দেশের মানুষের জীবন রক্ষার চেষ্টা করার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী : তারানা হালিম
তার লেখার প্রেক্ষিতে এই লেখা ।
কিছু মানুষের প্রাণ বাচানোর জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার লোপ না করে আর একটা ফেয়ার ইলেকশন দিলেও কিন্তু আরো অনেক মানুষের প্রাণ বাচাতে পারতেন। গত দুই দশকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বাংলাদেশ কিন্তু গনতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল ভালো মতই --- আর আপনারই কিন্তু গণতন্ত্রের ধারা ছিনিয়ে নিলেন ।"হয়তো তাঁরা ভাবছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো দুর্ঘটনা ঘটার আগে সাময়িক বন্ধ রাখলে ফ্রান্সের এই মানুষগুলোর জীবন বাঁচানো যেত কি?" মানে বুঝলাম না। সেখানে কি সাইবার হামলা হয়েছে? না গুলি? এরসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সম্পর্ক কী? হামলার আশঙ্কায় ফ্রান্স কিংবা বেলজিয়ামে কি ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে? জানতে চাচ্ছি।
মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, লেখাটি একপেসে হয়ে গেল না? এখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে চরম ক্ষতিকর হিসেবে উপস্হাপনা করা হয়েছে । আদৌ কি তাই ? মাননীয় প্রতিমন্ত্রী হয়তো ভূলে যান নি, কিছুদিন আগে শিশু রাজনকে হত্যার কথা, ইভটিচিং এর শিকার সেই তরুনীর কথা, এরকম হাজারো ঘটনা, যেখানে এই ফেসবুকই আসল অপরাধী সনাক্ত করতে সরকারকে সাহায্য করেছে । ফেসবুক ছাড়াও কিন্তু অনেক ঘটনা ঘটছে, প্রতিদিনই পত্রিকাই চোখ রাখলেই বোঝা যায়, আমরা কতটুকু নিরাপদ ! আজকেও বগুড়ায় মসজিদের ভিতরে গোলাগুলি হয়েছে, মুয়াজ্জিন নিহত । যারা দুষ্কৃতকারী তারা তো ঠিকই VPN দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করতেছে, এক্ষেত্রে তাদের ট্রাকিং করাও কঠিন ! আর হয়রানী হচ্ছে সাধারন মানুষের । কেউ কেউ আছেন, আউটসোর্সিং করতেন ফেসবুকে, তাঁদেরও ব্যবসা বন্ধ। অনুগ্রহ করে আর একবার ভেবে দেখবেন, আসলেই কি ফেসবুক বন্ধই সমস্যার সমাধান ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১