বেহিসেবি মানুষের বোকামী স্বপ্ন, অনেকটা গাধার মতোন। কখনো হিসেব কষতে শিখেনি। আর শিখার তেমন প্রয়োজনও ছিলনা। দিব্যি কেটেই যেত দিনগুলা। কখনো এক তুলো স্বপ্ন, দুই তুলো বাস্তব কি কয়েক তুলো হাফ ছেড়ে দেওয়া স্ফীত হয়ে যাওয়া কন্টকের বস্তা পিঠে চড়তো। খানিকটা হাসি কান্না নিয়ে চলত জীবনের ছোট্ট হালখাতা টি। যদিও সেই হালখাতা সাদাই রেখে দিত; ভাবতো প্রভুর দেয়া এই হালখাতায় সবার মতো পূর্ন করে জের টানবে না। অনেকটা সাদা দলিলের মতো করে নিজের সাক্ষর দিয়ে রেখে দিত। সেই মানুষটা একসময় হিসেব ভুলেই গেল। এ নিয়ে তার মালিক তাকে যদিও বলে ওরে বোকা পুরো বোকা হসনে হিসেব টা শিখ । কে শুনে কার কথা বলে কিনা; আছি তো মন্দ না, হয়ত সারাদিন বিভিন্ন বস্তার যে বোঝা টানি তার লাভ হয়না কিন্তু দিনশেষে এক ফালি হাসির তৃপ্তি তো পাই।
একদিন কি যেন হল সেই গাধাটিকে কেউ কিনে নিল কিন্তু টাকায় নয়। যদিও সবাই জানে গাধাকে কেন কিনে। গাধাটিকে বোঝানো হল তোমার পিঠে নতুন নতুন বস্তা টানতে হবে খুবই হালকা কিন্তু এতে সবার লাভ হবে, এখন যেমন একটি হালখাতা খালি রাখছো তখন আরো বেশি রাখতে হবে। বোঝায় যায় গাধার খাটুনি আরকি। কিন্তু সেই বোকা কি আর বুঝে! সে ভাবল বস্তা টি ভারি হবে এই যা, এছাড়া সবাই কে তখন আর এক ফালি হাসি না পুরো আস্ত হাসিই ভাগ করে দিবে। দিন যায় বস্তা ভারী হয় সে জানেনা কি এতে কিন্তু খুশি। তাকে যেই বিনিময়ে যে কিনেছে সেই বিষয়ের জন্যে। গাধার পিঠে চাবুক মারে না কিন্তু অজানা বস্তার আঘাতে পিঠ রক্তাক্ত হয়, আবার আঘাত পাওয়া চামড়া মরে ভালো হয়। সে তাও খুশি চাবুকের ঘা দেয় না, সবার জন্যে ভাবা কেউ তাকে নিয়েছে। আফটারঅল গাধা বলে কথা। এ গাধার আবার একটা রোগ আছে লালন ধ্যানের অনুসারী। গাধা স্কয়ার আর কি!
একদিন গাধা টের পেল পিঠে মিথ্যের বস্তা, শান্তি তো দূরের কথা হালি হালি স্বার্থপরায় বস্তা ভর্তি। সুখ গুলো জাল টাকার মতোন তৈরি করে বস্তা তাকে দিয়ে পাচার করতো নিজের ঘরে সেই বাক্তি। দুরারোগ্য রোগীর দুষ্প্রাপ্য প্রানের ঔষধ ড্রাগে ভর্তি। চালাকি করে নামের লেবেল টাও পালটানো। ছোট ছোট শিশুকেও ছাড়েনি ওদের "ইটল বিটল গাছের পাতা" ছড়া শুনিয়ে কেড়ে নিত ওদের ভাই বোনদের গড়া টুকরো টুকরো গড়া স্বপ্ন গুলো সুদখোরের মতো। মরে যাওয়া ব্যক্তি দের ও ছাড়েনি তাদের হাডিগুলোকে ব্যাবহার করত আড্ডায় বসে ড্রাম বাজানোর জন্যে । স্বপ্ন নামক যে সূচ দিয়ে গাথা হতো সুখের কাঁথা, সেই সূচের ব্যবহার করতো এইসব বোকা মানুষের চোখগুলো গেলে দেয়ার জন্যে। আর এইসব বিক্রি করে মধু কিন্ত সে নিজের ঘরের জন্যে, আড্ডার জন্যে কিনত ফোচকা খাওয়ার সোনার প্লেট। আরো কত কি তা শুধু এইসব বেহিসেবি মানুষ গুলোই জানে।
একদিন এই গাধা এসব বলল, গাধাকে বলা হল এইতো আর একটু করো এগুলো আর হবেনা। মনে মনে বলে ব্লাড সাকিং( রক্ত চোষা) আর ও বাকি আছে। এমন করে গাধা আরও দু তিন বার গাধা হল।
একদিন গাধাকে বলল তোমার সাথে কোন লেনদেন ছিল না। গাধার চোখ দিয়ে অন্যরকম রঙ এর কান্না পড়ল কারন অনেক আগেই সেই গাধার চোখ ও সে গেলে দিয়েছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ড্রাগস( মিথ্যে স্বপ্ন) দিয়ে। আর অন্য মানুসগুলো বলছে নেশাক্ষোর। হঠাত করে গাধাটি দেখল সাদা সেই সাক্ষর দেয়া খাতাটি পূর্ন, বোঝার বাকি থাকেনা দিনশেষে গাধা যে নিঃশ্বাস নিত সেটাও হ্যাকড।
অনেকে বলে ইশ! কি অন্যায়। কিন্তু ভালো করে দেখ তুমিও তাদের মাঝে একজন। আলগে রেখেছো ওদের। ভাবছো এ তোমাদের ক্ষমতা। কিন্তু না ওসব গাধা,বেহিসেবি মানুষদের জন্যেই বেঁচে আছ। রক্ত চুষতে পারছো। মিথ্যে অজুহাত না দেখিয়ে মানুসকে বাঁচাও, দেশকে বাঁচাও, নারী অথবা পুরুষ যেই হও তুমিও তখন একজন ধর্ষনকারী, বিবেক ধর্ষনকারী হবে। হয়তো তোমায় শাস্তি দেয়া হবেনা অই বেহিসেবি মানুষদের জন্যে । কিন্তু তোমার রক্তের ধারা হতেও তো পারে তারা আক্রান্ত হতে পারে পুজ গলা রোগের চেয়েও কস্টদায়ক কিছুতে।
আজ ও সেই গাধাগুলো হাসে, সেই মিথ্যে স্বপ্ন গুলোর স্পর্শে । তাই সময় থাকতে পিউর হোন সাপোর্ট দিবে সেই বেহিসেবি গাধাগণ। অনেক তো হল লিঙ্গের জোর তো আর আজীবন পাবেন না। সময়কে দোষারোপ করে যদিও বদলাচ্ছেন আপনারা কিন্তু আপনাদের গড়া ওই গাধাগুলো বদলাচ্ছে না এটাই ওদের তৃপ্তি। আপনাদের তৃপ্তি নস্ট গলিতে বিনিময় করা সুখের মতোন। সময় গেলে সাধন হবেনা, তখন এই তৃপ্তি দুর্গন্ধ পচে যাওয়া করুন আফসোস ই হবে। কোন গাধাদের ই পাবেন না।না লাভ হবে নিজের না হবে আর দশজন মানুষের।
লালন বলে কুল পাবা না এবার ঠকে গেলে, আর কি হবে মানব জনম বসব সাধন এলে"
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:৫৭