পর্ব – ১
পর্ব – ২
আজকে আপনাদের দার্জিলিং মল দেখাবো, তার আগে আমার হোটেল রুম থেকে দেখা সকালের দৃশ্য কেমন ছিলো তা দেখাবো.
সকালে উঠে চোখ মেলে দেখি জালানা দিযে কিছি দেখা যাই না, পুরা জানালা মেঘ এসে ঘোলা করে দিছে. জানালা খুললাম, খুলেই দেখি এই দৃশ্য. মনটাই ভালো হয়ে গেলো. হোটেলের উপর যত রাগ ছিলো সব এক নিমিষে উধাও হয়ে গেলো. এত হালকা বাতাস, বুক ভরে নিস্সাশ নিলাম, মনে হলো যেনো বাতাসে কেও air freshener spray করে রাখছে. দুরে সাদা সাদা ফোটা ফোটা যা দেখা যায় সব কিন্তু বারিঘর.
ভালো ভালো হোটেলের বৈশিষ্ট হলো সেসব হোটেল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়. এমন পরিষ্কার আকাশ থাকলে কান্চন্জন্ঘা সহজেই দেখা যায় দার্জিলিং থেকে, টাইগার হিল যেতে হয় না.
দার্জিলিং মল. বিকাল বেলা তোলা ছবি. এই জায়গায় সকাল দুপুর বিকাল এবং সন্ধার চিত্র পুরা আলাদা. সকালে প্রচুর লোক এখানে আসে শরীর চর্চা করতে, বিকালে আসে অলস ভাবে বসে আড্ডা দেওয়ার জন্য (আড্ডা দেওয়ার জন্য এই মল আমার মনে হয় পৃথিবীর সবচে সুন্দর জায়গা, এখানকার চা (মাত্র ৫ রুপি দাম) আমার খাওয়া সবচে মজার চা. সন্ধায় মলে ভির হয় সবচে বেশি. সব টুরিস্ট আসে সন্ধার সময়. তাছাড়া সন্ধার সময় সবাই কেনাকাটা করতেও আসে. প্রতিটা হিলি স্টেশনে একটা করে মল থাকে যেখানে মানুষ কাজের শেষে এসে দেখা করে এক জন আরেকজনের সাথে. দার্জিলিং মল তার বাতিক্রম না.
আমরা যখন গেছিলাম তখন দূর্গা পুজা চলতেছিলো. তাই এই মঞ্চ বানানো এবং চেয়ার পাতা হয়েছিল.
বিকালের দার্জিলিং মল. ডান দিকের উপরের বিল্ডিং গুলা সব হোটেল. হোটেল নিয়া আমার একটা অভিজ্ঞতা বলি. আমরা জখন দেখলাম আমাদের হোটেল খুব একটা ভালো না তখন আমরা নিজেরাই হোটেল খুজতে বের হইছিলাম. কিন্তু কোনো হোটেল খালি পেলাম না, যাও ২/১ তা রুম পাওয়া গেলো তাও দাম শুনে আর দিতীয়বার চিন্তা করার সাহস পেলাম না. ১৬০০ রুপির নিচে কোনো রুম পাই নাই. অথচ আমার মনে হইছে এসব রুম কোনটাই ৭০০/৮০০ রুপির বেশি হবে না. যাই হোক, আপনারা যদি দার্জিলিং যান তাহলে ইন্টারনেটে আগে থেকেই বুকিং দিয়ে যাবেন. তা না হলে বিপদে পরবেন.
এটার খাওয়া বেশ মজার, fastfood এর দোকান, সাথে cyber cafe আছে.
দার্জিলিং এ কেনার মতো তেমন কিছুই নাই. তবে শাল আর সুয়েটার কিনতে পারেন কম দামে.
মল যখন বন্ধ হয়ে যায় (৮ টার সময় বন্ধ হয় দোকান) তখন এভাবে কাধের উপর করে পুরা দোকানটাকেই তুলে নিয়ে যায়. আবার পরদিন সকালে এভাবে কাধের উপর নিয়ে এসে পসরা সাজিয়ে বসা হয়. দার্জিলিং এ তো আর আমাদের মত রিকশা অথবা ভ্যান গাড়ির ব্যবস্থা নাই।
এই একটা দোকানে বাংলা লিখা দেখে ছবি তুলে রাখছিলাম.
বাম পাশে উপরে হোটেল আর নিচে দোকান, ডান পাশেও তাই.
মলের ঝরনা.
চলবে …………
পর্ব – ১
পর্ব – ২
ভালো রেজুলুশনের ছবি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১০