somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দার্জিলিং (Land of the Celestial Thunderbolt) ফটো স্টোরি – part 3

২৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্ব – ১

পর্ব – ২

আজকে আপনাদের দার্জিলিং মল দেখাবো, তার আগে আমার হোটেল রুম থেকে দেখা সকালের দৃশ্য কেমন ছিলো তা দেখাবো.


সকালে উঠে চোখ মেলে দেখি জালানা দিযে কিছি দেখা যাই না, পুরা জানালা মেঘ এসে ঘোলা করে দিছে. জানালা খুললাম, খুলেই দেখি এই দৃশ্য. মনটাই ভালো হয়ে গেলো. হোটেলের উপর যত রাগ ছিলো সব এক নিমিষে উধাও হয়ে গেলো. এত হালকা বাতাস, বুক ভরে নিস্সাশ নিলাম, মনে হলো যেনো বাতাসে কেও air freshener spray করে রাখছে. দুরে সাদা সাদা ফোটা ফোটা যা দেখা যায় সব কিন্তু বারিঘর.


ভালো ভালো হোটেলের বৈশিষ্ট হলো সেসব হোটেল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়. এমন পরিষ্কার আকাশ থাকলে কান্চন্জন্ঘা সহজেই দেখা যায় দার্জিলিং থেকে, টাইগার হিল যেতে হয় না.


দার্জিলিং মল. বিকাল বেলা তোলা ছবি. এই জায়গায় সকাল দুপুর বিকাল এবং সন্ধার চিত্র পুরা আলাদা. সকালে প্রচুর লোক এখানে আসে শরীর চর্চা করতে, বিকালে আসে অলস ভাবে বসে আড্ডা দেওয়ার জন্য (আড্ডা দেওয়ার জন্য এই মল আমার মনে হয় পৃথিবীর সবচে সুন্দর জায়গা, এখানকার চা (মাত্র ৫ রুপি দাম) আমার খাওয়া সবচে মজার চা. সন্ধায় মলে ভির হয় সবচে বেশি. সব টুরিস্ট আসে সন্ধার সময়. তাছাড়া সন্ধার সময় সবাই কেনাকাটা করতেও আসে. প্রতিটা হিলি স্টেশনে একটা করে মল থাকে যেখানে মানুষ কাজের শেষে এসে দেখা করে এক জন আরেকজনের সাথে. দার্জিলিং মল তার বাতিক্রম না.


আমরা যখন গেছিলাম তখন দূর্গা পুজা চলতেছিলো. তাই এই মঞ্চ বানানো এবং চেয়ার পাতা হয়েছিল.


বিকালের দার্জিলিং মল. ডান দিকের উপরের বিল্ডিং গুলা সব হোটেল. হোটেল নিয়া আমার একটা অভিজ্ঞতা বলি. আমরা জখন দেখলাম আমাদের হোটেল খুব একটা ভালো না তখন আমরা নিজেরাই হোটেল খুজতে বের হইছিলাম. কিন্তু কোনো হোটেল খালি পেলাম না, যাও ২/১ তা রুম পাওয়া গেলো তাও দাম শুনে আর দিতীয়বার চিন্তা করার সাহস পেলাম না. ১৬০০ রুপির নিচে কোনো রুম পাই নাই. অথচ আমার মনে হইছে এসব রুম কোনটাই ৭০০/৮০০ রুপির বেশি হবে না. যাই হোক, আপনারা যদি দার্জিলিং যান তাহলে ইন্টারনেটে আগে থেকেই বুকিং দিয়ে যাবেন. তা না হলে বিপদে পরবেন.


এটার খাওয়া বেশ মজার, fastfood এর দোকান, সাথে cyber cafe আছে.


দার্জিলিং এ কেনার মতো তেমন কিছুই নাই. তবে শাল আর সুয়েটার কিনতে পারেন কম দামে.


মল যখন বন্ধ হয়ে যায় (৮ টার সময় বন্ধ হয় দোকান) তখন এভাবে কাধের উপর করে পুরা দোকানটাকেই তুলে নিয়ে যায়. আবার পরদিন সকালে এভাবে কাধের উপর নিয়ে এসে পসরা সাজিয়ে বসা হয়. দার্জিলিং এ তো আর আমাদের মত রিকশা অথবা ভ্যান গাড়ির ব্যবস্থা নাই।


এই একটা দোকানে বাংলা লিখা দেখে ছবি তুলে রাখছিলাম.


বাম পাশে উপরে হোটেল আর নিচে দোকান, ডান পাশেও তাই.


মলের ঝরনা.

চলবে …………

পর্ব – ১

পর্ব – ২

ভালো রেজুলুশনের ছবি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১০
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×