somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টুকে লেখা, পড়ে লেখা, জেনে লেখা... (আলী, হাবিব মহাজন। ফাডাররাও পড়তে পারেন)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগে ঢুকেই ইদানিং অখাদ্য কবিতার সঙ্গে যোগ হয়েছে এক নতুন আপদ। সংবাদপত্রিকার কাটিং। যিনিই পরিবেশন করুন তার উদ্দেশ্য হয়তো ভালো। এই ব্লগে অনেক প্রবাসি। বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের হালনাগাদ রাখাটাকে হয়তো পবিত্র কর্তব্য মানছেন তিনি। আর কবিদের ব্যাপারে কী বলব, আমিও হাবজাব লিখি। রাকিব হাসনাত সুমন বেচারা ভদ্রভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে উল্টো রোষে পড়লেন। তাইত, জায়গাটা ব্লগারদের। তারা যা ইচ্ছে লিখতেই পারেন। ইচ্ছে মতো ফ্লাডিং করতেই পারেন। এক লাইনেই লিখলেন, তার মন ভালো নেই। কিংবা হাগু করতে গিয়েছিলেন, পানি পাননি- তাই কষ্টে আছেন।

কিছুদিন আগে রেগেমেগে ফ্লাডিং করেছিলাম। কতর্ৃপক্ষ আমাকে ব্যান করেছেন প্রথম পাতায়। ইমরান হাসান কিংবা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করার প্রয়াসটা মাঠেই মারা গেছে বলতে হয়। তিনি একটি দায়সারা পোস্ট দিয়ে, সবার মতামত চেয়ে ক্লাসে চলে গেছেন। উল্টো ফাপড়- আপনাদের কথা শুনলে মনে হয়, সামহোয়ার ব্লগ খুলে আমরা অপরাধ করে ফেলেছি।

এখানে না বলে পারছি না, অনেকদিন ধরেই এই ব্লগে আসি। একটা নেশার মতো হয়ে গেছে। সুস্থ্য একটা আড্ডার জায়গা যাতে ঘিনঘিনে না হয়, সেটা ঠেকানো আবশ্যিক মানি। কারণ সামহোয়ার আপনার যতখানি, আমাদের কাছে তারচেয়ে কম নয় একবিন্দুও।

কে যেন বলেছেন, পত্রিকায় অপাংক্তেয় সব লেখা এখানে ছাপা হয়, ছেপে যান ব্লগাররা। দীর্ঘদিন পত্রিকায় থাকার সুবাদে বলতে পারি ভুল বলেননি সে ব্লগার। এসব লেখার 80% মানোত্তীর্ণ নয়। সুনীল সমুদ্্েরর মতো কবি এখন লিখেন না। শরৎ ও সুমন চৌধুরী ভয়ে লিখেন না। শেখ জলিল কনফিউজড। লিখব!

আসা যাক শিরোনামের কথায়। গতকালই অস্ট্রেলিয়ার ক্রোকোডাইল হান্টার নামে খ্যাত স্টিভ আরউইনকে নিয়ে সকালে ও রাতে দুটো পোস্ট পড়েছে। বিজ্ঞানী সফদর আলী ও গোপাল ভাড়। তারা সংবাদটা পড়েছেন, সবার সঙ্গে শেয়ার করেছেন। একজন লিংক দিয়ে জানিয়েছেন বিস্তারিত জানতে চাইলে এখানে পড়ে নিতে পারেন। আরেকজন তার আক্ষেপ জানিয়েছেন, কিন্তু সেটা ব্লগিংয়ের ধাচে। আজ যে কোনো ঘটনা নিয়ে আমি আমার পোস্ট দিতে পারি, সেটা বিশ্ল্লেষণ হতে পারে কিংবা মন্তব্য প্রতিবেদন।

আগে জাকিরুল হক তালুকদার তার পত্রিকার ছাপা না ছাপা সব লেখা তুলে দিতেন ব্লগে। এম হুসেইন ছিলেন সেই টাইপের একজন। হাবিব মহাজনের শুরুটাও তাই। উনি ইন্টারনেট ঘাটতেন, প্রচুর নিউজ অনুবাদ করে ছাড়তেন। তো ফোর্বস ম্যাগাজিনকে উনি একবার ফোরবিস লেখার পর বোঝা গেছে তার সমস্যাটা কোথায়। আর আলী এখন যা করছেন সেটা হুসেইন করতেন।

দুজনের কারো প্রতিই আমার বিদ্বেষ নেই, বিরোধও নেই। ধরে নিচ্ছি দুজনেই নিউজম্যান। এমনও হতে পারে কালই এক পত্রিকাতেই কাজ করব। হাবিব মহাজন যেই সিভি দিয়েছেন তাতে তো মনে হয় উনি লিখলেই মোটামুটি আট-দশটা পত্রিকা সেটা ছাপিয়ে দেবে নিশ্চিত। (কথাটা একটি মন্তব্য পড়ে লেখা, যেখানে উনি দাবি করেছেন কোন পত্রিকায় তার লেখা দেখতে চান!)। আমি অতো দূরে যাবার সৌভাগ্য অর্জন করিনি। তবে ব্ল্লগের স্বার্থে একটা অনুরোধ করার মতো শক্ত মাটি পায়ের নিচে আছে বলেই জানি।

আলী আপনি সবচেয়ে ভালো হয় সংবাদ কনিকা বা আজকের খবর নামে একটা পোস্ট দিন প্রতিদিন, সেখানে ভালো ভালো নিউজগুলোর শিরোনাম এবং পত্রিকার নাম, সেইসঙ্গে দুচারলাইন সংবাদ থাকবে। যারা পড়ার ঠিক পড়ে নেবে।

হাবিব ভাই, আপনি এখন যে ধাঁচের লেখা লেখেন সেটা শোহেইল মোতাহির চৌধুরি ভাই অনেক আগে লিখে গেছেন, পড়ে দেখেন কি মচমচে স্বাদু তার লেখা। পড়ে মনেই হয় না উনি নেট ঘেটে উপাত্ত নিয়ে নিজের মতো করে লিখেছেন।

হঁ্যা। এটাই মন্ত্রগুপ্তি ভালো লেখার। টুকে লেখা যায়। কিন্তু সেটাও অখাদ্য ব্যাপার। পত্রিকার সাব এডিটররা দিনভর বিভিন্ন বার্তা সংস্থার নিউজ অনুবাদ করে যান। সেটা আলাদা মাত্রা পায় যখন কেউ পুরো ব্যাপারটা আত্মস্থ করে নিজের মতো করে লেখে। যা বুঝলেন, সেটার সঙ্গে নিজের জ্ঞান মিশিয়ে শব্দের কারিগরিতে অসাধারণ একটা পোস্ট সম্ভব।
নিবেন নাকি টেরাই একটা!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১:১৯
২০২টি মন্তব্য ০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

আমরা সবাই জানি, ইরানের সাথে ইজরায়েলের সম্পর্ক সাপে নেউলে বললেও কম বলা হবে। ইরান ইজরায়েলকে দুচোখে দেখতে পারেনা, এবং ওর ক্ষমতা থাকলে সে আজই এর অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়।
ইজরায়েল ভাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

নগ্ন রাজা কর্তৃক LGBTQ নামক লজ্জা নিবারনকারী গাছের পাতা আবিষ্কার

লিখেছেন মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪০

LGBTQ কমিউনিটি নিয়ে বা এর নরমালাইজেশনের বিরুদ্ধে শোরগোল যারা তুলছেন, তারা যে হিপোক্রেট নন, তার কি নিশ্চয়তা? কয়েক দশক ধরে গোটা সমাজটাই তো অধঃপতনে। পরিস্থিতি এখন এরকম যে "সর্বাঙ্গে ব্যথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×