somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু ম্যাথমেটিকাল মজার তথ্য!

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গুগল (Google), একটি ওয়েব সাইটের নাম বলেই আমরা সবাই জানি! কিন্তু কোথায় থেকে এই নাম এসেছে, তা সবাই না জানলেও অনেকেই জানি! এই নামটি আসলে একটি ম্যাথামেটিকাল নাম্বার কে বোঝায়! ১৯২০ সালে একজন গণিতবীদ, এডওয়ার্ড কেসনার (Edward Kasner) এই নাম্বারটা যখন ঠিক আবিষ্কার নয়, কিছু চিন্তা করছিলেন, তখন তিনি তার ভাতিজা নয় বছর বয়সী মিল্টন সিরোটাকে (Milton Sirota) জিজ্ঞেস করেছিলেন এই নাম্বারের কি নাম দেয়া যায়, সেই বাচ্চা মিল্টন দুষ্টামির ছলেই বলেছিলো, গুগল (Googol)!

এবার আসুন নাম্বারটার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই! এটা সহজে বলতে গেলে, বলতে হয়, টেন টু দা পাওয়ার অপ হান্ড্রেড় (10100)! মানে, একের পর একশোটা শুন্য! এই নাম্বার যে কতো বড়ো, সেটা প্রথম দেখায় বোঝা যায় না! তাই আসুন একটু চিন্তা করে নেই কতো বড়ো নাম্বার এটা!

হিসেবটা এই রকম:

১০ টু দা পাওয়ার অপ ১ (101) =১ ০

১০ টু দা পাওয়ার অপ ২ (102)=১০০

১০ টু দা পাওয়ার অপ ৩ (103)=১০০০

………………………

গুগল (Googol) = 100000000000000000000000000000000000000000000000000000000000
00000000000000000000000000000000000000000!

সমুদ্র তীরে কখোনো গিয়েছেন? অথবা মরুভুমিতে? দেখেছেন সেখানে বালুয় ভরা! কখোনো গুনে শেষ করা যাবে সেখানে কতোটা বালু রয়েছে? একটা বালুর কণা কতো ছোট! এটম কিন্তু তার চেয়েও ছোট! খালি চোখে দেখাই যায় না! মাইক্রোস্কোপ লাগে দেখতে হলে! রাতের আকাশ দেখে কখোনো ভেবেছেন এই মহাকাশটা কতো বিশাল? কতো বিলিয়ন বিলিয়ন তারা রয়েছে ওই মহাকাশে!?

এবার ধরুন এই পুরো পৃথিবীকে শুধু বালু আর বালু হিসেবে ধরে নিন! মাটি, পাহাড়, গাছ, পালা, পশু, পাখি, মানুষ, ঘর, বাড়ি, নদী, সাগর, সব কিছু! তার সাথে ধরে নিন মহাকাশের সব গুলো তারা, গ্রহ, চাঁদ, উপগ্রহ, ধুলো, মানে সব কিছু যা দেখা যায় ও ছোয়া যায়, সব কিছুকেই বালুর কণাতে পরিবর্তন করুন! সব গুলো বালুর কণাকে এক সাথ করুন! এবার সেই বালুর কণা গুলোকে এটমে পরিবর্তন করুন (বালুর কণা খালি চোখে দেখা যায়, এটম কিন্তু খালি চোখে দেখাও যায় না!)! এবার বলুনতো কতোগুলো এটম হয়েছে?!

বলতে পারছেন না?! ম্যাথমেটিকালি সংখ্যাটা ধরা হয়েছে টেন টু দা পাওয়ার অপ সেভেন্টিএইট(1078)!! মানে ১ এর পর ৭৮টা শুন্য বসালে যেই নাম্বার হবে, ঠিক ততোটাই এটম পাবেন! আর সেখানে গুগল এর সংখ্যা হচ্ছে টেন টু দা পাওয়ার অপ হান্ড্রেড়! এটি মহাবিশ্বের সব গুলো এটমের সংখ্যার চেয়েও বড়ো! কল্পনা করা যায় ও না কতো বড়ো এই সংখ্যাটি!

এই সংখ্যাটি আসলে ধরা হয় যখন "ইনফিনিটি" টাইপের নাম্বারের প্রয়োজন হয়ে থাকে হাইয়ার ম্যাথ করতে গেলে, তখন!

এবার আসুন গুগল সংখ্যাটির চেয়ে বড়ো কিছু আছে কি না, সেটা জেনে নেই! আছে! নাম গুগলপ্লেক্স (1010100)! এই সংখ্যাটি হচ্ছে টেন টু দা পাওয়ার অপ গুগল! মানে টেন টু দা পাওয়ার অপ টেন টু দা পাওয়ার অপ হান্ড্রেড়! এটির মান আসলে কল্পনা ও করা যায় না! তবুও একটু ধারনা করা হয়েছে! আর সেটি হচ্ছে এতোখন যেই মহাবিশ্বের কথা বলেছি, সেই মহাবিশ্বের যতো তারা, গ্রহ, উপগ্রহ, ধুলো, বালি, রয়েছে, আর যতোটুকু খালি জায়গা (মহাশুন্য) রয়েছে, সব কিছুই ধরে নিন মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে দখল করার জন্য! উপরেও মাটি, নিচেও মাটি! পুরোটা জায়গাই মাটি দিয়ে ভরা! এবার আসুন সেই মাটির ভেতরে যে খালি চোখে দেখা যায়না তেমন এটম রয়েছে, সেই সব গুলো এটমকে গোনা শুরু করি! সংখ্যাটা ধারনা করা হয়ে থাকে টেন টু দা পাওয়ার অপ ওয়ান হান্ড্রেড় এন্ড টুয়ান্টি এইট (10128) ! গুগলপ্লেক্স (1010100) তার চেয়েও অনেক বিশাল বড়ো নাম্বার বলেই ধারনা করা হয়ে থাকে!

এই পৃথিবীর সব কিছুই ম্যাথমেটিক্স দিয়ে হিসেব করা যায়! শুধু মাত্র মানুষের আত্মা ছাড়া! আর তাই ম্যাথমেটিক্সই আসলে সৃষ্টিকর্তার ভাষা!

সুত্রঃ এপেলো রানা
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪
১২টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×