somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে গেলাম! ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই!! থ্যাংকস্‌ বিআরটিএ!

১৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ঘুষ, দুর্নীতি, জাল-জালিয়তি, শ্লথ গতির জন্য কুখ্যাত বি আর টি এ থেকে মাত্র ২০ দিনে লাইসেন্স (ফটোযুক্ত মানি রিসিপ্ট) হাতে পেয়ে গেলাম। মোট খরছ হল ২৪৫০ টাকা- ২০৫০ গেছে সরকারী কোষাগারে আর ৪০০ স্পিড মানি (এর মধ্য ব্যাংকে যাতায়তও ওদের ঘাড়ে চাপিয়েছি)। যেহেতু সব পরীক্ষায় পাশ করেছি তাই এহেন ন্যায্যমুল্য! যাহোক ব্লগারকূলের জন্য বিস্তারীত...

প্রশিক্ষন
বাসার পাশে ভর্তি হয়েছিলাম। ৫০০ টাকা পেমেন্ট করি। ৪ ক্লাস শেষে কায়দামত পালিয়ে যাই! ম্যানুয়াল, ভাঙ্গারী স্টান্ডার্ডের গাড়ীতে বসতে কারই বা ভাল লাগে? এদিক ওদিক করে বাকীসময়ে হাতঝালাই। গ্রামের আঁকাবাঁকা চিকন রাস্তায় ৩ দিন আর মাঠে ২ দিন চর্চা করি ব্যাকগিয়ার ও পার্কিং ওকে করার জন্য।

এপ্লাই-১
এখানে সব ফরম পাওয়া গেল। http://www.brta.gov.bd/app_form_next.php (বাংলাদেশের এ অগ্রগতিটা বেশ ভাল লাগে। ফরমের জন্য সরকারী অফিসে আগের মত দৌড়াতে হয়না)। ছবি মোট কয় কপি লেগেছিল মনে নেই (বেটার ৫ কপি পাসপোর্ট ও ৫ কপি স্টাম্প সাইজ রেডি রাখা)। কাছের ডিসি অফিসেই বিআরটিএ ডেস্ক। ২৫০ টাকা সহ ফরম-১ জমা দিলে একটা হলুদ কার্ড দেয়। এটা লার্নার কার্ড। নিয়ম হল ১ মাস ওয়েট ও প্র্যাকটিস করা। তবে হালকা তদবির করে এক্সামের ডেটটা পরের সপ্তাহেই নিয়ে নিই। বলে রাখা ভাল, ৫ রকমের ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে-
১- মোটরবাইক
২-অপেশাদার (নিজের গাড়ী নিজে চালনার)
৩-পেশাদার (পেশা হিসেবে যারা ড্রাইভার)
৪-ইন্সট্রাকটর (যারা অন্যকে শেখাবেন)
৫-কন্ডাক্টর (বুঝতেই পারছেন!!!)
ফরম ঐভাবেই ফিলাপ করতে হবে। আমি (ও মনে হয় বেশীরভাগ ব্লগার) ২ নং ক্যাটাগরির লোক।

পরীক্ষা
৩ স্তরে বিভক্ত। রিটেন, পাশ করলে মৌখিক, পাশ করলে প্র্যাকটিক্যাল। আমার ক্ষেত্রে পুরোটাই একইদিনে। কোথাও কোথাও ভিন্ন ভিন্ন দিনে হয়। যাহোক একস্তর পাশ না করলে পরের স্তরে যাওয়া যায়না। এবং প্রতিবার প্রতিস্তর ফেলের জন্য ১০০ টাকা দিয়ে পুনরায় ডেট নিতে হবে হলুদ লার্নার কার্ডে। কি থাকে এসব পরীক্ষায়? দেখুন শেষ প্যারায়।

এপ্লাই-২
প্র্যাকটিক্যালে পাশ করা মানেই লাইসেন্সের জন্য এলিজিবল। তবে তাৎক্ষনিক না! অফিসে কয়েকদিন যোগাযোগ করে পাওয়া গেল চুড়ান্ত আবেদনের তারিখ। যথারীতি কিছু ফরম (সাইটে দেখুন), ছবি, ১৮৫০ (সরকারী) + ৩০০ (স্পিড মানি)+৫০ টাকা (বখশিষ!) জমা দেয়ার ৩ দিন পর ফোন করে জানাল 'আপনার রিসিট রেডি।' তড়িঘড়ি তা নিয়ে এলাম। ব্যাংকে জমার কম্পিউটার রসিদের মধ্য ছবি স্ট্যাম্পিং করা। চুড়ান্ত কার্ড দিবে অক্টোবরে। তবে রাস্তাঘাটে এটাই যথেস্ট। নাউ, হ্যাপি এন্ড সেফ ড্রাইভিং!

লিখিত প্রশ্ন:
হাইওয়েতে সর্ব্বোচ্চ গতিসীমা কত? হেডলাইটের আলো কতদুর যাওয়া উচিত? কি কি কাগজ সবসময় গাড়ীতে থাকতে হবে? কার্বুরেটরের কাজ কি? ডিজেল ও পেট্রোল ইন্জিনের পার্থক্য? সংকেত ক' ধরনের? গাড়ী স্টার্ট দেয়ার আগে কি করতে হবে?...এ ধরনের ৩০ নম্বরের স/মি+শুন্যস্থান+শর্ট কোর্শ্চেন। ফুটপাতে কিছু চটি পাওয়া যায়। তা দেখে নিলেই হবে!
মৌখিক:
কি করেন? কেন লাইসেন্স করছেন? বাড়ী কোথায়? আচ্ছা বলেন, রাস্তায় গাড়ী নামাতে কি কি কাগজপত্র মাস্ট সাথে থাকতে হবে?

প্র্যাকটিক্যাল:
[পতাকাযুক্ত লৌহদন্ড দিয়ে মাঠে ১টা S বানানো হল। গাড়ীর প্রস্থের চেয়ে দু হাত চওড়া! বলল, সামনে যান]
-সামনে ঠিক মতই গেলাম
[পেছনে আসেন]
-কিছুদুর এসে গুতা দিয়ে ১টা দন্ড ফেলে দিলাম!
মনে করলাম। এই শেষ। তবে অবাক করে দিয়ে আমাকে পাশ করিয়ে দিল। সাথে উপদেশ ব্যাকগিয়ারটা চর্চা করবেন!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৪১
২৮টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×