১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। সাড়া দেশে অনেক ‘উৎসাহ-উদ্দীপনার’ সাথে পালিত হয়। শুধু আওয়মীলীগিই না ১৫ ই আগস্ট শোক দিবস পালন করে জামায়াত-শিবির ও কথিত অন্যান্য ইসলামিক চেতনাধারীরা। ভাবেছেন এ আবার কেমন কথা জামাতীরাও কি এরশাদের মতো ডিগবাজি খাইল না বি এন পি’র জন্মবিদবস পালন না করার মতো শুভবুদ্ধি উদয় হল? ঘটনার গভীরে যাওয়া দরকার।
না ! যেটা ভাবছেন সেটা না। জামাতীরা ডিগবাজী খায়নি বা তাদেরও কোন শুভবুদ্ধির উদয় হয় নি বরং তাদের যে বাঁকা রগ ছিল তাই আছে বহাল তবিয়তে। তারা শোকদিবস পালন করে ঠিকই কিন্তু বাঙ্গালি জাতীর জনকের মৃত্যু উপলক্ষে না বরং তাদের কোন নেতা কোন এক সময় বক্তব্য দেওয়ার পর রাস্তায় লোকজনের হাতে (জামায়াত শিবিরের মতে আওয়ামিলীগের তোফায়েল আহমদের নেতৃত্বে) মার খেয়ে আহত হয় ১২ ই আগস্ট। নাম তার আব্দুল মালেক। সে মারা যায় ১৫ ই আগস্ট। আর তার মৃত্যুতে জামায়াত শিবির ১৫ ই আগস্টের দিনকে স্মরণ করে রাখার জন্য পালন করে শোক দিবস যার নাম তারা দিয়েছে ইসলামি শিক্ষা দিবস । তারা এ দিনকে ইসলামি শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করে এজন্য যে, বলা হয় ১৯৬৯ সালের ১২ই আগস্ট দিনে তৎকালীন পাক্স্তানের শিক্ষা নীতি কি হবে এর উপর আলোচনায় আব্দুল মালেক সেকুলার শিক্ষার পরিবর্তে মৌলবাদী ধর্মীয় শিক্ষার উপর জোড় দিয়ে আলোচনা করেছিল। আর মৌলবাদি শিক্ষার উপর জোর দেওয়ার ফলেই তার করুণ পরিণতি। উল্লেখ্য তাদের ইতিহাসে আরও বলা হয় আব্দুল মালেক হল প্রথম শহীদ ইসলামী শিক্ষা অধীকার আন্দোলনে।
চেতনাহীনরা এরকম আরো অনেক দিবস পালক করে যা বাংলাদেশের মূল জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে না। তাদের এ অবস্থার উন্নয়নে আগ্রীম ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান রইল যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় হোউক বাঙালি চেতনার।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮