মাফিয়া নুর হোসেন দেশের সেনা বাহিনীকে ব্যবহার করে মাফিয়া নজরুল, নজরুলের কয়েকজন সাথী ও নজরুলের আইনজীবিকে হত্যা করেছে; বাংলাদেশে বিক্রয় হয়ার আর কে বাকী আছে? এই সেনাবাহিনী কি জাতির কোন কাজে লাগবে?
সেনাবাহিনীর মাত্র ৩ জন অফিসার এই ধরণের কাজে ব্যবহৃত হওয়ার পর ঢালাওভাবে ১২/১৩ হাজার অফিসারকে কি দোষী করা ঠি হবে?
নুর হোসেন ব্যতিত অন্যেরা কি আমাদের সেনা বাহিনীকে ব্যবহার করে আসছে না? অবশ্যই ব্যবহার করে আসছে, নুর হোসেনের বেলায় হয়তো ধরা পড়েছে।আসলে, আইএসআই, জামাত, বিএনপি, আওয়ামী লীগ, সাকা চৌধুরী, বড় বড় কর্পোরেশন গুলো সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে আসছে।
শেখ মুজিব হত্যা, জেল হত্যা, হাসিনার উপর গ্রেনেড আক্রমন, জিয়ার সময় ছাত্রদের ভয় লাগিয়ে ছাত্রদল গঠন, শ্রমিকদল গঠন, এরশাদের সময় পার্টি গঠন; সবকিছুতে আর্মি অফিসারদের 'ক্রিমিনাল মাইন্ডকে' দেশবাসীর বিপক্ষে ব্যবহার করেছে।
তারেক জিয়া ২০০১ সালে ভোটের সময়, ভোটের রেজাল্ট বদলায়েছে আর্মির সাহায্য নিয়ে; আমর্মি জেনারেল রাজাকুল হায়দারকে দিয়ে জেনারেল মইনুলকে সরানোর জন্য তারেক সৈন্য পাঠায়েছিল, যা জেনারেল মইনুল ভন্ডুল করে বেঁচে যায়। জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার তারেককে দুবাইতে মাফিয়া দাউদ হায়দারের সাথে ব্যবসায় জড়িত করে; হাজার উদাহরণ আছে, কি করে তারেক ও খালেদা জিয়া আর্মির অফিসারদের ব্যবহার করেছে; র্যাব তৈরি হয়েছিল আর্মি অফিসারদের ষড়যন্ত্রের ফলে; ব্যাব মৃত্যু ভয় দেখিয়ে টাকা নেয়নি, এমন কোন ব্যবসায়ী নেই!
বর্তমান আর্মিতে কিছু নিরীহ সৈনিক ছাড়া সবাই সৈনিক হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে; এদের আর্মিতে রাখা মানে অপরাধী পালন করা।
আমাদের ভৌগোলিক অবস্হান, অর্থনৈতিক সামর্থ অনুসারে, এ ধরণের ক্রিমিনালে ভরা এই বাহিনী জাতির ভয়ংকর ক্ষতি করে আসছে। আমাদের দরকার, 'স্বেচ্ছা-সেবক সেনাবাহিনী'; জাতির প্রতিটি নাগরিক ১৮ বছর বয়সের পর, ৩ মাস মিলিটারী ট্রেনিং নেবে; এরপর ২/১ বছর পর, ২ সপ্টাহ ট্রেনিং নেবে; প্রতিটি ছাত্র স্কুল কলেজে মিলিটারী সায়েন্স পড়বে; তারা ডিগ্রি ক্লাশে মিলিটারী কোর্স শেষ করে অফিসার হবে।
জাতির প্রতিটি নাগরিক মিলিটারী ট্রেনিং পেলে, সবাই সুশৃংখল, সুস্বাস্হ্যের অধিকারী হবে, তারা নিয়ম কানুন মেনে চলবে; লতাপাতার মত গজায়ে উঠা চোর ডাকাতের পরিমাণ কমবে; শক্ত সবল মানুষের সংখ্যা বাড়বে।
নুর হোসেন, তারেক ও খালেদা জিয়ার সেনা বাহিনীকে এখন অবসরে পাঠানো দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২৮