somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সূচ দিয়ে গালা সুখের চোখ কখনো নস্ট হয়না যদিও হালি হালি স্বার্থপরায় বস্তা ভর্তি,সুখ গুলো জাল টাকার মতোন তৈরি করে নিজের ঘরে পাচার করতো ওদের দিয়ে বিবেকহীনরা

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেহিসেবি মানুষের বোকামী স্বপ্ন, অনেকটা গাধার মতোন। কখনো হিসেব কষতে শিখেনি। আর শিখার তেমন প্রয়োজনও ছিলনা। দিব্যি কেটেই যেত দিনগুলা। কখনো এক তুলো স্বপ্ন, দুই তুলো বাস্তব কি কয়েক তুলো হাফ ছেড়ে দেওয়া স্ফীত হয়ে যাওয়া কন্টকের বস্তা পিঠে চড়তো। খানিকটা হাসি কান্না নিয়ে চলত জীবনের ছোট্ট হালখাতা টি। যদিও সেই হালখাতা সাদাই রেখে দিত; ভাবতো প্রভুর দেয়া এই হালখাতায় সবার মতো পূর্ন করে জের টানবে না। অনেকটা সাদা দলিলের মতো করে নিজের সাক্ষর দিয়ে রেখে দিত। সেই মানুষটা একসময় হিসেব ভুলেই গেল। এ নিয়ে তার মালিক তাকে যদিও বলে ওরে বোকা পুরো বোকা হসনে হিসেব টা শিখ । কে শুনে কার কথা বলে কিনা; আছি তো মন্দ না, হয়ত সারাদিন বিভিন্ন বস্তার যে বোঝা টানি তার লাভ হয়না কিন্তু দিনশেষে এক ফালি হাসির তৃপ্তি তো পাই।

একদিন কি যেন হল সেই গাধাটিকে কেউ কিনে নিল কিন্তু টাকায় নয়। যদিও সবাই জানে গাধাকে কেন কিনে। গাধাটিকে বোঝানো হল তোমার পিঠে নতুন নতুন বস্তা টানতে হবে খুবই হালকা কিন্তু এতে সবার লাভ হবে, এখন যেমন একটি হালখাতা খালি রাখছো তখন আরো বেশি রাখতে হবে। বোঝায় যায় গাধার খাটুনি আরকি। কিন্তু সেই বোকা কি আর বুঝে! সে ভাবল বস্তা টি ভারি হবে এই যা, এছাড়া সবাই কে তখন আর এক ফালি হাসি না পুরো আস্ত হাসিই ভাগ করে দিবে। দিন যায় বস্তা ভারী হয় সে জানেনা কি এতে কিন্তু খুশি। তাকে যেই বিনিময়ে যে কিনেছে সেই বিষয়ের জন্যে। গাধার পিঠে চাবুক মারে না কিন্তু অজানা বস্তার আঘাতে পিঠ রক্তাক্ত হয়, আবার আঘাত পাওয়া চামড়া মরে ভালো হয়। সে তাও খুশি চাবুকের ঘা দেয় না, সবার জন্যে ভাবা কেউ তাকে নিয়েছে। আফটারঅল গাধা বলে কথা। এ গাধার আবার একটা রোগ আছে লালন ধ্যানের অনুসারী। গাধা স্কয়ার আর কি!

একদিন গাধা টের পেল পিঠে মিথ্যের বস্তা, শান্তি তো দূরের কথা হালি হালি স্বার্থপরায় বস্তা ভর্তি। সুখ গুলো জাল টাকার মতোন তৈরি করে বস্তা তাকে দিয়ে পাচার করতো নিজের ঘরে সেই বাক্তি। দুরারোগ্য রোগীর দুষ্প্রাপ্য প্রানের ঔষধ ড্রাগে ভর্তি। চালাকি করে নামের লেবেল টাও পালটানো। ছোট ছোট শিশুকেও ছাড়েনি ওদের "ইটল বিটল গাছের পাতা" ছড়া শুনিয়ে কেড়ে নিত ওদের ভাই বোনদের গড়া টুকরো টুকরো গড়া স্বপ্ন গুলো সুদখোরের মতো। মরে যাওয়া ব্যক্তি দের ও ছাড়েনি তাদের হাডিগুলোকে ব্যাবহার করত আড্ডায় বসে ড্রাম বাজানোর জন্যে । স্বপ্ন নামক যে সূচ দিয়ে গাথা হতো সুখের কাঁথা, সেই সূচের ব্যবহার করতো এইসব বোকা মানুষের চোখগুলো গেলে দেয়ার জন্যে। আর এইসব বিক্রি করে মধু কিন্ত সে নিজের ঘরের জন্যে, আড্ডার জন্যে কিনত ফোচকা খাওয়ার সোনার প্লেট। আরো কত কি তা শুধু এইসব বেহিসেবি মানুষ গুলোই জানে।

একদিন এই গাধা এসব বলল, গাধাকে বলা হল এইতো আর একটু করো এগুলো আর হবেনা। মনে মনে বলে ব্লাড সাকিং( রক্ত চোষা) আর ও বাকি আছে। এমন করে গাধা আরও দু তিন বার গাধা হল।

একদিন গাধাকে বলল তোমার সাথে কোন লেনদেন ছিল না। গাধার চোখ দিয়ে অন্যরকম রঙ এর কান্না পড়ল কারন অনেক আগেই সেই গাধার চোখ ও সে গেলে দিয়েছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ড্রাগস( মিথ্যে স্বপ্ন) দিয়ে। আর অন্য মানুসগুলো বলছে নেশাক্ষোর। হঠাত করে গাধাটি দেখল সাদা সেই সাক্ষর দেয়া খাতাটি পূর্ন, বোঝার বাকি থাকেনা দিনশেষে গাধা যে নিঃশ্বাস নিত সেটাও হ্যাকড।

অনেকে বলে ইশ! কি অন্যায়। কিন্তু ভালো করে দেখ তুমিও তাদের মাঝে একজন। আলগে রেখেছো ওদের। ভাবছো এ তোমাদের ক্ষমতা। কিন্তু না ওসব গাধা,বেহিসেবি মানুষদের জন্যেই বেঁচে আছ। রক্ত চুষতে পারছো। মিথ্যে অজুহাত না দেখিয়ে মানুসকে বাঁচাও, দেশকে বাঁচাও, নারী অথবা পুরুষ যেই হও তুমিও তখন একজন ধর্ষনকারী, বিবেক ধর্ষনকারী হবে। হয়তো তোমায় শাস্তি দেয়া হবেনা অই বেহিসেবি মানুষদের জন্যে । কিন্তু তোমার রক্তের ধারা হতেও তো পারে তারা আক্রান্ত হতে পারে পুজ গলা রোগের চেয়েও কস্টদায়ক কিছুতে।

আজ ও সেই গাধাগুলো হাসে, সেই মিথ্যে স্বপ্ন গুলোর স্পর্শে । তাই সময় থাকতে পিউর হোন সাপোর্ট দিবে সেই বেহিসেবি গাধাগণ। অনেক তো হল লিঙ্গের জোর তো আর আজীবন পাবেন না। সময়কে দোষারোপ করে যদিও বদলাচ্ছেন আপনারা কিন্তু আপনাদের গড়া ওই গাধাগুলো বদলাচ্ছে না এটাই ওদের তৃপ্তি। আপনাদের তৃপ্তি নস্ট গলিতে বিনিময় করা সুখের মতোন। সময় গেলে সাধন হবেনা, তখন এই তৃপ্তি দুর্গন্ধ পচে যাওয়া করুন আফসোস ই হবে। কোন গাধাদের ই পাবেন না।না লাভ হবে নিজের না হবে আর দশজন মানুষের।

লালন বলে কুল পাবা না এবার ঠকে গেলে, আর কি হবে মানব জনম বসব সাধন এলে"

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:৫৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×