(উৎসর্গঃ আহমেদ জী এস এবং আবুহেনা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম- এই দুই মুরুব্বীকে)
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
এখন বুঝি শ্বশুরগুলো
আগের মত নাই
নতুন নতুন বিয়ে করেও
শান্তি পায় না তাই।
আগের দিনে আমরা যখন
শ্বশুর বাড়ি যেতাম
ঝাল তরকারী পিঠাপুলি
কত কি যে খেতাম!
সিরনী, ফিরনী, পায়েস সে তো
গামলা ভরে দিত
নাক ডুবিয়ে খাওয়ার পরও
ফেরৎ কি আর নিত!
শ্বাশুরীগুলো জামাই আদরে
হত্তা দিয়ে পড়তো
আম খাওয়াতে শ্বশুর মশাই
নিজেই গাছে চড়তো।
না না করলেও দুধের বাটি
ঢেলে দিত পাতে
মিস্টি মধুর আমগুলো সব
শ্বাশুরী ছিলতো হাতে।
বাড়ির বড় মোরগগুলো
জামাইর নামে রেখে
অনেক দিন ভর পাহারা দিত
জামাই আসবে দেখে।
হাজার অভাব থাকতো ঘরে
তারপরেও ঐ সব
জামাই ছাড়া খাওয়া হতো না
যতই হোক উৎসব।
জামাইর নামে মুরগীগুলো
শিয়াল যদি খেত
শ্বশুর-শ্বাশুরীর গালির চোটে
ওরাও লজ্জা পেত।
বড় বড় মাছ ভাজা আর
বিশাল বড় রান
বুড়ো মুরগীর মাংস খেতে
দিতাম কি যে টান!
মাঝে মাঝে খাসি খেতে
শ্বশুর বাড়ি যেতাম
হাড্ডি ছাড়া মাংসগুলো
সানকি ভরে পেতাম।
এত খাওয়ার পরও শ্বাশুরী
বলতো ঘরে ডেকে,
"কি খেলেন গো দামান বাপু
সবই দিলেন রেখে"?
খাওয়ার চোটে নাক তল তল
তাতেও আফসোস তার
এমন কথা শ্বাশুরী ছাড়া
কেউ কয় না আর।
নিজেই এখন মরার পথে
শ্বশুর-শ্বাশুরীও নাই
সে সব স্মৃতি পড়লে মনে
কান্না আসে তাই।
আছেন যারা তরুণ যুবক
শ্বশুর বাড়ি যাবেন
অনেক খেলেও মোদের মত
সেই মজা কি পাবে?
ছবিঃ গুগল
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৩