তুমি কেবল আমার রোদের ভেতর চোখ ফেলে যাও! আমি জেনেছিলাম সন্ধ্যাপ্রদীপের আলোয় ভাসে সাত সবুজের গ্রহণকাল। তুমি কেবল আমার রোদের ভেতর...
এইসব বলতে বলতে পাথর কুড়িয়ে ঘুড়ি ভাসায় অনামিকা। অনামিকা আমাদের খোলনলচে অন্ধকারের বাহিরে বেড়ে উঠা ফুল। তার চোখের ভেতর হাজার পাখির ঘুম। ঘুম ফেলে দিলে অনামিকা আহত কবিতা।
*
সাত সমুদ্দুরের গল্প তুমি জানো। নারী, তুমি শ্রেষ্ঠ কবিতা। মনের ভেতর মনের ছায়া পড়লেই বুঝি প্রেম! শরীর যদি কেবল শরীর চায়, যার মন পুড়ে গেছে অন্যঝড়ে, যার মনের সাথে মন মেলাবার মন বলে কিছু নাই, শুধুই শরীর, শরীরের ঘ্রাণে শরীর লিখতে চায়, তুমি তাকে প্রেম বলো না! তবে বলো, যে তোমাদের শহর ভেঙে মন হারিয়ে ফেলেছে নষ্ট রোদে, সে কি আর প্রেম পাবে না? যদি সে প্রেম পেতে চায়?
অনামিকার গালের রঙে চোখের পাতায় প্রশ্ন রেখে যে পালিয়ে যায়, তার নাম প্রয়োজন নেই। তবু নাম দেয়া যাক অবলোহিত, তবু তাকে একটা নামে ডাকতে হলে এই নামেই ডাক দেয়া যাক।
-অবলোহিত, এই যে তুমি আমার চুলের বনে আঙুল পাখি বেশ উড়াচ্ছো, আমার বুকে চিহ্ন দেবে বলে রোজ দুপুরে চুমু খাচ্ছো, আমায় তুমি নগ্ন করে নতজানু খুব, আমার সরোবরে খুব যতনে আপনখেয়াল ডুব, এইসব তবে কেন? যদি মন না না থাকে, যদি শরীর টানে শুধুই শরীর চাও, তবে সে কেনো আমার শরীর শুধু? হাজার পথ পেরিয়ে এসে শুধুই আমার শরীর কেনো!
ঘুড়ি হয়ে অন্য কেউ ডাকে, অবলোহিত! আসো! বুকের ভেতর আমারো সরোবর, দেবতা, স্নান করে।যাও। তবুও তার চোখ ঘোরে না। পথের উপর পাতার মত লেপ্টে থাকে চোখ। এই পথেই অনামিকার ঘর। যদি মন না থাকে, শুধুই শরীর, আরো আরো শরীর আছে অনেক, সেসব শরীর টানে না কেন! কেন শুধুই অনামিকার ঘ্রাণ! অনামিকার স্তন ছুঁয়ে একলা অভিমান! তবে কী এই একপেয়ালার সুখ, হাজার নারীর পথ পেরিয়ে শুধু অনামিকার নগ্ন বুক, এই বুঝি প্রেম!
মন তুই থাকিস কোথায় জানি না।
*
অবলোহিত, ফিরে যাও। আমার শুধুই শরীর চেয়েছিলে। আমি তোমার মনকেই চেয়েছিলাম। আজ শরীর বাদে মনের সন্ধান কেন করো!
আমি তোমায় শরীর শুধুই দেব। মন দেব না। মন দেব না।
অবলোহিত, আজ তুমি ফিরেই বরঙ যাও!
*
শরীর কেবল শরীর ঘ্রাণেই ভাসে। চায়ের কাপে হঠাৎ কফির মত। মন চেয়ে আজ ফিরে যেতে হলো। অনামিকা, তুমি মনে দেবে না, শরীর শুধু দেবে। মন যদি নাইবা দাও, শরীর কেন দিয়েছিলে?