"প্রকৃত মুসলিম" আর বাংলাদেশের একজন "রাজনৈতিক মুসলিমের" মধ্যে বিশাল একটা ফারাক / পার্থক্য আছে।
একজন মুসলিম তার নেতা হিসাবে মানেন মহানবী (সা) কে, আর আমাদের বাংলাদেশী রাজনৈতিক মুসলিমরা নেতা মানেন তাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে, মাঝে মাঝে এই বিশ্বাসটা এতটাই প্রগাড় হয়ে ওঠে যে:- সে আর মুসলিম থাকে কিবা সন্দেহ করতে পারেন !!!
তার একটা সুক্ষ প্রমান হইলো :- কোনো মানুষ / বেআদব যদি আমাদের সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের প্রিয়মানুষ (সা) কে অপমান করে, তবে কোনো রাজনৈতিক দলের একদল " তাহা মত প্রকাশের অধিকার" বলে পার পেয়ে যায় আর আরেক দল "বাংলার মাটিতে ইসলাম কায়েম করে ছাড়বো, এরপর এদের বিচার করে ছাড়বো ইনশা আল্লাহ" বলে ইসলামের বুলি ছোড়া শুরু করে। নিজেরাই এই অপমানের বদলা না নিতে পারলেও, কেও যদি ওই অপমানের প্রতিশোধ নেয় তবে তখন ওই তারাই "হয় ধর্মের কল নাড়ানো শুরু করে" কিংবা চেতনার বাণী প্রসব করে ।
ওদের সবাইকে নিজের নেতাদের জন্যে জান কোরবান করিতে দেখিবেন, আমাদের প্রিয় মানুষের অপমানে অন্তত ব্যথিত হলেও তাহাদের "না কাদে অন্তর"।
মজার ব্যাপার হলো :- সিরিয়া সহ সারা বিশ্বের অসহায়-দুক্ষু / ভারাক্রান্ত-অভুক্ত-মৃতপ্রায় / মৃত্যু পথযাত্রী -অবহেলিত/অসহায়- সাহায্য প্রার্থী মুসলমানদের আহবান/ ক্রন্দনরত আকুতি ওদের কানে পৌছায় না !!! ওদের পেছনে "জাতীয়তার মোহর" এমনভাবে লেগেছে যে তা ওঠাতে আজাবের কল নাড়ানো ছাড়া উপায় ছিলনা !!
আফসোস :- কোনো রাজনৈতিক দলগুলারে না দেখলাম আর্থিকভাবে অসহায় অন্য মুসলিমদের পাশে দাড়াতে, অসহায় এর আহবান তো আল্লাহর শোনেন, আমরা শুধু আমাদের প্রচেষ্টা দেখাইতে পারি কেবল।
সারা বিশ্বের মুসলিম মানে এক ও অভিন্ন জাতি, এর দ্বিতীয় কোনো শাখা নেই, আর যারা "জাতীয়তার" নামে বিভেদ ছোড়ে, তাদের ফয়সালা তো তিনি করবেন যিনি সবার ও আমার একমাত্র প্রভু ।