somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রণব মুখার্জির কাছে শেখা: কীভাবে বাণিজ্যিক ইস্যুকে রাজনৈতিক বানাতে হয়

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের নীতি নিয়ে কোন কথা বলা সমালোচনার তর্কবিতর্ক তোলা খুবই বিপদজনক। অথচ ভারতের সাথে আমাদের যেসব অমীমাংসিত ইস্যু আছে সেগুলো নিয়ে কথা বলা খুবই জরুরী। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা একদিকে বিএনপি দিক থেকে হলে আমাদের স্বার্থের প্রসঙ্গের চেয়ে সস্তা ভারত বিরোধীতর প্রচারণা এত বেশি ভর করে বসে যে তাতে আমাদের আসল উদ্দেশ্য ব্যহত হয়ে যায়। জামাতের দিক থেকে হলে আরও এককাঠি সাম্প্রদায়িক রং লাগিয়ে উপস্হাপন করা হয়। ফলে সেখানেও আসল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। আর এই সুযোগে আওয়ামি লীগ পুরা ইস্যুতে - এটা নেহায়েতই এক সাম্প্রদায়িক প্রচারণা - বলে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থের দিকটা উপেক্ষা করে বা চুপ থাকে। এই পরিস্হিতিতে আমরা যদি আমাদের স্বার্থের দিক নিয়ে কথা তুলতে চাই, রাষ্ট্রের স্বার্থে জনমত তৈরি করতে চাই তাহলে "দাদা আসছেন" বলে ভেঙ্গানো বা কোন ইঙ্গিত করা যা আপাত খুবই নির্দোষ মনে হলেও আমাদের এড়ানো উচিত। কারণ এভাবেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বার্থের দিকটা সিরিয়াস কথাবার্তা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আনা সম্ভব। কোন ইঙ্গিত দিয়ে কথা তুললে কথার গুরুত্ত্ব ও এর ফোকাস সরে যাবে, আর আমরাও কিছুই অর্জন করতে পারব না।
এরকম এক পরিস্হিতিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তাঁর লক্ষ্য মূলত ট্রানজিট নিশ্চিত করা ও দক্ষিণ এশিয় টাক্সফোর্স নিয়ে কথা আগানো। গেল মাসের মাঝামাঝি ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রজ্ঞন নতুন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সাথে প্রথম সাক্ষাতের দিন থেকে ট্রানজিট নিয়ে তিনি নতুন এক তত্ত্ব হাজির করেছেন। তিনি দাবি করছেন, ট্রানজিট একটা বাণিজ্যিক ইস্যু। স্বভাবতই ভারতের মন্ত্রীদেরও একই কথা। কিন্তু আজব হোল আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রীও তোতা পাখির মত বলছেন, ট্রানজিট একটা বাণিজ্যিক ইস্যু। বাংলাদেশের তথাকথিত থিঙ্কট্যাঙ্ক ও সুশীল সমাজ খ্যাত মুরুব্বী রেহমান সোবহানের সিপিডি, সমুন্নয় ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন - সবাই উঠে পড়ে লেগেছে ট্রানজিটকে বাণিজ্যিক ইস্যু প্রমাণে। আমাদের সিঙ্গাপুর বানানোর স্বপ্নে বিভোর করতে চেষ্টার ত্রুটি করছেন না তাঁরা।
রেহমান সোবহান একজন মুরুব্বী মানুষ। বলতে খারাপ লাগে, কিন্তু বিএডিএস ছেড়ে সিপিডি নামে দোকান খোলার পর থেকেই পরাশক্তির থিঙ্কট্যাঙ্ক ও সুশীল সমাজ হয়ে ইদানিং এক অসহ্য চরিত্রে পরিণত হয়েছেন তিনি। সে নিয়ে আর দিন বিস্তারে কথা তোলা যাবে।
ভারতের সঙ্গে সব রাজনৈতিক বিষয়কে বাণিজ্যিক দিক থেকে দেখে সমাধা করতে পারলে আমাদের খুশি না হবার কোন কারণ নাই। আমাদের জন্য তা ভালোই হোত। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থ রাজনৈতিক, এভাবে দেখার সমস্যা ভারতের, আমাদের নয় । ভারতের অর্থনৈতিক স্বার্থও এখানে আছে। কিন্তু সেটাকে অর্থনৈতিক থাকতে না দিয়ে রাজনৈতিক বানিয়ে, রাজনৈতিক স্বার্থে ভারত একে ব্যবহার করে এসেছে এবং এখনও করছে। ইদানিং আমেরিকান ক্ষমতার যাতা (leverage) ব্যবহার করে আমাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা কেমন হবে, কে ক্ষমতায় বসবে, ভারতকে কী কী সুবিধা দিবে - এর মধ্যে কোনটা রাজনৈতিক, কোনটা অর্থনৈতিক, আর কোনটা সিকিউরিটি এর কোন সীমারেখা না রেখে সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে ভারত। আর মুখে বুলি আওড়াচ্ছে, ট্রানজিটকে বাণিজ্যিক ইস্যু, একে বাণিজ্যিকভাবে দেখা উচিত। ফলে এখন ট্রানজিটকে বাণিজ্যিক ইস্যু বলে খাড়া করানোর আওয়াজের মানে একটাই - ভারতের সাথে যে সমস্ত অমীমাংসিত ইস্যু আছে সেগুলো যেমন আছে তেমন ফেলে রেখে উপেক্ষা করে কেবল নিজের ট্রানজিটের স্বার্থ নিশ্চিত ও উদ্ধার করে কেটে পড়া।
ভারত ট্রানজিটকে বাণিজ্যিক ইস্যু হিসাবে দেখতে পারলে বাংলাদেশের জনগণ অন্তত একটা দিক দিয়ে বাঁচত। তা হলো নিজের রাজনৈতিকতা, রাজনৈতিক ক্ষমতা বিনির্মাণ, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বার্থ নিজে নির্ধারক নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। এরপর বাণিজ্যিক বিবেচনায় শুধু ট্রানজিট কেন আরও বহুবিধ বাণিজ্যিক বিষয়ে ভারতের সাথে সম্পর্ক পাতানো যেত, বাণিজ্যিক সম্পর্ক না হবার কোন কারণ থাকত না। একথা পানির মত পরিস্কার কেবল বাণিজ্যিক দিক থেকে বিবেচনায় বাংলাদেশ ট্রানজিট দিলে এবং নেপালে যাওয়ার ট্রানজিট নিলে সিঙ্গাপুর হবার মিথ্যা প্রলোভন নয়, সত্যি সত্যিই নিজের অর্থনীতিকে বহুদূর আগে নিতে পারত। আরও আগিয়ে বলা যায় কেবল অর্থনৈতিক বিবেচনায় কোন ডিপ সী পোর্ট নির্মাণ বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে, যদি না একে কেন্দ্র করে আমেরিকা মেরিন এনে ঘাটি গেড়ে বসে অথবা ভারত তার নিরাপত্তার অজুহাতে একে বাগড়া না দেয়। তবু বাস্তবতা হলো এগুলো অলীক। বাণিজ্যিক অর্থনৈতিক স্বার্থগুলো কখনই দুনিয়ায় বাণিজ্যিক অর্থনৈতিক থাকতে দেয়া হয়নি। রাজনৈতিক, সামরিক ক্ষমতার যাতা (leverage) দিয়ে বাণিজ্যিক অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছে, নিজের সংকীর্ণ স্বার্থের সুবিধাজনক জায়গা বের করে আনার চেষ্টা করা হয়েছে।
একথা সত্যি যে ভারত আগামিতে যদি বড় কোন অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে দাঁড়ায় পড়শী হিশাবে কেবল অর্থনৈতিক বিবেচনায় আমাদের লাভ ছাড়া ক্ষতি নাই। এই ভাবনাটার সাথে বাস্তবের কোন মিল নাই। কারণ ভারতের পররাষ্ট্র নীতির অভিমুখ এটা সমর্থন করে না। বাণিজ্য মানে দেয়ানেয়া। ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে বাণিজ্যের সংজ্ঞা ভিন্ন, কেবল নেয়া। চাপ দিয়ে স্বার্থ আদায় করে নেয়া। মস্তানি করে কন্ট্রাকটরির কাজ নেয়া, আর কাজ না তুলে দিয়ে বিল আদায় করা। কন্ট্রাকটরি অবশ্যই একটা সুন্দর ব্যবসা হতে পারে, বাণিজ্যের মর্যাদা তার আছে। কিন্তু মস্তানি করে কন্ট্রাকটরি - এটা আর ব্যবসা, বাণিজ্যের সংজ্ঞার মধ্যে থাকল না। ভারতের পররাষ্ট্রনীতিকে মস্তানি আর কন্ট্রাকটরির মধ্যে একটা বেছে নিতে হবে। ভারত অর্থনৈতিক পরাশক্তি হবার খায়েস পূরণ হবে কী না সেটা এই বেছে নেবার উপর নির্ভর করছে। সম্প্রতিকালের ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতিতে যেটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে এটা আগের চেয়ে ভয়াবহ। আগে ছিল ঐ একই বাণিজ্যিক দৃষ্টিতে দেয়ানেয়া নয় কেবল নিজের মস্তানির জোড়ে কন্ট্রাকটরির ধান্ধা। আর এখন হয়েছে এরকম বড় মস্তানকে ডেকে নিয়ে এসেছে। এবার বড় মস্তানের যাতা (leverage) ব্যবহার করে সেই একই - মস্তানি করে কন্ট্রাকটরির নীতি। যদিও আবার বড় মস্তানকে মিথ্যা করে বলে এনেছে কেবল আমার নিরাপত্তা দিকটাতেই আমি তোমার যাতা (leverage) ব্যবহার করব। অথচ ব্যবহার করছে নিরাপত্তার স্বার্থসীমা ছাড়িয়ে সবখানে, সব স্বার্থে। এই ধরণের পররাষ্ট্রনীতির বেকুবির দিকটা হলো সোনার ডিম দেয়া হাঁসের পেট কেটে সব ডিম একসাথে হাসিল করার বুদ্ধির মত। বাংলাদেশ যদি একটা ফাংশনাল রাষ্ট্র হিসাবে কাজ করতে না দেয়া হয়, চালু না থাকতে পারে, নিজের জনগণকে প্রতিনিধিত্ত্ব, স্বার্থে কাজ না করতে পারে - আমেরিকার যাতা (leverage) ব্যবহার করে একটা হাত-পা বাধা হাসিনা বা খালেদাকে দিয়ে নিজের জনগণকে প্রতিনিধিত্ত্ব, স্বার্থে কাজ না করতে দেয়া হয় - তো নিঃসন্দেহে বলা যায় এই রাষ্ট্র নিজগুণে ভেঙ্গে পড়বে, বিদ্রোহ বিক্ষোভ হবে। বাংলাদেশে বিদ্রোহ বিক্ষোভ ভারতের অর্থনৈতিক পরাশক্তি হওয়ার খায়েসে কোন সহায়ক ঘটনা না। বাণিজ্যের জন্য সুখকর হলো ভোক্তা জনগণ, বিদ্রোহী বিক্ষুব্ধ জনগণ বাণিজ্যে ক্ষতি ছাড়া কোন কাজে লাগে না। বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় সবদিক থেকে পিছিয়ে থাকা পড়শী নেপালের পরিবর্তনের দিকে নজর করলেই অনেক কিছু আগাম বুঝতে পারা সম্ভব। ভারতকে বাণিজ্য বলতে বাণিজ্য মিন করতে হবে, মস্তানির-কন্টাকটরি আর বাণিজ্য এক জিনিষ নয়। এই তফাৎ না শিখলে ভারত অর্থনৈতিক পরাশক্তি হবার খায়েস খায়েসই রয়ে যাবে। তাতে আমরাও ভাল থাকব না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির ঢাকা আসার প্রাক্কালে তাঁর আগের সফরের কিছু ঘটনা পরিচয় পাঠকের কাছে তুলে ধরে কথা শুরু করব।
২০০৭ সালে দুইবার বন্যা ও সিডিওর দুর্যোগের পর এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি সমবেদনা জানাতে ছুটে এসেছিলেন। এবার তিনি আবার আসছেন। সেবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি হেলিকপ্টার থেকে নেমে ঐ মাঠেই প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দিয়ে গেছিলেন পাঁচ লাখ টন চাল আমাদের কাছে বিক্রি করবেন। ঘটনা সেখান থেকে শুরু। ঐ পাঁচ লাখ টন চাল বিক্রির প্রতিশ্রুতি ছিল একটা বাণিজ্যিক বা বড়জোড় এর সাথে জড়িয়ে থাকা কিছুটা মানবিক। কিন্তু ওটাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় প্রতিশ্রুতি চাল বিক্রির চাল আমরা পেয়েছি এক বছর পর। ওদিকে চাল বিক্রির কথা বলে তা সময়মত না দিয়ে কৌশলে আমাদের চালের বাজারের দাম ফাটকা উঠানামা সম্পূর্ণ নিজের কব্জায় নিয়ে ২০ টাকার চাল ৪৫ টাকা উঠিয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের চাল প্রাপ্তিকে পুঁজি করে দূর্ভিক্ষ অবস্হা সৃষ্টি করার হুমকি তৈরি করে সরকারের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসাবে একে ব্যব হার করা হয়েছে। এই বাণিজ্যিক-মানবিক প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। এককথায় যেটা ছিল সত্যিকার অর্থেই বাণিজ্যিক বিষয় সেটাকে রাজনৈতিক করা হয়েছে, এটা থেকে রাজনৈতিক সুবিধা হাসিল করা হয়েছে।
প্রণব মুখার্জির সেই বিখ্যাত সফর আমরা ভুলতে পারি না। এবার এসে আবার তিনিই আমাদের শিখাতে চাইছেন ট্রানজিট একটা বাণিজ্যিক ইস্যু, আমরা যেন এর মধ্যে রাজনীতি টেনে না আনি।
এর আগে ২০০৭ সালের সফরের সময় আমাদের জন্য কী শিক্ষা রেখে গিয়েছিলেন তা একটু পটভূমিসহ কিছু কথা পাঠককে স্মরণ করিয়ে দেই।
২০০৭ সালের প্রথমবার বন্যার পর আমাদের সরকারি গুদামে চালের মজুদ ছিল চার লাখ টন। আমাদের ফকুরুদ্দিন সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা ছিলেন তপন চৌধুরি, মালিক ও ব্যবসায়ী স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের এমডি। চালের সরকারি মজুদের এই দশা সত্ত্বেও তিনি চাল আমদানি দূরে থাকুক, চালের সম্ভাব্য ঘাটতি অনুমান করে সরকার চাল আমদানি করুক না করুক আন্তর্জাতিক বাজার যাচাই, দামদর কী চলছে, সোর্স কোথায়, কোন দেশের কে ভালো দাম, মান ও ভালো শর্ত কে দিতে পারে এসব নিয়ে কোন খোঁজ খবরও করলেন না, নির্দেশও দিলেন না। তপন চৌধুরি একজন সফল ব্যবসায়ী। খাদ্য মন্ত্রণালয় চালানোকে একটা ব্যবসায়ীর দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখি তো উপরে চালের সম্ভাব্য ঘাটতি অনুমান করা থেকে শুরু করে যা যা বলেছি তা করার কথা মাথায় আসাই একজন ব্যবসায়ীর পক্ষে সবচেয়ে স্বাভাবিক ঘটনা। পণ্য (কাঁচামাল ও প্রোডাক্ট) সরবরাহের ম্যানেজমেন্ট জানা বুঝা ব্যবসার অ-আ-ক-খ। মন্ত্রণালয় চালানোর কাজটা কী এটা না বুজলেও ব্যবসায়ীর কাজ কী এই বুঝ খাটালেও চাল আমদানির আগের এসব প্রক্রিয়াগত কাজকর্ম সেরে রাখার লম্বা সময় সাপেক্ষ কাজটা তিনি করে রাখতেন, উদ্যোগী হতেন। তপন চৌধুরি এটা করেন নাই। এতোমধ্যে দ্বিতীয়বার বন্যা ও সিডওরে আক্রান্ত হয়েছিল দেশ। তাৎক্ষণিক দূর্যোগ খাদ্য, আশ্রয় লন্ডভন্ড হওয়া ছাড়াও ব্যাপক ফসনহানি ঘটে এতে। দেশের খাদ্য ব্যবস্হাপনা পরিস্হিতি আরও নাজুক অবস্হার মধ্যে পড়ে যায়। এবার এটা টের পেয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা। কিন্তু তিনি কী পদক্ষেপ নিলেন? সরাসরি মিডিয়ায় টিভি-ক্যামেরার সামনে গিয়ে বলে বসলেন, খাদ্য পরিস্হিতি বা চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কিছুই করার নাই। সেই সাথে জানিয়ে দিলেন, সরকারের চালের মজুদ কত কম। নিজে মিডিয়ায় দেয়া এই তথ্য চাল ব্যবসায়ীরা কীভাবে ব্যবহার করবেন, বাজারে এর প্রতিক্রিয়া কী হবে একজন ব্যবসায়ী হিসাবে তপন চৌধুরি নিশ্চয় জানতেন। আগেই বলেছি তপন চৌধুরি একজন ওষুধ প্রস্তুতকারী সফল ব্যবসায়ী। ওষুধ শিল্পে একনম্বর না হলেও দুই নম্বরে তাঁর কোম্পানীর অবস্হান। এই সফল ব্যবসা থেকে টয়লেটরিজ, টিভি মিডিয়া প্রযোজনা, রিয়েল এষ্টেট, কমপিউটার, হাসপাতাল, চানাচুর মশলার প্যাকেট ইত্যাদি নানান ব্যবসা তিনি ও তাঁর পরিবার করে যাচ্ছেন। তিনি অদক্ষ - ব্যবসা, ম্যানেজমেন্ট কিছুই বুঝেন না - এটা তিনি নিজেও নিশ্চয় মানবেন না। তাহলে নিজেকে জীবনে এভাবে পাবলিক ব্যর্থতার কালো দাগে কেন বরণ করে নিলেন? এই পেশাগত আত্মার হত্যা তিনি কেন মেনে নিলেন? সে প্রশ্ন তুলে রেখে পরের প্রসঙ্গে যাব।
যেঁচে চাল প্রতিজ্ঞাকারী প্রণব মুখার্জি যখন সফরে এসেছিলেন তখন বেসরকারি খাতে ভারত থেকে চাল আমদানি হচ্ছিল ৩৮০ ডলার টন হিসাবে। প্রণব মুখার্জির প্রতিজ্ঞার পরে তপন চৌধুরির মন্তব্যের কারণে চালের বাজারে একটা ফাটকা দামের পরিস্হিতির দিকে যাচ্ছিল, এটাই স্বাভাবিক। চালের এই ফাটকা বাজার তৈরিতে ভারত সরকারের প্রথম অবদান হলো, ভারতীয় কাষ্টমসকে নির্দেশ দিয়ে বলা, ৪০০ ডলারের নিচে কোন চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ - এই নির্দেশ কার্যকর করতে। চালের নূন্যতম রপ্তানি দামের এই বিধি নিষেধ পরবর্তীতে ধাপে ধাপে ৪৫০, ৫৫০, ৬৫০ এরপর একলাফে ১০০০ ডলার টনে আরোপ করা হয়। ভারতীয় রপ্তানিকারকরা কোর্ট কাচারি করেও এর কুলকিনারা করতে পারেননি। বহন ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক খরচ ছাড়া ৪০০ ডলার টন, মানে ২৮ টাকা কেজি দরে চাল আমদানি করে কোন সৎ ব্যবসায়ীর পক্ষেও ৩২ টাকার নীচে বাজারে খুচরা বিক্রি করা অসম্ভব। ফলে বাজার লাফাচ্ছে, অস্হির। ভারতের প্রতিশ্রুত চাল এখানে মূল নিয়ন্ত্রক। এই চাল যদি বাংলাদেশে আসতে শুরু করে তবে বাজারে হস্তক্ষেপ করার একটা হাতিয়ার সরকারের হাতে এসে যায়। সরকার কম দামে চাল বিক্রি করা শুরু করে বাজার নামিয়ে ফেলতে পারে এই ভয়ে আছে স্হানীয় ব্যবসায়ীর। ফলে ভারতের চাল দেবার ব্যাপারে কোন অগ্রগতি, দামদর ঠিক, কবে আসতে পারে ইত্যাদি খবর নিতে চাল আমদানিকারকরা সবার চেয়ে আপডেটেড। ওদিকে চাল আসা নিয়ে কোন কথাবার্তার নামগন্ধ নাই, অন্যদিকে দেশের বাজারের অবস্হা দেখে দেশে চাল আমদানির হুজুগ উঠে যায় বা বলা যায় হুজুগ ইতিবাচকভাবে তোলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক সব বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ককে সিদ্ধান্ত দেয় চাল আমদানির এলসি খুলতে কোন লিমিট নাই, কেউ যেন লিমিট না করে। যেই এলসি খুলতে চায় তাকেই যেন দেওয়া হয়। সরকার হাতে বাজারে হস্তক্ষেপ করতে পারে এমন চাল নাই ঠিকই কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে রক্তঘাম পানি করে পাঠানো পর্যাপ্ত রেমিট্যান্সের ডলারের রিজার্ভ ছিল। ফলে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক সাহস করে বলতে পেরেছিল, চাল আমদানির এলসি খুলতে কোন লিমিট নাই। (তুলনা করুন, ১৯৭৪ সালে দূর্ভিক্ষের সময় বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের রিজার্ভের এই ক্ষমতাটাই ছিল না। ফলে বন্যার পর যে ঝাপ্টাটা এসেছিল তাকে মোকাবিলা করার ক্ষমতা দেশের অর্থনীতির ছিল না। আমাদের তাজউদ্দিন, রেহমান সোবহানদের পেটিবুর্জোয়া সমাজতণ্ত্রের দেউলিয়া চিন্তা, দেউলিয়া পরিকল্পনা আমাদের অর্থনীতিকে যে দেউলিয়া করে ফেলেছিল এর হাত থেকে জনগণকে দুভির্ক্ষের হাত থেকে বাঁচাতে রাষ্ট্রের হাতে কোন হাতিয়ার মেকানিজমই ছিল না।)। এই পরিস্হিতিতে সরকার আমদানি ব্যবস্হা খোলা রেখে, শুল্কমুক্ত করে বাজারের উপর সীমিত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।
এবার রাজনৈতিক পরিস্হিতির দিক থেকে ঐসময়কে বর্ণনা করা যাক। আমাদের নিশ্চয় মনে আছে উপদেষ্টা মইনুল হোসেনের দাবড়ে বেড়ানো সারা ২০০৭ সাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের প্রথম বছরের কথা। মাইনাস টু ফর্মুলার তখন জয়জয়কার যাচ্ছে চারিদিকে। ধরছে মারছে জেলে পুরছে, আবার নতুন দল করছে, আওয়ামি লীগ, বিএনপি ভেঙ্গে সব সংস্কারবাদী মিলে একটা জাতীয় সরকারের বানানো লক্ষ্যে সবই এগিয়ে চলছিল - যার ড্রাইভিং সীটে বসেছিল মুখপাত্র মইনুল হোসেন। মইনুল হোসেনের এই পথের বিরুদ্ধে নিজের মত করে বাংলাদেশের রাজনীতিকে আকার দেবার জন্য ভারত মরিয়া হয়ে চাল হাতিয়ার ব্যবহার করেছিল।
প্রকাশ্য দেখানো হচ্ছিল চালের দরই যেন প্রতিশ্রুত চাল দেবার চুক্তি হতে বনিবনা না হবার কারণ। আবার ভারত থেকে হাইকমিশনার পিনাক রজ্ঞন এরকমও একটা ইঙ্গিত দেবার চেষ্টা হচ্ছিল যে মাত্র পাঁচ লাখ টন চাল কীভাবে যোগাড় করবে এটাই সমস্যা।

প্রথম কথা হলো, প্রতিশ্রুত চাল দেবার ক্ষেত্রে অর্থনীতি নয় রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবেই ভারত ব্যবহার করেছে। অর্থনীতির বিবেচনায় ৪০০ ডলার টনে চাল দিলে ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষতির কোন কারণ নাই। কারণ বাড়তি দামটা বাজারের ফাটকা দাম। ওটা আদায় না করলেও, এটা ঠিক অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়ই নয়। আবার ভারতের বছরে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের মধ্যে তুলনায় এই বাড়তি সম্ভাব্য মূল্যটা শতকরা হিসাবে দশমিকে প্রকাশ করতে হবে - এটা এতই নস্যি। ফলে দামের ব্যাপারে বনিবনাটা আসলে ছিল সময় ক্ষেপনের ছুতা। যাতে চালের জন্য বেচাইন সরকারকে দুর্ভিক্ষ, জনবিক্ষোভের মুখে ঠেলে দিয়ে চাপে ফেলে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে, চালের প্রাপ্যতাও কোন অজুহাত হতে পারে না। প্রথমত এটা ছিল পিনাক রজ্ঞনেরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির প্রতিশ্রুতি। তিনি নিশ্চয় ভেবে চিন্তে দায়িত্ত্ব নিয়েই চাল বিক্রির প্রতিশ্রুতি করেছিলেন। তাও আবার দোকানদার আর ক্রেতার মধ্যকার মত বেচার প্রতিশ্রুতি, যেঁচে দেওয়া প্রতিশ্রুতি। অথচ পিনাক রজ্ঞন একটা অসভ্য, অকূটনৈতিক শব্দে, কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভুতভাবে মন্তব্য করেছিলেন, "আমরা না খেয়ে তো আপনাদের খাওয়াতে পারব না"। খাওয়ানো - এই কথার মধ্যে আমাদেরকে ভিক্ষুক হিসাবে ট্রিট করার একটা খায়েস আছে। অথচ ওটা ছিল ক্র্বেতাকে দেয়া চাল বিক্রেতার প্রতিশ্রুতি মাত্র। ঐসময় রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির জন্য যাতা হিসাবে চাল ব্যবহার করতে প্রতিদিনই সচিবালয়ের বারান্দায় তাঁকে সাংবাদিকরা পেতেন। আর উল্টা ভাবতেন বোধহয় চালের দরদামের সুরাহা করতে তিনি এখানে এসেছেন, কাজ করছেন। চাল কবে নাগাদ আসবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই অযাচিত, জাতির জন্য অসম্মানজনক মণ্তব্য করেছিলেন । উচিত ছিল জনগণকে অপমান করার অভিযোগে তখনই "পারসন নন গ্রাটা" করে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা। কিন্তু আমাদের ক্ষমতার লোভকে কাজে লাগিয়ে পিনাক রজ্ঞন এখনও সদর্পে বাংলাদেশের রাজনীতি দাবড়ে বেড়াচ্ছেন।
প্রতিশ্রুত সেই পাঁচ লাখ টন চালের মধ্যে মাত্র এক লাখ টন ৪০০ ডলার দরে দেয়ার চুক্তি হয়েছিল দুই মাস পর, আর ঐ চাল এসেছিল আমাদের বোরো ধান উঠে চালের সঙ্কট সামলে উঠার পর। তাও সে চুক্তি হয়েছিল আমাদের সেনা প্রধানের ঘোড়া সংক্রান্ত ভারত সফরকে সৌজন্য দেখানোর নামে। আর বাকি চার লাখ টন চাল? এই চাল আসে একবছর পর। বর্তমান সরকারি খাদ্য মজুদ ১৪ লাখ টনের ৪ লাখ টন হলো ঐ ভারতীয় চাল। যাই হোক, বাংলাদেশ ব্যাঙ্ককে দিয়ে খোলা আমদানির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার প্রাকটিক্যাল মানেটা হলো, ভারত সরকারি পর্যায়ে যে চালটা না দিয়ে খেলছিল, সরকার ঐ চালের কিছু অংশ (সব মিলিয়ে ১-১.৫ লাখ টন হবে) ভারত থেকে বেসরকারিভাবে বেশি দামে আমদানির ব্যবস্হা করে নেয়। এতো গেল বাণিজ্যিক লড়াই এর দিক।
আওয়ামি লীগ, বিএনপি ভেঙ্গে সব সংস্কারবাদী মিলে একটা জাতীয় সরকারের বানানো লক্ষ্যে মুখপাত্র মইনুল হোসেনর লাইনের বিপক্ষে ভারতের লাইন ছিল এরকম- অনেক সংস্কার হয়েছে - এবার আওয়ামি লীগের সাথে একটা রফা করে ক্ষমতা দিবার ব্যবস্হা করে ভাগো - এরকম একটা ভাবনা নিয়ে আগাচ্ছিল ভারত। তবে একটু সংশোধন করে নেই। এখানে আওয়ামি লীগ বলেছি বটে তবে এটা হাসিনা বাদে র‌্যাটদের আওয়ামি লীগ পড়তে হবে। এখানেই ভারতের হাতে মইনুল হোসেনদের বিরুদ্ধে যাতা (leverage) দেবার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল চাল হাতিয়ার। এই দুই ধারার মধ্যে আবার কমন ছিল মাইনাস টু ফর্মুলা, তবে দুজনের কারণ দুরকম। মইনুল হোসেন মানে আমেরিকান মুল ধারার লাইন হলো - হাসিনা, খালেদা বাদ না হলে সব সংস্কারবাদী মিলে একটা জাতীয় সরকারের বানানো লক্ষ্য পূরণ হবে না। ইসলামি নামগন্ধ বাদে বাকিদের নিয়ে জাতীয় সরকার গড়াই আল-কায়েদা ধরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে একমাত্র কার্যকর রক্ষাকবচ - এটাই আমেরিকান মূল যুদ্ধকৌশল। বিপরীতে, ভারতের লাইন মানে আমেরিকান যাতা (leverage) ব্যবহার করে ভারতের লাইন হলো - খালেদার সাথে কোন ডিল নাই, গোনায় বাইরে ওটা। হাসিনার উপর সম্ভবত বিগত না হওয়া নির্বাচনে ISI এর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ ও নাখোশ ছিল ভারত। ফলে হাসিনা বাদে একটা আওয়ামি লীগ খাড়া করে দেখানো। এর মাঝখানে বন্যা সিডওরে ক্ষতিগ্রস্হ ক্ষুধার্ত মানুষ, শহরের নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষও নিজের আয়ে চাল কেনার সামর্থ হারিয়ে দিশাহারা। অথচ মানুষের চাল পাওয়াকে পুঁজি করে ক্ষমতার লড়াইয়ে ব্যস্ত ভারতীয় কূটনীতি।
আমেরিকার এই দুই লাইনের ঝগড়ায় বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষুধার্ত রেখে পণবন্দী হিসাবে ভারত বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে হার স্বীকার করে মইনুল হোসেন, তপন চৌধুরি সহ পাঁচজন পদত্যাগ করেন। সরকার নতুন রূপে সমঝোতার লাইনে হাজির হয়। আর আরও পরে, হাসিনা জেল থেকে বাইরে এসে র‌্যাটের ডিলটাকেই ভারতের কাছে বাউচারের মধ্যস্হতায় তাঁর ডিল হিসাবে গ্রহণ করাতে সক্ষম হয়। হাসিনা দলের গাদ্দারদের উপর প্রতিশোধ নেবার সুযোগ পায়।

চাল এই বাণিজ্যক-মানবিক বিষয়টাকে রাজনৈতিক ক্ষমতার হাতিয়ার হিসাবে কত সফলভাবে ব্যবহার করা যায় - এটা প্রণব মুখার্জি তাঁর গেল সফরে আমাদের শিখিয়ে গেছেন। পরিহাস হলো, এবার তিনিই ট্রানজিটকে রাজনৈতিক নয় বাণিজ্যিক ইস্যু হিসাবে দেখার আবদার নিয়ে হাজির হচ্ছেন।

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:০৬
২৯টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×