বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাকিস্তানাইজেশন বেশ জোরেশোরেই চলছে তাহলে!
আজকের প্রথম আলোতে দেখলাম যমুনা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের দায়িত্ব এবার দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে।
Click This Link
অত্যন্ত সুখবর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অবশ্যই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আদলে তৈরি করা দরকার। যেন দেশের আপদ-বিপদে তারা দেশের দায়ভার নিতে পারে, পাক সেনাবাহিনীর মতই। এজন্য সেনাকল্যাণ সংস্থার মত সংস্থা তৈরি করে দিতে হবে যে সংস্থা অবৈধভাবে নদীতীরসহ বিভিন্ন এলাকা দখল করে নিজেদের কারখানা বানাতে পারে। কিংবা সেনাকল্যাণ ভবনের মত উঁচু ভবন তৈরির জন্য পর্যাপ্ত জায়গা করে দিতে হবে। তাদেরও তো টাকা দরকার! যদিও সরকার তাদের পেছনেই বাজেটের বিশাল একটা অংশ ব্যয় করে, কিন্তু তা কি একটি সুসজ্জিত বাহিনীর জন্য যথেষ্ট? অবশ্যই নয়। সাভারের বিস্তীর্ণ এলাকা কোন কারণ ছাড়াই তাদের দিয়ে দিতে হবে, ্আর ঢাকার আশেপাশের নীচু জায়গা ভরাট করে জনগণের জন্য হাউজিং সুবিধা দিতে হবে। তাতে ঢাকা জলাবদ্ধতা যতই বাড়ুক। বৃষ্টি হলে ঢাকার বাচ্চা-কাচ্চারা তো অন্তত সাঁতার শেখার সুযোগ পাবে! ঢাকা শহর পুরোটাই তাদের দিয়ে দেয়া উচিত, বাকি ব্লাডি সিভিলিয়ানদের অন্য কোথাও সরিয়ে। ন্যাম ফ্লাট বানিয়ে অব্যশই অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের দিয়ে দেয়া উচিত, আসলে দেশটি তাদের হাতে দিয়ে দেয়া উচিত-যা যা তাদের পছন্দ হয় সব নিয়ে বাকি যদি কিছু থাকে তাহলে সেখানকার ভালটুকু প্রথমে রাজনীতিবিদদের জন্য অতঃপর অবশিষ্টটুকু আমজনতা। অনেকটা ব্ল্যাংক চেকের মত-যা খুশি একটা অংক বসাও.. সেনারা চোখ খোল ...বেছে নাও তরিকায়।
পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর শক্তিমত্তার জোরে সেখানকার অনেককিছুই সরাসরি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাক-নিন্দুকেরা বলাবলি করে সেখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় একটা অংশ নাকি সেনাদের তদারকিতে এবং আভ্যন্তরিণ এবং, ফলে, বৈদেশিক বাণিজ্যও অনেকটাই তাদের করায়ত্তে। সেখানকার সেনারা একইভাবে সরকারি সুবিধার সিংহভাগ এবং সিভিলিয়ানদের জন্য দেয় সুবিধার বড় অংশ ভোগ করে। অবশ্য এটি তাদের পাওনাও বটে!! হাজার হলেও দেশের ক্রান্তিকালের সাহসী সৈনিক তারা!! তো আমরা পিছিয়ে থাকব কেন তাই না? যদিও সাধারণ সৈনিকরা সেখানকার এর ছিঁটেফোটাও চোখে দেখে না, বড় অফিসারদের মধ্যেই সেগুলো বন্টিত হওয়ার নিয়ম বলে পাকিস্তানবিরোধীরা দাবী করেন। শোনা যায় সেখানকার রাজনীতিবিদরা এগুলো দেখেও না দেখার ভান করেন, মসনদ কন্টকমুক্ত রাখার জন্য।
আসুন আমরাও সেই পথে রওনা হই!!
গুরুত্বপূর্ণ দু'টি তথ্য দিয়ে শেষ করব।
১. গত সরকারের করা প্রকল্পের অন্যতম দরিদ্র অঞ্চলের মানুষদের কর্মসৃজন প্রকল্পের দ্বিতীয় মেয়াদে আর কোন বরাদ্দ দেয় হচ্ছে না। সোনবাহিনীর নিহত অফিসারদের পরিবারকে কত করে বরাদ্দ দেয়া হবে তা আশা করি সবাই জানেন।
২. জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে এককভাবে সবচেয়ে বেশি লোক কাজ করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী থেকে। এতদিন যে ক্রেডিট দেয়া হত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে। তথ্য : আজকের বিশ্ব, লেখক-মোস্তফা কিরণ, এপ্রিল সংস্করণ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৩১