ছেলের মৃত্যু আমরা চোখের সামনে দেখলাম, পত্রিকায় এর খবর পড়লাম কিন্তু এর বিচার কি ?যারা আবু বকর এর মত ছাত্র কে মারলো তারা তো এই দেশে দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে,কিন্তু এই গরিব ঘরের ছেলেটার জন্য কি সরকার এর কিছু করার নেই, নাকি গরিব বলে সরকার এর এত দাম দেবার সময় নাই? আজ যদি কোনো মন্ত্রী এর ছেলের এমন মৃত্যু হত তাহলে কি আমাদের সরকার এত চুপ থাকত,এত নির্বিকার ভাবে মনে হই না কোনো দেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছােএর মৃত্যু কে মেনে নেয়া হয়।
আর ২য়্ঃত যার কথা বলব সে হলো হামিম । আবু বকর উনিভ এর ছাত্র ছিল কিন্তু এই হামিম ছিল স্কুলের ছাত্র.এই ছেলেটিকে মেরে ফেলা হয় কাকরাইল মোড় এর কাছেই উইন্স লিটিল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনে যে বাস এর কাউন্টার গুলা আছে সেখানে তার মা কেও প্রায় মেরেই ফেলছিল,মহিলে বেচে যান কিন্তু নিজের জীবন এর বিনিময় এ তাকে তার ১মাত্র ছেলে কে হারাতে হয়। এই ঘটনার পর ও কিছু দিন পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়। এই বিষয়ে তারপর যথারীতি সবাই চুপ,সরকার বিব্বৃতি দেয় আর পুলিশ বলে যে পরবর্তী সময় থেকে এইগুলা যেন না হয় ব্যবস্থা নেয়া হবে /:)
আজ আমরা হামিম এর মৃত্যু দেখলাম,আবু বকর এর মৃত্যু দেখলাম,আমরা চুপ ছিলাম,আমরা চুপ আছি,আমাদের চুপ থাকতে হই কারণ আমরা সাধারণ পাবলিক.আমাদের এত ক্ষমতা নেই যে আমরা দুনিয়া/দেশ বদলায় দিতে পারব,আমাদের সরকারী দলগুলো বরাবরই অনেক ক্ষমতাবান,তারা আমাদের হাত এ,পায়ে এ শিকল দিয়ে রেখেছে যে শিকল আমরা ইচ্ছে করলেই ভেঙ্গে ফেলতে পারি কিন্তু ভাঙ্গি না কারণ আমরা ঝামেলা এড়িয়ে চলতে পছন্দ করি। কে যাই এত ঝামেলা করতে!!!!!হমমম,আসলেই তো তাই,কে যায়!! যার কাছের মানুষ যায় সেই বোঝে হারানোর কষ্ট কি রকম,আমরা বুঝি না,আমরা পত্রিকায় পড়ি ,খারাপ লাগে তারপর আবার আগের মত স্বাভাবিক হয়ে যাই ,আমাদের তো এখন দিনে ৪/৫টা খুন এর খবর না পড়লে ভালো লাগেনা, মনে হই ইসস আজকে তো দেশে তেমন ইম্পর্টান্ট কিছু হই ই নাই /:)

কোনো ১ অলস দুপুরে বা মন খারাপ করা সময়ে যখন এইগুলা মাথায় আসে তখন কষ্টে বুকটা ফাকা হয়ে যাই.হামিম,আবু বকর তোমরা ভালো থেকো এই দেশ যা তোমাদের দিতে পারেনি, এই দেশ তোমাদের হত্যার যে বিচার করতে পারেনি সেই বিচার হয়তো পরকাল এ কেউ করবেন.

স্রষ্টা তুমি কি অনেক ব্যাস্ত??এই সাধারণ মানুষ গুলার দুঃখ কি তুমি দেখো না???স্রষ্টা তোমাকে ইদানিং বিবর্ণ মনে হই,অনেক বেশি বিবর্ণ মনে হই.......................:((
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:২২
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×