তারেক আজিজ নামের ছেলেটি ক্লাশ অফ ক্লানে তার টাউনহল আপডেট দিতে গিয়ে যখন দেখলো আরো সাত হাজার গোল্ডের প্রয়োজন তখন পুনরায় অন্যত্র এট্যাকের জন্য মনস্থির করিলো।ইত্যবসরে বাসার সদর দরজায় ফকির আসলে তারেক নামের ছেলেটি ক্লান খেলা বন্ধ করে ফকিরের আবদার মেটাতে যায়।মিনিট দশেক পর তারেক নামের ছেলেটি বুঝতে পারে তার প্রিয় ভিলেজটি অন্যকোন ক্লানের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে আরো তেরো হাজার গোল্ড, আট হাজার এলিক্সিয়ার ইত্যাদি ইত্যাদি খুইয়া বসিয়াছে।তারেক নামের ছেলেটি রিভেঞ্জ এর জন্য আটঘাট বেঁধে প্রস্তুতি নিয়ে যতক্ষণে এটাকে নামে ততক্ষণে মোবাইল-ডেটা শূন্যের ঘরে পৌঁছে যায়।যাইহোক, অনেক কাঠখড় ছাই বানিয়ে তারেক নামের ছেলেটি লাগাতার দিনতিনেক পর তার টাউনহল আপডেট দিতে সক্ষম হয়। কিন্তু তারেক নামের ছেলেটির আনন্দ দীর্ঘায়ু লাভ করে না।বারিধারার কোন এক আবাসিক রাস্তা থেকে ডিবিপুলিশ তারেক নামের ছেলেটির মোবাইল আটকে দেয়। ফিলিস্তিনী হত্যার ভিডিও মোবাইলে থাকার অপরাধে তারেক নামের ছেলেটিকে যে জেলহাজতে যেতে হয়নি তারেক এতেই খুশি।
মাস দুয়েক পর তারেক নামের ছেলেটি আবার মোবাইল কিনে।এন্ড্রোয়েড, ললিপপ ভার্সন।মোবাইলে ক্লাশ অফ ক্লান ইন্সটল দেওয়া মাত্রই তারেক নামের ছেলেটি বুঝতে পারে আগের মোবাইলে গুগল প্লে গেমসে সাইন ইন করা ছিলো না।তারেক নামের ছেলেটির দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে।
হায় টাউনহল লেভেল এইট!হায় আঠারোশ গেমস!!!এরপরের বিকেলে তারেক নামের ছেলেটি দাদাভাই রেস্টুরেন্টে নাস্তা শেষে বাংলা টিস্যু বা পেপারে হাত মুছতে মুছতে নতুন করে ক্লাশ অফ ক্লান খেলার ডিসিশন নেয়।তারেক নামের ছেলেটি পেপারে হাত মুছতে থাকে।বিলুপ্ত ছিটমহলের কান্নাকাটির ছবি তারেকের হাতে পিষ্ট হয়।বিলুপ্ত ১১৯ছিটমহলের খবরের কাগজে তারেক নামের ছেলেটির হাতে মুচড়ে যায়।দাদাভাই রেস্টুরেন্টে বিলুপ্ত ছিটমহলের হৃদয়কাঁদানো খবরেরকাগজ তারেকের হাতের পানি চুষে নেয়।তারেক নামের ছেলেটি নতুন করে ক্লাশ অফ ক্লানের জন্য পা বাড়ায়।বিলুপ্ত ছিটমহল পড়ে থাকে রাস্তার ধারে।
আসেন পাঠক এক্সপ্লেন করি কিছু-
*তারেক আজীজ- অজ্ঞাত মুক্তিযোদ্ধা।
*ক্লাশ অফ ক্লান ভিলেজ- বাংলাদেশ।
*ফকিরের আবদার- ১৯৪৭ থেকে ৭১ সাল।
ধুর মশাই!এতকিছু কইলে আবার স্যাটায়ার হয় কইত্তে!