somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার বিড়ালগুলো-১

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমি খুব ছোটবেলা থেকে বিড়াল পালতাম। আমার আব্বু, আম্মু এবং ছোটবোনও বিড়াল পছন্দ করতো। আমার প্রথম বিড়ালের নাম ছিল অঞ্জনা। আমি যখন সেই বিড়ালটা পালা শুরু করেছিলাম, তখন অঞ্জনা খুব জনপ্রিয় নায়িকা ছিল। আমরা তখন থাকতাম পদ্মাভিলা, পুরানো ঢাকার একটি নামকরা বাড়ি। একতলায় থাকতাম। অঞ্জনার অনেকগুলো বাচ্চা হয়েছিল। পরে অঞ্জনা কোন কারণে পাগল হয়ে গেছিল। এরপর আমরা নয়াপল্টনে ছক্কা হাজীর বাড়িতে ভাড়া নেই। বাড়িআলার নাম ছক্কা হাজী ছিল, কেননা সে ছয়বার হজ্জ করেছিল।অঞ্জনার একটা বাচ্চা আমাদের সাথে এসেছিল।নাম ছিল এসশাদ। ওর নাম এটা হওয়ার কারণ তখন ক্ষমতায় ছিল এসশাদ। বিটিভিতে একদিকে রাষ্ট্রপতি ভাষণ আর আরেকদিকে আমার বিড়াল খাবারের জন্য মিউ মিউ করতো। আমার ছোটবোন বিড়ালটাকে খুব আদর করতো। কালো রং এ ছিল। আমরা বিলাতে যখন ছয় মাসের জন্য যাই। বিড়ালটা আমাদের শোকে মারা যায়।বিলাত থেকে এসে রঞ্জনা নামে আরেকটা বিড়াল পালা শুরু করি। ওর আবার লেজ ফুলা ছিল। ওর অনেক বাচ্চা হয়। শ্রীদেবী, রেখা, অমিতাভ। গাড়ির চাপায় শ্রীদেবী মারা যায়। রেখা হারিয়ে যায়। অমিতাভ অনেকদিন আমাদের সাথে ছিল। আমরা ৮৮ বন্যার কিছুদিন আগে উত্তর শাহজাহানপুরের ৪২০(এটা ৪১৯ এই রেখেছে বাড়িআলা) নম্বর বাসায় উঠি তখন রঞ্জনা আর অমিতাভ ছিল। আমরা থাকতাম তিন তলায়। অমিতাভকে আমার এক আব্বার বন্ধুর ছেলে তামিম অমিতাভকে কতবার যে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে, তার কোন হিসাবই নেই।রঞ্জনার একটা বাচ্চা হয়েছিল, যার দুই চোখের রং দুই রকম। এতো সুন্দর লাগতো না বিড়ালটাকে। রঞ্জনাকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়। আমার সন্দেহ বাড়িআলার কেউ মেরেছে। ওই বাসা ছেড়ে দিলে নতুন বাসায় পুচ্চি(দুই রং বিশিষ্ট চোখআলী) এবং অমিতাভকে নিয়েও রাখতে পারি নাই। ১৯৮৪ সাল থেকে বিড়াল পালি। প্রথম অঞ্জনা দিয়ে শুরু হয়, অমিতাভ দিয়ে শেষ হয়। আমাদের বাসায় একদিন ৪২০ নম্বর বাসার একতলা অ্যান্টি বলে অমিতাভ মারা গেছে। আম্মার প্রিয় নায়ক অমিতাভ। সে তার কথা মনে করেছিল। পরে যখন শুন বিড়াল অমিতাভ তখনো দুঃখ পেল। আমি নিজে গিয়ে অমিতাভের লাশ পলিথিনে ভরে ময়লার জায়গায় ফেলে আসলাম। আমার দুই চোখ দিয়ে অঝর ধারায় অশ্রু বইছিল। ভালবাসা সবারই অন্যরকম। সবাই কি আর তা পায় বা প্রকাশ করে? জীবন চলে যাচ্ছে। জীবনের কিছু সৃতি মনে পড়লে হঠাৎ থমকে যাই। সময় নিষ্ঠুরভাবে চলে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×