শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
রমযানে সংযম, কোরানের বানী ভাই
বাজারেতে গিয়ে দেখি সংযমের কিছু নাই।
বুট-ছোলা-আলুচপ, পিয়াজু আর বেগুনী
দাম শুনে হার্টফেল হবে বুঝি এখনি।
মিঠাই-মন্ডা-জিলাপি, রসগোল্লা, চমচম
সবকিছুর দাম চড়া কোনটাই নহে কম।
মাছ-মাংস, চাল-ডাল, আলু-বেগুন, করলা
দাম শুনেই ফিরে গেল গৃহবধূ সরলা।
আদা-রসুন, মরিচ-পিয়াজ, লবনের দাম শুনে
মিয়া ভাইয়ের দিন গেল বাজারের টাকা গুনে।
ঝিঙা-পটল, লাউ-কদু যত প্রকার সব্জি
মূল্যমানের ব্যবধানে মহাজনের কব্জি।
গরম দামে গরম মসলা, দ্বিগুন দাম চিনি, তেল
রমযানের মাস এলেই সিন্ডিকেটের একি খেল!
ভেড়ার মাংস খাসি বলে বিক্রি করেন চাঁন মিয়া
বড় বড় হাদিস বলেন ওজনেতে কম দিয়া।
সংযমের মাস এলে বাস, রিক্সার ড্রাইভার
বেশি ভাড়া আদায় করতে সাধ্যমত ট্রাই তার।
রমযানে সংযমে কর্মকর্তার নেই হুস
টেবিলের নিচ দিয়ে রোজা রেখে খায় ঘুষ।
সংযমের শত কথা লেখা শুধু দেয়ালে
সংযমের কথা বলে একে অন্যের খেয়ালে।
সংযমের আলোচনা হাটে-ঘাটে পত্রিকায়
সংযমের খইফুটে নেতাদের বক্তৃতায়।
মুখে মুখে সংযম, বাস্তবে কিছু নাই
বাজারেতে সংযমী নাস্তানাবুদ হয় তাই।
জীবনের রোজগার করে কেহ রমযানে
লোভে পরে লোভীরা সংযম নাহি মানে।
রমযানের মাস এলে চলে নানা সন্ত্রাস
অসংযমের যাতাকলে সংযমওয়ালার নাভিশ্বাস।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬