যাবার কথা ছিলো নরসিংদির জিন্দা পার্ক। বিশ্বরোডে পৌছে এমন জ্যামে পরলাম যে সাথে সাথে ড্রাইভারকে গাড়ি ঘুরিয়া ঢাকা ফিরতে বল্লাম। হঠাৎ মনে হলো জল জঙ্গলের কাব্যে একটা ফোন করি। ফোন করার পর ম্যানেজার কামলুল ভাই একটু ভেবে বললেন চলে আসুন। সাথে সাথে গাড়ি আবার ঘুরালাম এবং কয়েকজনের কাছ থেকে লোকেশন নিয়ে চলে গেলাম সেখানে।
রিসোর্টে ঢুকেই মনটা আনন্দে ভরে উঠলো মনে হলো। এখানেইতো আসার কথা ছিলো আমার। এত সুন্দর একটা প্রাকৃতির রিসোর্ট। এটি আসলে একজন অবসরপ্রাপ্ত পাইলটের শখের বাড়ি। তিনি শখের বশে রেফারেন্সে আসা কিছু মানুষজনকে আপ্যায়ন করেন এবং তা মোটেও বানিজ্যিক ভিত্তিতে নয়। আমরা যাবার সাথে সাথে চিতই পিঠা, লুচি আর ৩ রকমের সবজি ও মাংশ দিয়ে নাস্তা দেয়া হলো সাথে চা ও কফি।
নাস্তা সেরে পুরো এলাকটা ঘুরে বেড়ালাম। একটা গ্রামের কিছু অংশ এবং বিল কিনে কোনরকম পরিবর্তন ছাড়াই এটিকে তিনি একটি রিসোর্ট হিসেবে বানিয়েছেন। আমরা সারা সকাল পুরো এলাকার জঙ্গলে ঘুরে বেড়ালাম, বিলে নৌকা চালালাম। সবার শেষে পুকরে গোছল করলাম। দুপুরে খাবার এলো ১০/১২ রকম দেশী আইটেম। যেমন- মোটা চালের ভাত, মুরগির ঝোল, ছোট মাছ আর টক দিয়ে কচুমুখির ঝোল, দেশী রুই মাছ, ৩ রকমের ডাল এবং সবজি। বিকেলে আবার নাস্তা। এরপর ঢাকা ফেরা।
যেভাবে যাবেন- নরসিংদি, ভৈরব বা কালিগন্জ এর বাসে পুবাইল কলেজ গেট নামতে হবে। এরপর হাতের বায়ের রাস্তায় ব্যাটরীচালিত রিক্সায় করে মাইল তিনেক গেলেই পাইলট বাড়ি (এলাকায় এ নামেই পরিচিত)। প্রাইভেট কার নিয়েও একইভাবে যাওয়া যায়।
তবে যাবার আগে অবশ্যই ফোন করে কনফার্ম করতে হবে , ফোন নম্বর : ০১৯১৯৭৮২২৪৫ (মি: কামরুল)
এবার কয়েকটা ছবি দেখাই :
মাছরাঙা চ'লে গেছে -- আজ নয় কবেকার কথা;
তারপর বারবার ফিরে এসে দৃশ্যে উজ্জল।
মলিন পাখনা তার খড়ের চালের হিম শিশিরে মাখায়;
তখন এ পৃথিবীতে কোনো পাখি জেগে এসে বসেনি শাখায়;
পৃথিবীও নাই আর;- দাঁড়কাক একা একা সারারাত জাগে;
`কি বা, হায়, আসে যায়, তারে যদি কোনোদিন না পাই আবার।'
তোমার যেখানে সাধ চলে যাও-আমি এই বাংলার পারে রয়ে যাব
আমাকে সে নিয়েছিলো ডেকে; বলেছিলোঃ 'এ নদীর জল
তোমার চোখের মত ম্লান বেতফল; সব ক্লান্তি রক্তের থেকে
স্নিগ্ধ রাখছে পটভূমি; এই নদী তুমি।'
স্বচ্ছল শাণিত নদী, তীরে তার সারস-দম্পতি
ঐ জল ক্লান্তিহীন উৎসানল অনুভব ক'রে ভালোবাসে;
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধুসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে
আমি যদি বনহংস হতাম,
বনহংসী হতে যদি তুমি;
কোনো এক দিগন্তের জলসিড়ি নদীর ধারে
ধানক্ষেতের কাছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২৬