Prothom-Alo (পড়ুন পেরথেম আলু) তে একদিন আগে দূরপরবাস বিভাগে শাহীন আক্তার নামে জাপান প্রবাসী এক ভদ্র(!!!)মহিলা "এ কেমন রসিকতা?" নামে একটি আর্টিকেল লেখেন যেখানে কেকা ফেরদৌসি (পড়ুন কেকাপ্পা) এর নুডুলস রান্নার সমালোচনা করে ট্রল/রোস্ট করা ব্যক্তিদের অসভ্য, কেকা ফেরদৌসি এর পায়ের নখের যোগ্য নয় এবং চিড়িয়াখানার জীব-জন্তুদের সাথে থাকলে মানায় বলাসহ তাদের অভিভাবকরা সঠিক শিক্ষা দেয় নাই, হেন তেন যা ইচ্ছা বলেছেন।
ট্রল/রোস্টিং কে আধুনিক সমাজে সুন্দরভাবে নেয়া হয়, খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিরাতে লেট নাইট শোগুলাতে রাজনীতিবিদ, দাম্ভিক বাচালদের রোষ্ট করা হয়। ট্রলিং আছে বলেই সাবরিনা ন্যান্সি (পড়ুন স্যাবলা নেন্সি), মডেল আরিফ খান, অনন্ত জলিলের মত যোগ্যতাহীনরা ইউটিউবে ফালতু ভিডিও আপলোড করার আগে চিন্তা করে আপলোড করে, আপলোড করলেও কমেন্ট ডিজেবল করে নেন। ট্রল বানাতেও ট্যালেন্ট লাগে। এটা অবশ্য শাহীন আক্তারের মাথায় ঢুকবে না।
শাহীন আক্তারের লেখা পড়ে যথেষ্ঠ বিরক্ত হয়ে ঐ মহিলার লেখার ভুল ধরিয়ে দিতে কমেন্ট করেছিলাম। যেখানে কেকা ফেরদৌসি কেন ট্রলের যোগ্য, আর অন্যদের অসভ্য, খারাপ বলাটা কেন ঠিক হয় নাই সেটাই সুন্দর ভদ্রভাবে কমেন্ট করেছিলাম। কিন্তু থার্ডক্লাস প্রথম আলু আমার কমেন্ট পুরোটা কেটে শুধু একলাইন রেখেছে, "করেস্পন্ডেন্স ডিনারে প্রেসিডেন্ট কেও ট্রল করা হয়"
WTF প্রথম আলু !! প্রথমে এক ঝগড়াটে মহিলার সেন্সলেস একটা আর্টিকেল ছেপেছে, এর উপরে আবার কমেন্টকারীদের কমেন্ট এমনভাবে কেটেছে যাতে আসল কথাই চেঞ্জ হয়ে অন্য কথা হয়ে গেছে। যেই পত্রিকা পাঠকের কমেন্ট সহ্য করতে পারে না, তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কিভাবে চায়।
পরিশেষে শুধু একটা কথাই বলতে হয়, এ কেমন রসিকতা?
#হলুদ_আলু
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:১৪