মানুষ ত্রাস সৃষ্টিতে অতীব পারর্দশী। তার ত্রাস সৃষ্টির জন্য শুধুমাত্র সামান্য ইন্ধন প্রয়োজন। আপন জনের মৃত্যু অনেক বড় স্টিমুলেসন।
এদেশের মানুষের নিজ শরীরের বায়োলজি সম্পর্কে ধারণা প্রায় শুন্যের কোঠায় হলেও তারা সহজেই নানা টোটকা বা সহজ চিকিৎসা পদ্ধতি মুখে মুখেই বলে দিতে পারে।
এদেশে এমবিবিএস ডিগ্রিও একরকম মূল্যহীন। এটির বদৌলতে পোস্ট গ্রাজুয়েশনের ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যায় এতটুকুই সুবিধা। নামের আগে ডাক্তার এদেশে সবাই লিখে এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে পাস করার পর নামের আগে ডাক্তার লেখা এদের সাথে প্রতিযোগিতাও করতে হয় একরকম।
দু এক দিনের ধর্মঘট খুব ভালো সমাধান নয়। মিডিয়ার গর্দভদের বিপক্ষে কথা বলাও দুই কারণে অযৌক্তিক। প্রথম কারণ বুঝতে কালের কন্ঠের ফেসবুক পেজ থেকে ঘুরে আসুন, বুঝতে পারবেন তারা আসলে কী ছাপতে চায় এবং তাদের পেশাগত দায়বদ্ধতা কতটুকু। দ্বিতীয় কারণ হল ইতিপূর্বেই বলেছি এদেশের শিক্ষিত মানুষের নিজ বায়োলজি সর্ম্পকে ধারণা নেই, আপনার দেওয়া তথ্য গ্রহণ করারও সময় নেই। আপনি তথ্য দিতে পারেন তবে বোঝার কৃতিত্ব সম্পূর্ন যে বুঝতে চায় তার।কিন্তু এখানে কেউ বুঝতে চায় না। তা ছাড়া আমাদের এই অঞ্চলে রোগীদের মাঝে খুব বেশী ডাক্তার পরিবর্তনের মানসিকতা দেখা যায়।
তারা ডাক্তারের কাছে যায়, ডাক্তারের ঔষধ একদিন খেয়েই সিদ্ধান্ত নেয় এই ডাক্তারের কাছে কোন চমক নেই।ওমনি ডাক্তার বদল করে ফেলে। এর অনেক রকম কারণের মধ্যে একটি কারণ হিশেবে এক বন্ধু বলল এদেশে ডাক্তার বড় সস্তা। ৪০০ টাকায় সহকারী প্রফেসর, ৪৫০ টাকায় সহযোগী, ৫০০ বা ৬০০ টাকায় একজন প্রফেসরকে পাওয়া যায়। হয়ত টাকার অংক স্থান কাল পাত্র ভেদে সামান্য উঠানামা করতে পারে। কেনইবা রোগী জ্বরের জন্য প্রফেসরেরর কাছে যাবে না আর কেনইবা ইর্ন্টান, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের ডাক্তার বলে মনে করবে, আর কেনইবা বা কথায় কথায় কথা শোনাবে না। কারণ তাদের বিবেচনায় ডাক্তার হল ৬০০ টাকার কর্মচারী।
তাই এখন কাউকে বোঝানোর প্রয়োজন নেই, এখন প্রয়োজন প্রতিবাদ।
ডাক্তারের কর্মপরিবেশ বান্ধব আইন প্রয়োজন, নিরাপদ কর্মস্থল প্রয়োজন, উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করা প্রয়োজন। তবে কর্ম বিরতি বা ধর্মঘট কোন ভাবেই ডাক্তারদের নিয়ম নীতির সাথে মিলে না তাই প্রতিবাদের ভাষা হতে হবে অন্যরকম।