শুধু আমিই না আমার রুমমেটও ঠাসকি খায়া গেল!!!!
সঙ্গীতের প্রতি আমার টান অনেক আগে থেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন এক বন্ধুর কাছে শুনে এলাম সঙ্গীত শিল্পী আহমদ বুখাতিরের নাম। সে এত আগ্রহ করে বলছিল যে আমার তো আর সহ্য হচ্ছিল না। কখন যে বাসায় যাব আর গান শুনব। তবে সে খুব বেশি তথ্য আমাকে দিতে পারল না। তবে এতটুকু বললো যে তার গান শুনে সে খুব মজা পায়। ত আর কি করা। ক্যাম্পাস শেষে বাসায় ফিরে দেখি বিদ্যুৎ নাই। মনটাই গেল খারাপ হয়ে। অস্তির লাগছিল কখন আহমদ বুখাতিরের গান শুনব! অবশেষে এল। মানে বিদ্যুৎ এল। ইউটিউবে গিয়ে গান চালু করলাম আর উইকিপিডিয়াতে তার বায়োডাটা দেখছিলাম। যা পেলাম তা অবাক করার মতো।
সে একজন ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী। বাড়ি সংযুক্ত আরব আমিরাতে। জন্ম ১৯৭৫ সালে। ছোটবেলায় সে কুরআন তিলাওয়াতের জন্য বিখ্যাত ছিল। বিশ বছর পর থেকে সে সঙ্গীত চর্চা শুরু। তার অন্যতম প্রতিভা হল বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই গান গাওয়ার যোগ্যতা। এ যোগ্যতাই তাকে অনেক সম্মান দিয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভবে পেয়েছে প্রোটোকল। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তার গান অনেকবার সর্বোচ্চ বিক্রিত হওয়ার রেকর্ড অর্জন করেছে।
২০০০ সালে ইনফাত আল-লাইল নামে এ্যালবাম ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২০০১ সালে আল-কুদস-তুনাদিনা সেরা ব্যবসা সফল এলবাম হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ২০০৩ সালে ফারতাগি এলবাম এর কপি বিক্রি হয় ইউএই ও ইউরোপে প্রায় ১০০,০০০। ২০০৪ সালে সামতান এলবাম ইউএই ও ইউরোপে প্রায় ১৫ লক্ষ্য কপি বিক্রি হয়। ২০০৫ সালে দানি এলবামের কপিও প্রায় সামতান এলবামের সমসংখ্যক বিক্রি হয় অর্থাৎ ১৫০০০০০টি। আবার ২০০৭ সালে হাসানাত এলবামের কপি বিক্রি হয় আড়াইলাখ।
এসকল তথ্য আমার কাছে আজগুবি মনে হচ্ছিল কিন্তু বারবরা উইকিপিডিয়াতে রিপ্রেশ দিয়ে বুঝলাম এগুলো আজগুবি নয় সত্যই লিখেছে। যাহোক এখন থেকে আমিও তার ভক্ত হয়ে যাব কি না ভাবছি তখনই আমার এক রুমমেটের আগমনে আমিও তাকে এ তথ্যগুলো শুনালে সে প্রথম বিশ্বাস করতে চায়ই নি। পড়ে যখন দেখালাম তখন সেও ঠাসকি খাইয়া গেল।
আজ এ পর্যন্তই........
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫