somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাকিস্তানী ও বাংলাদেশী মানসিকতায় অপূর্ব মিল

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশ ভাগ হয়েছে ১৯৭১ সালে। তবে চরিত্র ভাগ হয়নি বিন্দু মাত্র। পরাজিত পাকিস্তানের তথাকথিত মুসলমান শিক্ষা নেয়নি পরাজয় থেকে। এদিকে বাংলাদেশের তথাকথিত মুসলমানেরাও বিজয় থেকে শিক্ষা নিতে চরমভাবে ব্যর্থ। পাকিস্তান সরকার আমেরিকাকে বন্ধুপ্রতিম ধারণা করে। আফগানিস্তানে ওদের যুদ্ধ রসদ সরবরাহ করতে সহায়তা করে। তথাপিও আমেরিকা প্রতিনিয়ত নিরীহ পাকিস্তানিদের সন্ত্রাসের নামে ড্রোন দিয়ে শহীদ করে।

সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়টা হচ্ছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে তাদের দেশের অ্যানজেলি জোলিকে যখন পাকিস্তানের ড্রোন কর্তৃক আহত-নিহতদের সমবেদনা জানাতে প্রেরণ করে, তখন পাকিস্তানি তথাকথিত মুসলমানেরা জোলিকে এক নজর দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। একজন বেগানা মহিলাকে এক নজর দেখার জন্য যারা বেকারার হয়ে যায়, তারা আর যাই হোক মুসলমান হতে পারে না। তারপর সেই অ্যানজেলি জোলি হচ্ছে চরম ইসলাম বিদ্বেষী আমেরিকার নাগরিক, নাপাক (বড় ইস্তেঞ্জা করেও পানি ব্যবহার করে না)। যাকে সর্বান্তকরণে ঘৃণা করা উচিত- তাকে দেখার জন্য পাকিস্তানের তথাকথিত মুসলমানেরা উদগ্রীব। এহেন মানুষদেরকে যদি মূর্খ বলা না হয়, তবে এই পৃথিবীতে মূর্খ কে? বরং এদেরকে মূর্খ বললে ‘মূর্খ’ শব্দটির ইজ্জত নষ্ট করা হয়। এরা আসলে গন্ডমূর্খের চেয়েও অধম। আরবী ভাষায় যাদেরকে বলা হয়- জালুমান জাহুলা অর্থাৎ “আত্মধ্বংসকারী গন্ডমূর্খ।”

এবার আমাদেরকে নিয়ে আলোচনা। পার্শ্ববর্তী হিন্দুদেশ ভারত, প্রতিদিন ৪/৫ জন বাংলাদেশী মুসলমানকে শহীদ করে। ফেলানীর মতো নিরীহ কিশোরীকে হত্যা করে তারকাঁটায় ঝুলিয়ে রাখে, বিচারে খুনি হিন্দু বিএসএফ সদস্য বেকসুর খালাস। শুধুমাত্র বেকসুর খালাসই নয়, হিন্দু বিচারক হয়তোবা তার খাস কামরায় নিয়ে গিয়ে তাদেরকে মিষ্টি খাইয়েছিল, সনাতন ধর্মের প্রতি তার ভালবাসার এহেন বহিঃপ্রকাশের জন্য। আমাদের দেশে আগত প্রতিটি নদীতে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে ভারত বাঁধ দিচ্ছে, সীমান্তের চারদিকে ফেন্সিডিলের কারখানা স্থাপন করে এদেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করতে ফেন্সিডিলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে।

প্রায় অর্ধশত টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে জাতীয় চরিত্র ধ্বংস করতে ২৪ ঘণ্টা মগজ ধোলাইয়ের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের টিভি তাদের দেশের জনসাধারণদের দেখতে দেয়া হয় না। আমাদের উৎপাদিত দ্রব্য তাদের দেশে রফতানি করতে দেয়া হয় না। এহেন শক্র দেশের চিত্র জগতের নায়ক-নায়িকা কিংবা টেন্ডুলকারের মতো খেলোয়াড় যখন আমাদের দেশে আসে তখন আমাদের দেশের ‘জালুমান জাহুলা’রা ওদেরকে সম্বর্ধনা জানাতে কিংবা এক নজর দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কী তফাৎ আমরা অর্জন করেছি পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে? একমাত্র তারতম্য হচ্ছে পাকিস্তানি রাজাকারদের থেকে মুক্ত হয়ে আজ আমরা ভারতীয় রাজাকারদের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছি। ’৭১-এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল বটে তবে সেই স্বাধীনতা যেন আজ অস্তমিত। এ যেন ইতিহাসের করুণ পুনরাবৃত্তি।

ঐতিহাসিকভাবেই বাঙালি জাতি কখনই বেশিদিন তাদের স্বাধীনতা ধরে রাখতে পারেনি, অন্তত পাক-ভারত উপমহাদেশের ইতিহাস তা-ই জানান দেয়। বেঈমান মীরজাফরের বংশধরেরা যেখানে দিনরাত খেটে যাচ্ছে সার্বভৌমত্ব দিল্লির কাছে হস্তান্তর করতে; তখন চেতনাহীন দেশপ্রেমিকরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বেডরুমে অর্ধশোয়া অবস্থায় ভারতীয় টিভি সিরিয়ালে মত্ত।

হে মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতার সূর্য আরো কিছুদিন মধ্যগগনে অবস্থানের সুযোগ দিন, জাতীয় বেঈমানদের হয় হিদায়েত দান করুন কিংবা নিশ্চিহ্ন করে দিন। (আমীন)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩১
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় প্রতারক চক্রের সন্ধানঃ সতর্ক হোন!

লিখেছেন মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৪

একটি নতুন ভারতীয় প্রতারক দল সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য এই পোস্টের অবতারণা। সবাই পড়বেন দয়া করে।

গত ২৬ মার্চ ২০২৪ তারিখে এক ভারতীয় দাদা 01677119057 নাম্বার থেকে ফোন করে জিজ্ঞেস করল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি কি কারো অবিশ্বাস নষ্ট করি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০১




আমার কাজ হলো বিশ্বাস সুদৃঢ় করা, তাতে অবিশ্বাসী মাইন্ড খেয়ে বসে কেন? বিশ্বাসেই আমি পেয়েছি সরল সঠিক পথ। সেটাই আমি বিশ্বাসীগণকে বলছি। অবিশ্বাসী তাতে ক্ষেপে যায় কেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জ্বীনের মসজিদ

লিখেছেন সাদা মনের মানুষ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৩


প্রচলিত রূপকথা অনুযায়ী কোন এক অমাবস্যার রাতে জ্বীন-পরীরা এই এলাকা উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় এলাকাটি পছন্দ করে । তারপর তারা মাটিতে নেমে এসে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করে, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

×