এটি কোন মৌলিক রচনা নয়, আমি বিভিন্ন জায়গাতে থেকে ভালোবাসা ভিত্তিক কিছু তথ্য তার সাথে আমার কিছু নিম্নমানের ্মত যোগ করে এই রচনাকে একটি আদর্শ যৌগিক পদার্থে পরিনত করার বৃথা চেষ্টা করবো-কিন্তু জানি অবশেষে এটি হয়ে ওঠবে একটি ব্যর্থ রচনা।

ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি-আবেগকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা। এই রচনার মূল বিষয় হবে ভালোবাসার শ্রেণীবিভাগ। আর এজন্যে আমি তুলে ধরবো মনোবিজ্ঞানী রবার্ট স্ট্রেনবার্গ একটি তত্ত্ব। এই তত্ত্বানুসারে ভালোবাসার উপাদান মূলত তিনটি-
১.অন্তরঙ্গতা
২.প্রচন্ড আবেগ
৩.অঙ্গীকার


আদর্শ প্রেম হলে তাতে ভালোবাসার তিনটি উপাদানই থাকবে-
তাদের মধ্যে অন্তরঙ্গতার জন্যে যেমন থাকবে মানসিক বন্ধন,পরস্পরের প্রতি প্রবল টান;

তেমনি প্রচন্ড আবেগের মোহে এরা যেকোন অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারে,প্রচন্ড আবেগের কারনে প্রকৃত ভালোবাসার মাঝে ঘটে যেতে পারে যৌন সম্পর্ক।
এই ভালোবাসাতে প্রচন্ড আবেগ, অন্তরঙ্গতার সাথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন যে উপাদানটির জন্যে এই প্রেম সফল হয় তা হচ্ছে অঙ্গীকার- যা দ্বারা প্রেমিক প্রেমিকা একটা শপথে আবদ্ধ থাকে যে তারা সারাটি জীবন একসাথে থাকবে।
অনেক সময় এই অঙ্গীকার যোগলদের যৌনতাকেন্দ্রিক ভীতি দূর করে।

এতক্ষ্ণণ যা বললাম তা হচ্ছে একটা সফল প্রেমের উপাদান ভিত্তিক বিশ্লেষণ। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে এধরনের ভালোবাসা শতকরা ৩% হয়তোবা।

এর বাইরেও ভালোবাসার কিছু রূপ আছে -
টিনেজারদের ভালোবাসা, একে বলা হয় রোমান্টিক ভালোবাসা-
এই প্রেমে থাকে কেবল অন্তরঙ্গতা এবং আবেগ;থাকেনা কোন অঙ্গীকার- এরা প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে ঠিক- তবে ভালোবাসা টিকে থাকে অথবা সফল হয় খুব কম। আদর্শ ভালোবাসা না হলেও এই ভালোবাসায় থাকে প্রচন্ড আবেগ।এরা অনেকটা ভার্চুয়াল লাইফে লাফালাফি করে। এই প্রেমের দাগ সবার মনে থাকে আজীবন।

কেবল শারীরিক টান থেকে একটা প্রেমের জন্ম হয়- এটা অনেকটা পশুর ন্যায় প্রেম। এখানে না থাকে দায়বদ্ধতা না থাকে মনের টান। পরস্পরের শারীরিক চাহিদা - প্রচন্ড আবেগের শারীরিক প্রভাব পড়ে এই প্রেমে। ইংরেজীতে এই প্রেমকে infatuation বলে।


কেবল অঙ্গীকারের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে কিছু প্রেম/সম্পর্ক- শূন্য ভালোবাসা। যেমন বিয়ের ফলে গড়ে ওঠা সম্পর্ক। এরা দায়বদ্ধতার জন্যে একসাথে থাকে ।
তবে এখানে আমার মতামত- এখানে যেকোন একটি পক্ষ অথবা উভয় পক্ষ মূলত সন্তান উৎপাদন অথবা শারীরিক চাহিদা পূরন অথবা সামাজিকতা বজায় রাখতে বিয়ে করে। সব সময় ছেলেমেয়ের উভয়ের একান্ত ইচ্ছেতে হয়না- তাই এখানে আবেগ, অন্তরঙ্গতা থাকেই না। তবে অনেক দিন একসাথে থাকার পড় এদের নিজেদের প্রতি টানের জন্ম হয় কিন্তু ততদিনে আবার কিছু কিছু আবেগের মরণ হয়ে যায়।



একটি প্রেমের সফল সঙ্গা হবে এরকম, নারী পুরুষ যদি পরস্পরের দ্বারা সম্মোহিত হয়ে একটা সম্পর্কের সৃষ্টি করে এবং সাখানে থাকে প্রচন্ড আবেগ,অন্তরঙ্গতা এবং দায়বদ্ধতা তখন সে প্রেমকেই আদর্শ প্রেম বলে।




তথ্যসূত্রঃ
http://en.wikipedia.org/wiki/trianguler_theory_of_love