somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমন্বিতা (শেষ পর্ব)

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কাকাবাবুর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের আরও সপ্তাহ দুয়েক পরে কোন এক ছুটির দিনের অলস বিকেলে আমি হাজির হই প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে ওনাদের বাড়িতে। কলিংবেলের আওয়াজ শুনে লগ্নজিতা বেরিয়ে আসে। আমি সরাসরি ভিতরে ঢুকতেই দেখি বৌদি লগ্নজিতার দ্বাদশী মেয়ে রোহিণীর সঙ্গে দাবা খেলায় মগ্ন। আমাকে দেখে বৌদি উঠতে চাইছিলেন কিন্তু রোহিণী মামিমায়ের হাত ধরে ঝাঁকাতে, বৌদি আবার বসে পড়লেন। লগ্নজিতাও ওদের খেলায় বিঘ্ন ঘটাতে রাজি হলো না। বৌদিকে উদ্দেশ্য করে বলেই ফেলল সে কথা,
-থাক থাক তুমি বরং মামের সঙ্গে খেলা করো। আমি নিখিলেশ দাকে অন্য ঘরে নিয়ে যাচ্ছি।
কথাগুলো বলার সময় দুই দাবাড়ুর সামনে আমিও লগ্নজিতার পাশে দাঁড়িয়ে রইলাম। লক্ষ্য করছিলাম ছোট্ট রোহিণীকে একেবারে পরীর মত লাগছে। এমন সময় রোহিনীকে উদ্দেশ্য করে,
-মাম মুখ তুলে দেখ একবার তোর নতুন আংকেল। ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস কর মা।
রোহিণী কোনক্রমে মুখ তুলে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে,
-আঙ্কেল ভালো আছো?
আমি মাথায় হাত দিয়ে আদর মাখা কন্ঠে বললাম,
-হ্যাঁ বাবা ভাল আছি। তুমি ভালো আছো তো?
ও এবার আর মুখ না তুলেই খেলার দিকে চোখ রেখে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো। আমি লগ্নজিতাকে অনুসরণ করে পাশের ঘরের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম। পুরানো আমলের বাড়ি। ঘরের ভিতরে জায়গায় জায়গায় ড্যাম ধরে আছে। লাল রংয়ের মেঝেও স্থানে স্থানে ফেটে চৌচির। জানালাগুলোও যথেষ্ট ছোট। রডগুলিতে সব মরচে ধরে আছে।জানালার পর্দাগুলিকেও অত্যন্ত মলিন লাগলো। আলো বাতাসের যথেষ্ট অভাব বলে মনে হলো। ক্ষয়িষ্ণু মধ্যবিত্তের নিদর্শন বাড়িটির প্রতিটি স্থান তার সাক্ষ্য বহন করছে। হায়রে! এই বাড়িতেই একসময় একটু প্রবেশের জন্য কতইনা হাপিত্যেশ করে থাকতাম। দূর থেকে অবাক পানে চেয়ে থাকতাম।এই বাড়ীর সামান্য একটা ঘাস, লতাপাতাও ছিল সে সময়ে আমার দুর্বার আকর্ষণের বিষয়। যদিও বর্তমানে বাইরের নানান গাছগাছালির সুশীতল ছায়া, মায়া-মমতায় এখনো যথেষ্ট আকর্ষণীয় লাগলেও বাড়ির ভিতরের পরিবেশটি মুহূর্তে আমার ভালো লাগার অনুভুতিকে বিষাদময় করে তুললো।

লগ্নজিতার আঙ্গুলের ইশারাতে খাটের পাশে স্থাপিত একটা কাঠের চেয়ারে বসে পড়লাম। আমার কথা জিজ্ঞাসা করতেই, আমি অতি সংক্ষেপে আমার বর্তমান জীবনকাল ওকে বর্ননা করলাম। এবার ওর কথা জিজ্ঞাসা করতেই, মুখে কিছু না বলে ঘরের মধ্যে কিছু একটা খুঁজতে লাগলো। এক কর্নারে ডাই করে কিছু বইপত্র রাখা আছে। সেখান থেকে একটি প্যাকেটের ভেতর থেকে কালো একটি জিনিস বার করতেই সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মধ্যেই সনাক্ত করলাম শৈশবের সেই স্মৃতিবিজড়িত শ্লেটটি। আমি বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলাম ওর দিকে। মনের অজান্তেই মুখের হাসিটি চওড়া হয়ে গেল। আজ এত বছর পরেও শ্লেটটি এখনো অক্ষত ভাবে গুছিয়ে রেখেছে দেখে। হাসতে হাসতে এবার আমাকে জিজ্ঞাসা করল,
-মনে আছে নিখিলেশ দা শ্লেটটির কথা?
-মনে আছে মানে? আলবাত মনে আছে। স্মৃতিতে এতোটুকুও মলিন হয়নি। সমগ্র দৃশ্যটি এখন চোখের সামনে ভেসে উঠলো। তুই কি ভয় পেয়েছিলি সেদিন। পাগলি মেয়ে! তুই তাহলে এত বছরে এতোটুকুও বদলাসনি দেখছি।
আমি বিমোহিত হয়ে শ্লেটটি নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখতে লাগলাম। মুখে বললাম,
- তুই শ্লেটটি এখনো গুছিয়ে রেখেছিস ?
-হ্যাঁরে নিখিলেশ দা।তোর সঙ্গে শৈশবের ওই দিন গুলোতে যে মনের দেওয়া-নেওয়া হয়ছিল সেটা যে প্রেম তা একটু বড় হয়ে বুঝেছিলাম।তাইতো কত করে তোকে চেয়েছিলাম। মনে মনে ভাবতাম তুই আমার স্বামী। এ জীবনে অন্য কাউকে ওই আসনে বসাতে পারব না। আর এজন্য কতবার চেষ্টা করেছি মনের কথা তোকে জানাতে। কিন্তু তুই কিছুতেই আমাকে ধরা দিস নি। শুধু তোকে একবার দেখার জন্য সারা দিন বাইরে কাটাতাম। রাস্তার দিকে চেয়ে থাকতাম।মাঝে মাঝে দেখতাম তুই সামনে দিয়ে চলে যেতিস। কত ব্যস্ত মানুষ ছিলিস তুই! একবারও আমার দিকে ফিরেও তাকাসনি। তবে আমার দিকে না তাকানো একটা সুবিধা অবশ্য হয়েছিল আমার। ক্লাস নাইনে পড়ার সময় বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে একটু বেশি সময় দেওয়াতে মা প্রায়ই খোটা দিত সারাক্ষণ কেবল বাইরে থাকি,কে এমন বাইরে আছে যে ঘরের মধ্যে মন বসেনা বলে। তোর যাওয়া আসার দিকে মায়ের একটু বিশেষ লক্ষ্য ছিল। তুই একদিনও আমার সঙ্গে সামনাসামনি কথা না বলাতে মায়ের সন্দেহ আরো গাঢ় হয়।মা আমার কয়েকজন বন্ধুকে তোর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছিল। বন্ধুদের মাধ্যমে সে কথা পরে আমার কানে আসে। মায়ের আচরণে আমার হাসি পেয়েছিল ঠিকই কিন্তু আমি ভীষণ কেঁদেছিলাম রাতের পর রাত তোকে কোনভাবেই ধরতে না পেরে। শুধু অপেক্ষায় ছিলাম একটিবার মুখ তুলে তুই আমার দিকে দেখবি। শুধু একটি কথা তোর মুখ থেকে শোনার জন্য আমি প্রায় পাগল হয়ে উঠেছিলাম।

তুই আমার কোন অনুভূতিই বুঝতে পারিস না নিখিলেশ দা। তুই একটা হাদা। তোকে তাতানোর জন্যে তোর সামনে কত ছেলের সঙ্গে আড্ডা মেরেছি। কতজনের সাইকেলে চড়েছি। তোর একদিনের জন্যেও কি রাগ হয়নি আমার উপরে? একবারের জন্যও তুই মুখ ফুটে বলতে পারিস নি আমার সামনে এসে। কিসের এত অহংকার তোর? পাড়ার ছেলেদের সাইকেলে চড়ার উদ্দেশ্য ছিল মাকে কনফিউজ করে দেওয়া।কিন্তু মা অন্য কাউকে সন্দেহ করেনি। সারাক্ষণ পড়েছিল তোকে নিয়ে । যে জন্যে আগবাড়িয়ে আমার পক্ষে কিছু করা সম্ভব ছিল না। অথচ আমি এটাই জানতাম তুই আমাকে ভালোবাসিস। মা আমার পিছনে গোয়েন্দার মতো লেগে ছিলো। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট খারাপের কারণ ছিলিস তুই। কিছুই তো পড়তাম না, সারাক্ষণ কেবল তোর কথাই মনে পড়তো। চোখের সামনে ভেসে উঠতো শৈশবের সেই দিনগুলি। সত্যি কথা বলতে কি ভালো রেজাল্ট করে কলকাতায় পড়ার ইচ্ছা আমার ছিল না। রেজাল্ট খারাপ হওয়াতে মা রাগ করে বাবাকে বিয়ের সম্বন্ধ দেখতে বললে আমি আর না করিনি। আমি আর পারছিলাম না যেন চাপ নিতে। যদিও ওটা ছিল মায়ের মুখের কথা। মা রাগতস্বরে বলেও ছিল সে কথা।
-বিয়ে বললেই বিয়ে! ওসব হবে না। ঠিক সময়েই ওসবের ব্যবস্থা করা হবে।
আমিও মায়ের মুখের উপরে বলি,
-আমাকে নিয়ে তোমরা গিনিপিগের মতো যতটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করো না কেন তাতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই।
বাবা পাশে বসে মুখ টিপে টিপে হাসলে,
-তোমার আশকারাতে মেয়েটার বার বেড়েছে।
বাবা অবশ্য মায়ের কথা মুখ বুঁজে মেনে নিয়েছিলেন।


দাদা কলকাতার সিটি ও বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে আমার জন্য ফ্রম তুলেছিল। কিন্তু আমি সরাসরি না করে দিয়েছিলাম; কলকাতায় পড়বো না বলে। এত খারাপ রেজাল্টে যে হীনম্মন্যতায় ভুগতে হবে সে কথা বিলক্ষণ জানতাম। একইসঙ্গে যেহেতু আমার পড়াশোনার মান নিম্নগামী। ফলে নতুন করে আহামরি রেজাল্ট করাও আমার পক্ষে সম্ভব ছিলনা। বাবা বরাবরই নির্বিরোধ প্রকৃতির মানুষ।আমার কাজ ও কথার জন্য বাবা কখনো আমাকে বকাবকি করেননি। পাশাপাশি আমার উপর মায়ের চাপকে বাবা কখনোই পছন্দ করতেন না। আকারে-ইঙ্গিতে সে মনোভাব বুঝিয়ে দিতেন। কিন্তু মায়ের মুখের উপরে কিছু বলতে তেমন সাহস পেতেন না।

যাই হোক অবশেষে নিজের পছন্দ অনুযায়ী শুধুমাত্র তোর জন্যই তোর কলেজে ভর্তি হই। কিন্তু এখানেও আমার মনোবাসনা পূর্ণ হয়নি। দিনের পর দিন কত ক্লাস না করে তোর রুটিন টুকে তোর অফ পিরিয়ডে করিডোরে দাঁড়িয়ে থেকেছি তার কোন হিসেব নেই। প্রথম বর্ষে পর্যাপ্ত সংখ্যক উপস্থিতি না থাকায় নন কলেজিয়েট হিসেবে নোটিশ বোর্ডে নাম উঠলো। ভয় পেয়ে গেলাম,কলেজে যাই অথচ নন কলেজিয়েট; মা জানলে একেবারে শেষ করে ফেলবে। দ্বিতীয় বর্ষে যে কারণে বেশি বেশি করে ক্লাস করতে লাগলাম। তোর অবশ্য কোন পরিবর্তন চোখে পড়লো না। এসময়ে রঞ্জনের সম্বন্ধটা আসে। প্রথমে বেশ কিছুদিন মনমরা ছিলাম। অতদূরে মেয়ের বিয়ে দেওয়া ঠিক হচ্ছে কিনা বাবার পরামর্শে মা একদিন সরাসরি আমার মতামত জানতে চেয়েছিলেন। আমিও পাল্টা জিজ্ঞেস করেছিলাম,
-আমার মত জানতে চাওয়া হচ্ছে কি জন্য? ওসব না করে তোমরা বরং হাত-পা বেঁধে আমাকে যেখানে পারো ফেলে দাও। আমি মুখ বুঁজে মেনে নেব।
মায়ের প্রতিক্রিয়া ছিল,
-দেখেছো! পোড়ামুখীর কথা দেখেছো?
দাদা তখন সরাসরি আমাকে জিজ্ঞাসা করে,
-তোর যদি কাউকে ভালো লাগে নির্ভয় বলতে পারিস মনা।
তোর নাম করতেই, মা বলে ওঠে,
-জানতাম পোড়ামুখোটার কিছু একটা আছে ওই বাঁদর ছোকরাটার সঙ্গে।
এই প্রথম দেখলাম বাবা ধমক দিয়ে বলে উঠলেন,
-আহা থামবে! তুমি কি মেয়েটার সঙ্গে একটু মিষ্টি করে কথা বলতে পারো না?
বাবা এবার আমার মাথায়-পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে বলতে থাকেন,
-মারে! নিখিলেশ যে এখনও বেকার মা। আর এই সম্বন্ধটা এতো ভালো। তুই বরং একটু ভেবে দেখ রে মা।
পরক্ষনেই বাবা আবার বলে ওঠেন,
-ঠিক আছে আমি না হয় নিখিলেশের বাড়িতে যাবো, ওর বাবার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে।
কিন্তু মা প্রচন্ড দাপাদাপি করতে থাকেন। দাদাও এমন সময় জানিয়েছিল যে সিদ্ধান্তটি বড্ড ভুল হচ্ছে বাবা।
আমি আর উপায়ন্তর না পেয়ে বাবাকে নিরস্ত করি। তখন থেকে মনে মনে চাইছিলাম দূরে কোথাও চলে যাব যেন পরিচিত কারোর মুখ আর কখনো না দেখতে হয়।

তবুও তোকে মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারিনি নিখিলেশ দা। রঞ্জনকে জানিয়েছিলাম তোর কথা। ও মেনে নিয়ে ছিল আমার মনোজগতের কথা। আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলতো,এক জীবনে হাজারো স্বপ্ন এমন অধরা থেকে যায়। তাদের ভেবে মনে কষ্ট না করে বরং সামনের দিকে তাকানোই ভালো।আমি ওর মধ্যে প্রকৃত বন্ধু খুঁজে পেয়েছিলাম। পেয়েছিলাম নিরাপত্তাও। কিন্তু মনের শূন্যতা যেন রয়েই গেছিল। তবুও তো জীবনের চাওয়া পাওয়া গুলোকে দমন করে চলছিলাম। কিন্তু রঞ্জন অ্যাক্সিডেন্টে চলে যাওয়ার পর মনের শূন্যতা আরো গভীর হয়। জীবনে চলার যাবতীয় রশদ যেন হারিয়ে ফেললাম। ছোট্ট মেয়েটার কাছেও নিজেকে লুকাতে পারিনি। রোহিণী প্রায়ই জিজ্ঞেস করত, মা তোমার কি হয়েছে। আমি চুপ করে থাকতাম, পারিনিকো কোন উত্তর দিতে। ও ওর মত একরকম ভাবতো, আর কাঁদো কাঁদো গলায় বলতো, মা আমারও বাবার কথা মনে পড়ছে। আমি সস্নেহে কাছে টেনে নিতেই ও মুখ লুকাতো কোলের মধ্যে। কথাগুলো বলতে বলতে লগ্নজিতা বারেবারে রোহিণীর দিকে তাকাচ্ছিল।

শেষের দিকে কথা বলতে বলতে লগ্নজিতা বরংবার শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে লাগলো। গলা আর্দ্র হয়ে আসায় কথা বলতে রীতিমতো সমস্যা হচ্ছিল। বেশ কয়েকবার গলাখাকারি দিয়ে গলা পরিষ্কারও করে নিল। কিন্তু একটা সময় যাবতীয় প্রচেষ্টা আবেগের কাছে হার মানলো। চোখেমুখে আঁচল চাপা দিয়ে চুপচাপ বসে রইলো। আমি পড়লাম বেশ সমস্যায়। বার দুয়েক তাকে সান্ত্বনা দিতে দক্ষিণ হস্ত প্রসারিত করেও টেনে নিলাম। মনের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলে এলো। ঠিকই তো, এখন তো আর সে সেদিনের ছোট্ট বাচ্চা মেয়েটি নেই। এদিক-ওদিক ফালুক-ফুলুক করতেই চোখাচোখি হলো দূরে রোহিণীর সঙ্গে। পাশে মামিমাও তাকিয়ে আছেন আমাদের দিকে। মায়ের অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করে খেলা বন্ধ রেখে এক-পা দু-পা করে এগিয়ে এলো মায়ের কাছে।আমি মুখ নিচু করে ওর আগমন অনুধাবন করতে লাগলাম। মায়ের মুখের কাছে মুখ নিচু করে জিজ্ঞাসা করল,
-মাম্মি তুমি আবার কাঁদছো?
লগ্নজিতা কোন উত্তর দিল না। পরিবেশটা অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলো। আমিও আবেগ তাড়িত হয়ে ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাস ফেলতে লাগলাম। মায়ের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে, রোহিণী রীতিমত ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলতে লাগলো,
-প্লিজ মাম্মি আর কেঁদোনা। তোমার কান্না আমি সহ্য করতে পারছিনা... প্লিজ মাম্মি প্লিজ।
আমি ছোট্ট রোহিণীকে সস্নেহে আদর করে হাত ধরে কাছে টানার চেষ্টা করলেও ও আমার ডাকে সাড়া না দিয়ে মায়ের কোলেই মুখ লুকালো। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে তখনো সমানে বলে চলেছে,
- মাম্মি আমারও বাবার কথা প্রচন্ড মনে পড়ছে।


............... সমাপ্ত............


বিশেষ দ্রষ্টব্য: উপরের ছবিটি আমার ছাত্র শ্রীমান সুজিত কুমার দাসের আঁকা।


সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৮
৩৩টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×