১৯৪৭ সালে
দ্বিজাতি তত্বের ভিত্তিতে ভারত
ভাগ হবার আগেই মুলত তৎকালিন
বাংলার পূর্ব অঞ্চলে অথ্যাৎ
আজকের বাংলাদেশে বিহারিরা
তৎকালিন অবিভক্ত বিহার-উড়িষ্যা
রাজ্য থেকে আগমন করে ৷ উল্লেখ্য
বঙ্গভঙ্গ পরর্বতী বৃহত্তর অবিভক্ত
বিহার -উড়িষ্যা রাজ্য আজকে
ঝাড়খন্ড -বিহার -উড়িষ্যা নামক
তিনটি রাজ্যে বিভক্ত ৷এই
এলাকাটিতে টাটার কারখানা
অবস্থিত হওয়ার পরও অর্থনীতি অবস্থা
দুর্বল ছিল বর্তমানে কিছুটা উন্নত ৷
দরিদ্রতার কারনে এই বিহারিদের
এক সময় মরিশাস , ফিজি , পশ্চিম
ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ , দক্ষিন আফ্রিকা
নামিবিয়ায় পরাধীন কৃষি শ্রমিক
হিসেবে আদমপাচারকারিরা
প্রেরন করত এদের বেশের ভাগ
সেখানে স্থায়ী ভাবে বসবাস
করতে শুরু করে ৷ এই এলাকাগুলো
থেকে প্রচুর পরিমান মুসলিম বিহারি
ও নিম্ন বর্নের হিন্দু বিহারি তথা
কোলা ডম মুন্ড গুরিয়া সাঁওতাল
বিভিন্ন সময় আগমন করে বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে
শুরু করে ৷ সে সময় ৫১ লক্ষ মাহাজির তথা
উদ্বাস্তু পাকিস্তানে গমন করে তার
মধ্যে ১০ লাখ বিহার থেকে আসা
মাহাজির বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহন
করে । এই মুসলিম বিহারিরা মুলত
তৎকালিন পূর্ব বাংলার পাটকল
গুলোতে কাজ গ্রহন করে উল্লেখ্য
স্বাধীনতা পৃর্বে বাংলাদেশের
পটকল গুলোর বেশীর ভাগ শ্রমিক ও
উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা ছিল বিহারি
এর কারন হিসেবে ধরা হয় পাটকল
গুলোর মালিকেরা ছিল
অবাঙ্গালীরা ৷ আর ১৮৭০ সালে
সৈয়দপুরে ইংরেজ সরকার একটি রেল
কারখানা স্থাপন করে তখন
ইংরেজরা ৭০০০ বিহারীকে শ্রমিক
হিসেবে নিয়ে আসে এবং এখন
পর্যন্ত সৈয়দপুরেই সব থেকে বেশি
বিহারী বসবাস করে ৷ বিহার থেকে
আগত মুসলিম বিহারিদের সাথে
বাংলার মুসলিম অধিবাসীদের
ধর্মের অনেক মৌলিক পার্থক্য ছিল
কারন বিহারি মুসলিমরা বেশীর
ভাগ ছিল শিয়া মতালম্বী ও রেজা
খানের অনুসারি ও সামান্য কিছু
ছিল কাদিয়ানি মতালম্বী
অন্যদিকে বাংলার অধিবাসীদের
বেশীর ভাগ হানাফী মাজহাবের
অনুসারী ৷তাদের এই পৃথক ধর্ম মত
তাদের স্থানীয় বাঙ্গালী
মুসলিমদের থেকে অনেকটা দুরে
ঠেলে দিয়েছিল ৷তবে একটি বড়
সংখ্যা বিহারি স্থানীয় বঙ্গালী
মুসলিমদের সাথে তাদের ধর্মীয়
মতাদর্শের পার্থক্য না থাকায়
তাদের সাথে মিলতো ভাবে
বসবাস করতে শুরু করে আর ৷ মুক্তিযুদ্ধে
সময় বিহারিদের নিয়েই
পাকিস্তান সরকার আল শামস
বাহিনী গঠন করে ছিল ৷ যদিও
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কিছু বিহারি মুক্তিযোদ্ধার ও কথা
পাওয়া যাই ৷
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৫