somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাস ভাড়ায় চকলেট বিড়ম্বনা (রম্য)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

সেদিন পুরানা পল্টন মোড় থেকে ফার্মগেট যাচ্ছিলাম। আট নম্বর বাসে উঠে শাহবাগ যাওয়ার আগেই কন্ডাক্টর ভাড়া চেয়ে বসল। পকেট থেকে সাত টাকা বের করে দিলাম। টাকা হাতে নিয়ে কন্ডাক্টর জিজ্ঞেস করল, কই যাইবেন?
বললাম, ফার্মগেট।
কন্ডাক্টর আমার দিকে মুখ না ঘুরিয়েই বলল, ফার্মগেট আট ট্যাকা ভাড়া, আরেক ট্যাকা দ্যান।
আমার কাছে আর কোন খুচরা টাকা ছিল না। পকেট থেকে একশত টাকার একটি নোট বের করে দিলাম।
কন্ডাক্টর নোটের চেহারা দেখেই ক্ষেপে গেল। এক টাকার জন্য একশত টাকার নোট দেয়া যেন মহা অন্যায়। মুখ বিকৃত করে দাঁত মুখ খিচিয়ে বলল, আপনার এক ট্যাকার জন্য এখন একশ’ টাকা ভাঙ্গাবো নাকি?
কন্ডাক্টরের দাঁত মুখ খিঁচানো কর্কশ কথায় মনটা খারাপ হয়ে গেল। টাকা কম দিয়ে কর্কশ কথা শুনলে নিজেকে বুঝাতে পারতাম, টাকা কম দিয়েছি তাই কর্কশ কথা শুনেছি। কিন্তু টাকা তো কম দেইনি এবং কম দেয়ার চেষ্টাও করিনি। খুচরা না থাকার কারণে কন্ডাক্টরের এরকম আচরণ সহ্য হচ্ছিল না। বেয়াদপটার গালে কষে চড় মারতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু এত লোকের মাঝে এ কাজটি করা ঠিক হবে না। লোকে উল্টো আমাকেই গালমন্দ করবে। মেজাজটাকে অনেক কষ্টে দমন করলাম। রাগতস্বরে শান্তভাবে বললাম, আমার কাছে আর কোন খুচরা টাকা নেই। এক টাকার জন্য এটাই তোকে ভাঙাতে হবে।
কন্ডাক্টর আবারও বেয়াদবের মত বলল, ভাল করে পকেটে হাত দিয়ে দেখেন, আছে।

তার এধরনের কথার অর্থ হলো পকেটে টাকা থাকতেও ভাড়া কম দেয়ার জন্য এরকম করছি। কন্ডাক্টরের এবারের কথায় চরম অপমানবোধ করলাম। বেশিরভাগ কন্ডাক্টরের ব্যবহার কাটখোট্টা হয়। বাস টেম্পুতে উঠলেই যেন ওরা ভাল ব্যবহার ভুলে যায়। ভাল কথাটাও কর্কশ কন্ঠে বলে। তাদের এরকম স্বভাব সবসময় লক্ষ্য করে আসছি। কিন্তু আজকের এই কন্ডাক্টর যেন একটু বেশি কাটখোট্টা। ওর কথার মধ্যে নুন্যতম ভদ্রতাও নেই। ইচ্ছে করছিল কানে কপালে থাপরিয়ে দু’কথা শুনিয়ে দেই। কিন্তু ওদের তো মান সম্মান নেই, প্রতিদিন থাপ্পর খেয়ে খেয়ে থ্যাতা হয়ে গেছে, ওদের থাপরিয়ে ভালো কথা শোনালেও লাভ হবে না। তাই মেজাজ গরম না করে এক টাকা দেয়ার জন্য সবগুলো পকেটে হাত ঢুকিয়ে ভালো করে খুঁজলাম। সব পকেট হাতিয়ে দু’টি একশত টাকার নোট ছাড়া আর কোন টাকাই পেলাম না। তবে প্যান্টের পকেটে তিনটি চকলেট পেলাম। একটি চকলেট পকেট থেকে বের করে কন্ডাক্টরের হাতে দিলাম।
কন্ডাক্টর চকলেট হাতে নিয়ে বলল, এইডা কি দিলেন?
-- একটাকা।
-- কই একট্যাকা? এইডা তো চকলেট।
-- এই চকলেটটাই একটাকা।
কন্ডাক্টার চোখ কপালে তুলে বলল, চকলেট আবার এক ট্যাকা হয় কেমনে?
-- আমারে তো মুদিওয়ালা খুচরা এক টাকার পরিবর্তে একটি চকলেট দিয়েছে। কাজেই এইটাই এক টাকা।
-- আপনি না হয় মুদির কাছ থিকা নিছেন আমি কারে দিমু?
-- কেন মুদিওয়ালাকে।
-- কোন মুদিওয়ালাকে দিমু?
-- যে মুদিওয়ালার কাছে খরচ করিস।
-- সেই মুদিওয়ালা যদি না নেয়?
-- তাহলে খেয়ে ফেলবি।
আমার সাথে তর্ক করতে করতে পিছনের সিটের ভাড়া দাবী করতেই ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করল, ভাড়া কত রে?
-- কই যাইবেন?
-- শ্যামলী।
-- বারো ট্যাকা।
ভদ্রলোক ১০ টাকার নোটের সাথে দুটি চকলেট দিয়ে দিল।
কন্ডাক্টর চকলেট হাতে নিয়ে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল, আপনারা কি শুরু করলেন?
ভদ্রলোক সম্ভাবত পুরান ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা। কন্ডাক্টরের আচরণের মতই মুখ ভেঙচিয়ে বলে উঠল, কি শুরু করমু আবার, তুই তো ভাড়া কম নিবি না, কাজেই তোরে উচিৎ ভাড়া দিলাম।
-- এইডা উচিৎ ভাড়া দিলেন?
-- উচিৎ ভাড়া না তো কম দিছি? তুই বারো ট্যাকা চাইছস, তরে বারো ট্যাকা দিছি।
-- চকলেট আবার এক ট্যাকা হইলো কবে?
-- হেইডা মুদিওয়ালা, বিড়িওয়ালা আর হোটেলওয়ালারে গিয়া জিগা। হেরা চকলেটরে একট্যাকা বানাইলো কবে। খুচরা না থাকলেই হেরা কাস্টমাররে এক ট্যাকার বদলে একটা চকলেট, দুই ট্যাকার বদলে দুইডা চকলেট, তিন ট্যাকার বদলে তিনডা চকলেট সুন্দর কইরা হাতে ধরায়া দেয়।
-- আমার কাউরে জিগানের দরকার নাই। আমার ট্যাকার দরকার, ট্যাকা দ্যান?
-- আমার বাড়িতে ট্যাকার টাকশাল আছে তো, দোকানদাররা ট্যাকার বদলে আমারে চকলেট দিব, আর আমি তরে হেই চকলেট থিকা ট্যাকা বানায়া চকচকা নোট আইনা দিমু।
-- দুই টাকা না দিলে কম দিয়া যান, আপনারে আমি চকলেট দিতে কই নাই তো?
কন্ডাক্টর এ কথা বলায় ভদ্রলোক আরো ক্ষেপে গিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। আঙ্গুল উঁচিয়ে শাসিয়ে বলে উঠল, এই কথা কম কবি, সামনের ভদ্রলোক ভাড়া কি কম দিছিলরে? তুই কম নিবি না দেইখা ভদ্রলোক খুচরা না থাকায় একশ ট্যাকার নোট বাইর কইরা দিছে। তুই তাতেও বেকাতেরা কথা কইছস। তোর বেকাতেরা কথা সহ্য করবার না পাইরা বেচারা পকেট থিকা চকলেট বাইর কইরা দিছে, তাতেও তুই উল্টাপাল্টা কথা কইছস। তুই ট্যাকাও কম নিবি না, আবার দিলেও উল্টাপাল্টা কথা কবি। তুই পাইছসটা কি? তুই কি কন্ডাক্টর হয়া লাটবাহাদুর হইছোস রে?
-- জি না স্যার, আমরা লাটবাহাদুর হই নাই, আমরা ট্যাকার জন্য কাম করি, আপনি বেশি প্যাচাইলা কথা না কয়া ট্যাকা দ্যান, বলেই দুই সিট পিছনে গিয়ে আরেকটি যুবক ছেলের কাছে ভাড়া চাইতেই ছেলেটিও একটি পাঁচ টাকার নোট-এর সাথে তিনটি চকলেট দিলে কন্ডাক্টর চিৎকার দিয়ে উঠে, উস্তাদ গাড়ী থামান। এভাবে চকলেট দিলে মহাজন লাটে উঠবো। আমাগো কপালে আর ভাত জুটবো না। চকলেট খায়া থাকতে হইবো।
ওর চিৎকারে সবাই হো হো করে হেসে উঠল। ড্রাইভার রাস্তার সাইটে গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞেস করল, কি হইছেরে, চিল্লাস ক্যা?
-- প্যাসান্দারে খুচরা ট্যাকার বদলে খালি চকলেট দেওয়া শুরু করছে।
-- কয়ডা দিছে?
-- ছয়ডা।
-- এতে খারাপ কি দেখলি, ভালই দিছে, তর মুখে তো মিডাই নাই, সবসময় বেকাতেরা কথা কস, হের লাইগা তরে চকলেট দিছে মুখটা মিডা করোনের লাইগা। তরে যে কিল গুঁতা দেয় নাই এই তো বেশি। আমারে দুইডা চকলেট দিয়া যা, খায়া লই।
সামনে গিয়ে ড্রাইভারের হাতে চকলেট দেওয়ার সময় রাগে গজগজ করতে করতে বলল, ভাত আর খাওন লাগবো না, আইজ থিকা গাড়িতে বইসা চকলেট খাইবেন আর বাসায় গিয়া মহাজনের গুতানি খাইবেন। নেন চকলেট খান, ভালো কইরা খান।
ড্রাইভার হাসতে হাসতে বলল, আমারে মহাজনে গুতাইলে আমার জান বাঁচবো, তয় সব প্যাসান্দার মিল্লা তরে গুতাইলে তর জান বাঁচবো না রে। বলেই বলল, আমারে দুইডা দিছস আর বাকী চারডা তুই খা, খায়া মুখটা মিডা কর।
কন্ডাক্টর ড্রাইভারের কাছ থেকে তার চিল্লানোর সমর্থন না পেয়ে বকবক করতে লাগল। যাত্রীরা ড্রাইভারের কথা শুনে খুশি হয়ে ধন্যবাদ দিল।
ফার্মগেটে নামার সময় আরেক ভদ্রলোক নামতে নামতে গেটে দাঁড়ানো কন্ডাক্টরকে উদ্দেশ্য করে বলল, আমার পকেটেও দু’টা চকলেট আছে, এদু’টাও খেয়ে মুখটা মিঠা করে নে।
ভদ্রলোকের কথা শুনে কন্ডাক্টর রাগে বড়বড় চোখ করে তাকাল কিন্তু কোন কথা বলার সাহস পেল না।

বিকাল বেলা ফার্মগেট থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মোরে তাকিযে দেখি মুদিওয়ালা করিম দোকানে বসে আছে। সামনে তিনজন দাঁড়িয়ে কথা বলছে। করিমকে দেখেই আমার মেজাজ গরম হয়ে গেল। ওই ব্যাটার জন্যই আজ বাসের ভিতর কন্ডাক্টরের সাথে ঝগড়া করতে হলো। পকেটে টাকা থাকতেও বাঁকাতেরা কথা শুনতে হলো। সে যদি খুচরা টাকার পরিবর্তে চকলেট না দিয়ে টাকা দিত তাহলে কন্ডাক্টর আমার সাথে বাজে ব্যবহার করার সুযোগ পেত না। পকেটে হাত দিয়ে দেখি দু’টি চকলেট তখনও আছে। আস্তে আস্তে দোকানে গিয়ে প্রয়োজন নেই তরপরেও বললাম, একটা ম্যাচ দেন।
করিম মুখ তুলে বলল, দুই ট্যাকা খুচরা আছে?
আমি স্বাভাবিক কণ্ঠেই বললাম, আছে।
আছে বলার পরে কোন রকম উচ্চবাচ্য না করে নতুন প্যাকেট খুলে একটি ম্যাচ আমার হাতে দিল। আমি ম্যাচটি হাতে নিয়ে দু’টি চকলেট তার হাতে দিতেই চোখ কপালে তুলে বলল, এটা কি দিলেন?
আমি করিমর প্রশ্নে ইচ্ছা করেই কিছুটা আশ্চার্যের ভাব ধরে বললাম, কেন? দু’টা এক টাকার নোট।
আমার কথা শুনে করিম বত্রিশটা দাঁতা খিঁচিয়ে উঠল, এই মিয়া কন কি? চকলেট আবার এক ট্যাকার নোট নাকি?
তার দাঁত খিঁচানো দেখে ধমক দিয়ে বললাম, এই মিয়া বত্রিশটা দাঁত ঢেকে কথা বলেন।
-- তার মানে?
-- তার মানে বোঝেন না। সকাল বেলা খুচরা দুই টাকার বদলে দুইটা চকলেট আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন, সেটা কি ভুলে গেছেন?
-- আমি দোকানদার, আমি খরিদ্দাররে ট্যাকার বদলে চকলেট দিতেই পারি।
-- আপনি দোকনদার হয়ে যদি খরিদ্দারের হাতে খুচরা একটাকার নোটের বদলে চকলেট দিতে পারেন, তবে আমি খরিদ্দার হয়ে দোকানদাররে খুচরা একটাকার নোট হিসাবে চকলেট দিতে পারবোনা কেন?
-- আমি ব্যাবসা করি, আমি দিতে পারি, আপনি দিতে পারেন না।
-- আপনি দোকানদার হয়ে টাকার বদলে চকলেট দিবেন, আর আমি টাকার টাকশাল, চকলেটটাকে টাকা বানিয়ে আপনার হাতে নতুন নোট দিব। ব্যাটা বড় চালাক হইছো না---হ।
-- এমন সময় দোকানের পাশে দাঁড়ানো তিনজনের একজন এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করল, কি হইছে রে করিম?
করিম শান্ত বালকের মত বলল, দেখেন না ভাই, ইনি আমার কাছ থিকা দুই ট্যাকা দামের একটা ম্যাচ নিয়া ট্যাকা না দিয়া দুইডা চকলেট দিছে।
লোকটি ঘুরে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে একরকম মাস্তানী ভঙ্গিতেই জিজ্ঞেস করল, আপনি টাকার বদলে চকলেট দিলেন কেন?

ব্যাটা মনে হয় এই এলাকার স্থানীয় মাস্তান টাস্তান হবে। তার তাকানোর স্টাইল আর বলার ভঙ্গি দেখে কিছুটা ভরকে গেলাম। তারপরেও সাহস নিয়ে ভদ্রলোককে সকালের ঘটনা খুলে বললাম। ভদ্রলোক আমার কথা শুনে করিমকে জিজ্ঞেস করল, কিরে করিম, ভাইরে সকাল বেলা তুই খুচরা ট্যাকার বদলে চকলেট দিছিলি?
-- হ দিছিলাম।
-- ক্যান চকলেট দিলি ক্যান?
-- ক্যাশে খুচরা ট্যাকা আছিল না।
-- হের কাছেও তো খুচরা ট্যাকা নাই, হে তরে কি দিব?
ভদ্রলোকের প্রশ্ন শুনে করিম তার দিকে না তাকিয়ে নিচের দিকে মুখ করে বসে থাকল। লোকটি করিমের দিকে আঙ্গূল তুলে বলল, এই করিম, মুখ তুইলা আমার কথার জবাব দে। খুচরার দোহাই দিয়া দশ আনার চকলেট একট্যাকা দাম ধইরা দিতে তখন খ্যাঁচা ধরোস না, তহন তর ব্যাবসা হয়, মজা লাগে। আর খরিদ্দারে তর দেওয়া একট্যাকার চকলেট একট্যাকা হিসাবে দিলেই খ্যাচা ধরোস। তুই তো আমারেও চকলেট দিয়া পকেট ভারায়া দিছোস রে। আট ট্যাকার সিগারেট কিনলেই দুইট্যাকার বদলে দুইডা চকলেট হাতে ধরায়া দ্যাস। ধান্দার ব্যবসা তো ভালই শিখছোস। বলেই পকেটে হাত দিয়ে পাঁচটি চকলেট বের করে করিমের দিকে ছুঁড়ে মেরে বলল, এই নে, পাঁচ ট্যাকা দিলাম। একটা গোল্ড লীফ সিগারেট দে?

করিম আমার দিকে কিছুক্ষণ বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থেকে ছড়ানো ছিটানো চকলেটগুলি কুড়িয়ে ঠোঙায় রেখে দিল। অনিচ্ছা সত্বেও প্যাকেট খুলে একটি গোল্ডলীফ সিগারেট ভদ্রলোকের হাতে দিতেই অপর দুইজন এগিয়ে এসে বলল, এই ভাই তো দেখি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়া ভাল জিনিস দেখায়া দিল। এইটা তো আমরাও বুঝবার পরি নাই। দোকনদাররা তো এতদিন আমাগো বোকা বানায়া ভাংতির অজুহাতে চকলেট ধরায়া দিছে। ডিজিটাল যুগেও দেখি আমরা দোকানদারের চালাকি বুঝবার পারি নাই। হেরা কৌশলে আমাগো ডিজিটাল ব্যাক্কল বানাইছে।

লোকগুলো প্রথমে আমার সাথে কর্কশ ব্যবহার করলেও শেষের দিকে খুব সম্মান দিয়েই কথা বলতেছিল। তাদের কথায় নিজের কাছে আনন্দ লাগল। করিমকে তার কৃতকর্মের জন্য ধমকানোর কারণে মনের মধ্যে পুষে রাখা চকলেট বিড়ম্বনার জ্বালা কিছুটা হলেও কমে গেল।

অপরদিকে করিমের রাগ মনে হয় আমার উপরে বেড়ে গেল। তার দিকে চাইতেই দেখি সে আমার পানে বড়বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে। তার বড় চোখ করে তাকানো দেখে তাড়াতাড়ি বাসায় রওনা হলাম। বাসার কাছাকাছি এসে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি করিম তখনও আমার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে।
০০০ সমাপ্ত ০০০
(ছবি ঃ ইন্টারনেট=সংশোধিত রিপোষ্ট)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৪
৪৯টি মন্তব্য ৪৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×