মরীচিকা (পর্ব-৩১)
সেদিন ইচ্ছে করে কিছুটা খোঁচা দিতেই মিলিদিকে জিজ্ঞাসা করি,
-আচ্ছা মিলিদি, রমেনদাকে তোমার কেমন লাগে?
আমার কথার কোন উত্তর না দিয়ে মিলিদি বরং কিছুটা উদাস ভাবে ম্লান মুখে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। বুঝলাম খোঁচাটি সে গ্রহণ করল না। হয়তো কিছুটা ইচ্ছে করেই ধরা দিচ্ছে না ভেবে আমি প্রসঙ্গ বদল করতে,
-জানো মিলিদি আমার মন বলছে হোস্টেলে আমার দিন ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে।
-ওমা সেকি!কেন এমন ভাবছেন দাদা? কেন অন্য কোথাও কি চাকরি-বাকরি পেয়েছেন?
-না না চাকরি চাকরি-বাকরির ব্যাপার নয় বা তোমার এতটা উৎকন্ঠিত হওয়ার মতো বিষয়ও নয়। তবুও আমার মন বলছে এখানে বেশিদিন আর আমার থাকা হবে না। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে একটা কাজ সমাধা করতে না পারলে বাকি জীবনে মনে খেদ থেকে যাবে।
সরল মনে মিলিদি জিজ্ঞাসা করল ,
- কি কাজের কথা বলছেন দাদা? কিসের খেদ আপনার? জীবনে সবাইকে হারিয়ে অবশেষে এইখানে এসে আমি যে আপনাকে খুব আপনজন ভেবেছিলাম। আপনিও শেষ পর্যন্ত আমাকে ছেড়ে চলে যাবেন?
-আমিও ঠিক তোমাকে ততটাই আপন ভাবি মিলিদি। আর একারণেই তোমার প্রতি আমার একটা অধিকারবোধ জন্মেছে। তোমাকে একা ফেলে চলে যেতে পারছিনা বলেই তো একটা বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবছি আর এ কারণেই তোমাকে এখানে ডেকেছি মিলিদি।
-কি ব্যবস্থা দাদা?
- শোনো তাহলে, রমেনদার মায়ের যা অবস্থা তাতে যে কোনো সময় খারাপ কিছু খবর আসতে পারে। বাচ্চা দুটিকে নিয়ে রমেনদা আগামী দিনে আরো বড় সমস্যার মধ্যে পড়তে পারে। আমি যদি এতোটুকু ভুল না হই তাহলে বলতে পারি আমরা দুজনেই ওর শুভাকাঙ্ক্ষী। অন্যদিকে তোমার জীবনের উপর সুপার সাইক্লোন বয়ে গেছে,যা এখন অনেকটা স্তিমিত। এমতাবস্থায় একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে তোমাদের দুজনের চারটি হাত এক করাই আমার অন্যতম লক্ষ্য। আশাকরি এবার আর তুমি আমার কথার দ্বিমত করবে না।
আমার কথা শেষ না হতেই মিলিদি বাচ্চা শিশুর মতো কাঁদতে লাগলো। ওর এই অপ্রত্যাশিত অভিব্যক্তিতে আমি হতচকিত হলাম। আমিও ওর সঙ্গে সমান আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লাম। মুখে বারকয়েক ওকে শান্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম। স্বপ্ন প্রত্যেক মানুষই দেখে। স্বপ্ন বাস্তব হলে আনন্দাশ্রু চোখের বাঁধ মানেনা। মানুষের ক্ষোভ, কষ্ট কান্নার মাধ্যমে পরিস্ফুট হয়। কাজেই কান্না মানুষকে গ্লানিমুক্ত করে; করে তোলে স্বাভাবিক ছন্দময়। আমি পরবর্তী ঘটনার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। একসময় মিলিদির কান্না বন্ধ হল এবং মুখ তুললো আমার দিকে। চোখ দিয়ে তখনও ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে নাকের দুপাশ থেকে। অথচ মোছার কোন নামগন্ধ নেই। আমি উপযাজক হয়ে আঁচল দিয়ে চোখ মোছার কথা বলতে গিয়েও থেমে গেলাম। আনত মুখে হঠাৎ একটুকরো নির্মল হাসি; যেন শরতের এক পশলা বৃষ্টির পরে প্রকৃতি রাজ্য ধুয়েমুছে সাফসুতরোর মতো হৃদয়ের সোনালী রোদ্দুরকে তুলে ধরলো। বুঝতে পারলাম তার অন্তরে অনুভূতির সুনামি বয়ে চলেছে। কিছু একটা বলার চেষ্টা করেও পারছে না। আচরণের মধ্যে বেশ অস্বাভাবিকত্ব বেরিয়ে আসছে। বেশ কয়েকবার এরকম কিছু বলার চেষ্টা করলেও তা কাশিতে রূপান্তরিত হল। অবশেষে অস্পষ্ট সুরে অত্যন্ত মিহি গলায় বললো,
-দাদা আমাদের সমাজে বিয়ের অনেক নিয়মকানুন আছে। আপনি মানুষটির সঙ্গে কথা বলে নিন। সেই মতো আমাকে জানাবেন।
আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।দুটি মনের মধুর মিলনে নিজেকে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে পেরে এক অসম্ভব ভালোলাগার আবেশে পুলকিত হলাম। সেদিন রাতেই মিলিদির সম্মতি নিয়ে রমেনদার সঙ্গে কথা বলি। সেও একই কথা বলল যে আদিবাসীদের মধ্যে বিবাহ সম্পর্কে অনেক নিয়মনীতি আছে। যদিও আমার পাল্টা প্রশ্নে রমেনদা সে সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানাতে পারলো না।সমাজপতি রাগমাঝির সঙ্গে পরামর্শ না করে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিল। বিষয়টা আমার কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় লাগলো।আমি নিজে রাগমাঝির সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিলাম। রমেনদা মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো। সমাজপতির সঙ্গে আসন্ন সাক্ষাতের অপেক্ষায় আমি অধীর হয়ে উঠলাম।
পূর্ব সিদ্ধান্ত মতো পরবর্তী রবিবার খুব ভোরে মিলিদিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম রমেনদার গ্রামের উদ্দেশ্যে। প্রথমে বাস, বাস থেকে নেমে ট্রেন, ট্রেন থেকে নেমে আবার বাস; তারপরে আধা পাহাড়-জঙ্গলের রাস্তা ধরে আমরা ক্রমশঃ এগিয়ে চললাম। একসময় আমরা পড়লাম চারপাশে সুদৃশ্য শাল-পিয়ালের জঙ্গলের মধ্যে। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা সঙ্গে প্রকৃতির এমন নৈসর্গিক দৃশ্যে আমার এতক্ষণে ক্লান্তি মুহূর্তে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল। জায়গায় জায়গায় শুকনো পাতার উপর তিন জোড়া পায়ের মচমচ শব্দে আমি একেবারে মোহিত হয়ে গেলাম। পথিমধ্যে একটা ছোট্ট দীঘির শান্ত জলরাশিতে পার্শ্ববর্তী বৃক্ষরাজির প্রতিবিম্বের শোভা নিরীক্ষণ করতে লাগলাম। এমন সময় এক্কেবারে পাশে আগত একটি বৃক্ষকে জড়িয়ে ধরলাম। সঙ্গে চারিদিকে কলকাকলির মধুর তানে সমগ্র পরিবেশটির এমন নৈসর্গিক দৃশ্যের অপার সুখ আমার হৃদয়ের প্রকোষ্ঠকে উদ্বেলিত করে তুললো। ইতিমধ্যে রমেনদা অনেকটা দূরে চলে গিয়েছিল।পিছন ফিরে তাকাতে আমি অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি দেখে দুই হাত কোমরে গুজে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলো। দূর থেকে একটা মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে এক-পা দু-পা করে আমার পাশে চলে এলো।
-দাদা গাছটির নাম জানেন?
-আরে! আমি কি করে জানবো? আমি কি ইতিপূর্বে কখনো জঙ্গলে এসেছি যে আমি গাছ চিনবো? কি নাম গাছটির?
-এটা হল মহুয়া গাছ।
- হ্যাঁ!এই সেই মহুয়া গাছ!বলে বিস্ময়ে ঘাড় উঁচু করে গাছটির উপর নীচে তাকাতে লাগলাম। মহুয়ার সুঘ্রাণের কথা আমি ইতিপূর্বে শুনেছি।হস্তীকুল পর্যন্ত যে সুঘ্রাণে উদগ্রীব হয়ে ওঠে। যে সুঘ্রাণের উৎস আবিষ্কার করতে না পেরে সময় বিশেষ গজবাহিনী ধ্বংসলীলায়ও মত্ত হয়। হস্তীকুলকে নিবৃত্ত করতে তাই অরণ্যবাসী পরিবারগুলি মহুয়া মরশুমে বাড়ির বাইরে মহুয়ার নির্যাস নির্মিত হাঁড়িয়া তৈরি করে পাত্র ভরে রাখে অতিথিবৃন্দের আপ্যায়নে। হস্তীকুল মনের শান্তিতে পল্লী ভ্রমণে এসে নিজেদের উদরপূর্তি করে এবং সংহার রূপ পরিত্যাগ করে। কথা বলতে বলতে হাঁটতে হাঁটতে একসময় আমরা দূরে কিছু কুটির দেখতে পেলাম। বুঝলাম আমরা একেবারে গন্তব্যে পৌঁছে গেছি। রমেনদার কাছ থেকে জানতে পারলাম অবস্থানগত দিক থেকে ওদের গ্রামটা নাকি জঙ্গলের একেবারে শুরুতেই।সে ক্ষেত্রে কোর জঙ্গল তাহলে আরো কত গভীর হতে পারে; তা ভেবে রীতিমতো শিউরে উঠলাম। গভীর জঙ্গলের মধ্যে বিষধর সাপ, হাতি, শিয়াল ও ভাল্লুকের আনাগোনা আছে বলে রমেনদা জানালো। তবে মাঝে মাঝে লোকালয়েও ওরা এসে পড়ে। যার মধ্যে সাপের আনাগোনাটা একটু বেশি বৈকি। এতক্ষণ যে গতিতে চলছিলাম সাপের কথা শুনতেই আমার হৃদপিণ্ড কম্পমান হয়ে উঠলো। দুরুদুরু বুকে এগিয়ে চলেছি। আর পাল্টা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা হলো না। কুটির গুলো অবশেষে কাছে চলে এলো। দূর থেকে আট-দশটা বলে মনে হলেও এসে দেখলাম ঠিক আট দশটা নয়, একটির আড়ালে আরো অনেকগুলো কুঁড়েঘর পাশাপাশি অবস্থিত। যা দেখে আদিবাসী পল্লীর জনসংখ্যা যথেষ্ট বলেই মনে হল।এতক্ষণ আমরা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে শর্টকাট করে এসেছি। রমেনদার কথায় রাস্তা ধরে এলে নাকি আরো অনেক পথ হাঁটতে হত।
কিন্তু পাড়ায় ঢুকে কেমন যেন খাঁ খাঁ করতে লাগলো। পড়ন্ত বিকেল অথচ গোটা পাড়াটা যেন ঘুমিয়ে আছে। আমরা ঢোকার পর গুটিকয়েক নগ্ন বাচ্চা ছাড়া আর কারো দেখা পেলাম না। বাচ্চাগুলো উৎসুক দৃষ্টিতে আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকলেও মুখ দিয়ে কোন শব্দ করলো না। রমেনদাও তাদের দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে ক্রমশ এগিয়ে চললো । ঠিক গুনে গুনে চার-পাঁচটি বাড়ির পাশ কাটিয়ে অবশেষে একটি বাড়ির সামনে এসে রমেনদা ওদের আঞ্চলিক ভাষায় কেমন একটা শব্দ করলো। রমেনদার বর্ণনায় ছেলেদের চেহারার সাথে ইতিপূর্বে পরিচয় থাকার সুবাদে বুঝলাম বড় ছেলে বাড়ির বাইরে এসে আমার ও মিলিদিকে প্রণাম করলো। পিছন পিছনে ছোট ছেলেও দাদাকে অনুসরণ করলো। আমি দুই ভাইকে সৌজন্যে সূচক আশীর্বাদ করে সোজা ঢুকে পড়লাম রমেনদার ঘরের মধ্যে। ঘর বলতে বাঁশের দর্মার উপরে পাশাপাশি দুটি ত্রিপল জোড়া। মাটির মেঝেতে বস্তা বিছিয়ে গুটি মেরে শুয়ে আছেন ওর মা। অত্যন্ত মলিন শাড়িতে হাড্ডিসার চেহারার মানুষটিকে যেন বুভুক্ষু মানুষের প্রতিনিধি বলে মনে হলো । রমেনদা পরিচয় করিয়ে দেওয়াতে মাসিমা আমার দিকে তাকালেন মুখ দিয়ে অস্ফুটে কি যেন একটা শব্দ করলেন। কিন্তু তা আমার কান পর্যন্ত এসে পৌঁছাল না। যদিও ওনার শরীরে, কথা বলার মতো সামর্থ্য আছে বলে আমার মনে হলো না। ইতিমধ্যে অপরাহ্ন এগিয়ে চলেছে, মধ্যপ্রদেশে এবার একটু চিনচিন ব্যাথা অনুভব করলাম। ঘর থেকে বেরিয়ে আসতেই দেখি মিলিদি রমেনদার জৈষ্ঠ্য পুত্র হরেনের সঙ্গে খোলা আকাশের নিচে উনুনে রান্না করতে বসে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানলাম হরেন আগে থেকে সজনে পাতা রান্না করে রেখেছিল। তার সঙ্গে দেশি মুরগির ডিমের ঝোল সহযোগে দারুণ তৃপ্তি করে সেদিন মধ্যাহ্নভোজ সারলাম।
আমার মন পড়েছিল রাগমাঝির কাছে। জঙ্গলের মধ্যে আরও দুই-আড়াই কিমি গেলে নাকি ওনার বাড়ি। এমন অপরাহ্ণে ওখানে যাওয়াটা ঠিক হবে কিনা রমেনদাকে জিজ্ঞাসা করতেই,
-না না দাদা। আমাদের এই জায়গাটায় তেমন কিছুরই ভয় নেই।
রমেনদার কথা বলার ভঙ্গিমায় তেমন ভরসা পেলাম না। তবুও মনে কিছুটা ভয় বা উৎকণ্ঠা নিয়েই আর সময় নষ্ট না করে রমেনদাকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গলের পথে হাঁটা শুরু করলাম। এবারের গন্তব্যস্থল রাগমাঝির বাড়ি। মানুষ ভয় পেলে বোধহয় ছোট্ট পথ দীর্ঘ বলে মনে হয়, কম সময় দীর্ঘক্ষণ বলে অনুভূত হয়।জানিনা তার জন্য কিনা, তবে এবারের রাস্তা যেন কিছুতেই আর শেষ হচ্ছে না; জঙ্গলের মধ্যে হাঁটছি তো হাঁটছি-ই।শুরুতে আড়াই কিলোমিটার রাস্তার কথা শুনলেও বাস্তবে আমার আরো অধিক বলে মনে হলো। ওদিকে পশ্চিম দিগন্তে রক্তিমদেব অনেকখানি ঢলে পড়েছে। হাঁটতে হাঁটতে বারেবারে হাই উঠছিল;পা ও যেন জড়িয়ে আসতে লাগলো।এমন সময় রমেনদা উত্তেজিতভাবে আমাকে ধাক্কা দিয়ে নিকটবর্তী একটা গাছকে ইশারা করে,
- দাদা দ্রুত গাছটিতে উঠে পড়ুন।
-কেন? সামনে কি কিছু আছে নাকি?
-বলছি পরে। আগে উঠুন, বলে আমার পিছনে চাপ দিতেই আমি ভয়ে হতচকিত হয়ে গাছে উঠে বসলাম। জঙ্গলের অচেনা-অজানা গাছটিতে উঠতে অবশ্য আমার তেমন বেগ পেতে হয়নি। ছোটবেলায় নারকেল গাছে ওঠার অভ্যেসটা আজ দারুণভাবে কাজে এসেছে।সে সময় পায়ে দড়ি দিয়ে, বুকে গামছা বেঁধে নারকেল গাছে উঠতাম। কিন্তু আজ এক অজ্ঞাত কারণে ছেলেবেলার অভ্যেস যে এইভাবে কাজে লেগে যাবে তা কল্পনা করতে পারিনি। যাই হোক গাছের বেশ কিছুটা উপরে উঠে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলাম। মনে মনে ভাবছি চিতাবাঘ জাতীয় যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে উপরে উঠলেও সুবিধে হবেনা। অথচ রমেনদা চিতাবাঘের কথা একবারও বলেনি। তাহলে কি আরও হিংস্র কোন জন্তুর খপ্পরে পড়ে গিয়েছি? মনে নানান প্রশ্ন উদয় হতে লাগলো। একইসঙ্গে বাবা-মায়ের মুখচ্ছবি বারে বারে ভেসে উঠতে লাগলো। কি জানি হয়তো আজই জীবনের শেষ দিন হতে চলেছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-
১-উপরের ছবিটি আমার ছাত্র শ্রীমান সুজিত কুমার দাসের আঁকা।
২-একটা টেকনিক্যাল প্রবলেমের জন্য পোস্টটি দিয়েও সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলাম। কিন্তু ততক্ষণে দুজন ব্লগার চমৎকার মন্তব্য করেছিলেন।
@আনমনা:- চমৎকার। আশা করি রাগমাঝি অনুমতি দেবে। তার আগে কি দেখে গাছে উঠলেন জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
@ইসিয়াক:-দাদা আপনি মহুয়ার ফল খেয়েছেন? পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চাই কিন্তু, সাঁঝবেলাতে গাছে উঠে বসে থাকলে হবেনি কো। আমি আর ধৈর্য ধরতে পারছিনে।
ভালোলাগা ও শুভকামনা।
রাতে ঘুমুতে যাবার আগে পোস্টটা দেখতে পেলাম না। ১১টা পর্যন্ত সম্ভবত: নতুন ব্লগ নিয়ে লিখেছিলেন। পেজটা মনে হয় ৯:৪০এ খুলেছিলেন। লেখার পরে নতুন পেজে কপি পেস্ট করে দিলে লেখাটা মনে হয় আরো উপরের দিকে আসতো। মেহরাব ভাই এর সরি দিপান্বিতার আগে বা পিছে। হা হা হা বেশি বকবক করলাম মনে হয়।
ভালো থাকবেন।
সুপ্রভাত।
পোষ্টটিতে লাইক করেছিলেন-
@আনমনা
@রাকু হাসান
ধন্যবাদ সকলকে।
মরীচিকা (পর্ব-২৯)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩