somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ক্যামেরার প্রতিবাদ
একটা কথা আমার কাছে ভাল লাগে। কথাটা একজন সাহিত্যিকের। তাকে একবার বলা হয়েছিল আপনি কেন বই এর বা গল্পের শুরুতে মুখবন্ধ লেখেন না যাতে লোকজন অল্পকথায় বুঝতে পারে তিনি বলেছিলেন যারা আমার পুরো গল্প পড়ে ঘটনা বুঝতে পারে না তারা আবার অল্প কথায় কিভাবে বুঝবে? তাই আমি ল

মোহাম্মদ দেইফ এর কথা কি মনে পড়ে ?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইসরাইলের জন্য দেইফ এক আতংকের নাম কিন্তু কেন?

গাজা যুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের এত সেনা-ক্ষয়ের নায়ক মুহাম্মাদ দেইফকে ইসরাইলের জনগণের কাছে অনেকটা আড়াল রেখেছে তেল আবিবের কঠোর শাসনে থাকা গণমাধ্যমগুলো। বড় জোর তাকে অপরিচিত এক ব্যক্তি বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। তারপরেও কি থেমে থাকে সবকিছু! সত্য প্রকাশ হয়ে পড়ে সময়ের ব্যবধানে। যেমনি প্রকাশ হতে শুরু করেছে মুহাম্মাদ দেইফের পরিচয়।

ফিলিস্তিনের জনগণের কাছে চ্যাম্পিয়ন এই কমান্ডারের পরিচয় তিনি একজন ‘সামরিক পণ্ডিত’ যার আরেক পরিচয় ‘গেরিলা যুদ্ধের ছাত্র’। আসুন তার সম্পর্কে এবার একটু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।

হামাসের এই কমান্ডারের ওপর পাঁচবার বোমা হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। তবে আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি প্রতিবারই বেঁচে গেছেন। যতবার জীবন ফেরত পেয়েছেন ততবারই যেন ঈমান আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছে আর মধ্যপ্রাচ্যের দাম্ভিক সামরিক শক্তি ইসরাইলকে উপেক্ষা করেছেন প্রবল পরাক্রমে। ইসরাইলের হামলা-ই যেন হামাসকে উপহার দিল এক দুর্ধর্ষ কমান্ডার যার নাম মুহাম্মাদ দেইফ।

যুদ্ধে ইসরাইল যতই শক্তি নিঃশেষ করে দেয়ার জন্য হামাসকে সতর্ক করেছে, যতই বলেছে রকেট ও টানেল ধ্বংস করা হবে ততই বর্বর শক্তির হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছেন মুহাম্মাদ দেইফ। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ওপর থেকে আট বছরের অবরোধ তুলে না নিলে যুদ্ধবিরতি হবে না।

১৯৬৫ সালে গাজার খান ইউনুস শহরের এক উদ্বাস্তু শিবিরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই বীর কমান্ডার। কিন্তু কে জানতেন এই শিশুই একদিন ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনে এত বড় বীরের ভুমিকা পালন করবেন!

গত ২০ বছর ধরে এ বীর যোদ্ধা হামাসের সামরিক অভিযানের সঙ্গে জড়িত। তার নেতৃত্বে বহু হামলা হয়েছে ইসরাইলের ওপর। বহু হামলার পরিকল্পনা তিনিই করেছেন। ইসরাইলের সেনা অপহরণের নেতৃত্ব কিংবা পরিকল্পনা নিয়ে তিনি কাজ করেছেন, হাতে নিয়েছেন গাজার অভ্যন্তরে টানেল নির্মাণের এক কঠিন প্রকল্প যাতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালানো যায় সহজেই।

সময়ের ব্যবধানে ২০০২ সালে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় দেইফকে। ইসরাইলের হাতে পূর্বসুরি সালাহ শেহাদের’র শাহাদাতের পর তিনি এ দায়িত্ব পান।

এ দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকেই দীর্ঘদিন ধরে মুহাম্মাদ দেইফ গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। তারও আগে ১৯৮০’র দশকে তিনি ইসলামি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। বায়োলজির এ ছাত্র ইখওয়ানুল মুসলিমিনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং গাজার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রধান হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

বলা হয়ে থাকে, ২০০০ সালে যখন দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শুরু হয় তখন তিনি ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে পরিচালিত কারাগার থেকে মুক্তি পান অথবা কারা ভেঙে বের হতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় অনেক বেশি ক্ষুব্ধ হয় মানবতার শত্রু ইসরাইল। অথচ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মুহাম্মাদ দেইফের ওপর শকুনের মতো তীক্ষ্ণ নজর ছিল ইসরাইলের। হামাসের সামরিক শাখার প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরপরই ইসরাইল পঞ্চমবারের মতো হামলা চালিয়েছিল দেইফের ওপর। ওই গুপ্ত হামলার লক্ষ্য ছিল চিরদিনের মতো দেইফকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া।

কিন্তু এবারের হামলাও ব্যর্থ হলো। অবশ্য, পঞ্চমবারের হামলায় মুহাম্মাদ দেইফ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন। হামলার পর গুজব ছড়িয়ে পড়ে তার পা ও দেহের নীচের অংশ প্যারলাইজড হয়ে গেছে যদিও তা কখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি। এরপর তিনি একদমই গোপন কোথাও চলে গেছেন; জনসমক্ষে আর দেখা যায় নি। তার জীবন সম্পর্কেও তেমন বিস্তারিত কিছু জানা যায় না।

২০০২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মাসে ইহুদিবাদী ইসরাইল অ্যাপাচি হেলিকপ্টার থেকে দেইফের গাড়ি লক্ষ্য করে দুটি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। সে সময় তিনি এক শোকানুষ্ঠান থেকে ঘরে ফিরছিলেন। আহত হয়ে এ যাত্রাও বেঁচে যান কমান্ডার দেইফ।

২০০৩ সালের আগস্ট মাসের কথা। এবারও আরেক হামলা থেকে বেঁচে যান তিনি। সেদিন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, আল-আউয়াল এবং আধ্যাত্মিক নেতা শেখ ইয়াসিনের সঙ্গে মুহাম্মাদ দেইফ বৈঠক করছিলেন একটি ভবনের নিচ তলায়। ইহুদিবাদী ইসরাইল ওই ভবনের ওপরের তলায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। হামলায় সবাই বেঁচে যান তবে সামান্য আহত হন।

দফায় দফায় আহত হওয়ার পর শোনা যায় দেইফ তার প্রতিনিধিত্ব দিয়েছেন তারই সহযোগী আহমাদ জাবারিকে। শত্রুদের মধ্যে তার নাম রয়েছে “ক্যাট উইথ নাইন লাইভস”। ধীরে ধীরে গাজার অভ্যন্তরে তার সুনাম-সুখ্যাতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনেক শক্তভাবে।

অতি সম্প্রতি মুহাম্মাদ দেইফের কয়েকটি ছবি পাওয়া গেছে যা ২০ বছর আগের; খানিকটা অস্পষ্টও বটে। এ থেকেই জানা গেল তার অস্তিত্ব। তবে তিনি কোথায় থাকেন তা সাধারণ লোকজন তো বটেই বিশিষ্টজনদেরও অনেকে জানেন না। বলা হয়ে থাকে- শুধুমাত্র হামাসের দু জন নেতা কমান্ডার দেইফের অবস্থান সম্পর্কে জানেন। ধারণা করা হয় তাদরেই একজন হচ্ছেন ইসমাইল হানিয়া। এছাড়া, মনে করা হয় হামাসের এই কমান্ডারের সঙ্গে একমাত্র ইসমাইল হানিয়ার সারসরি যোগাযোগ আছে।

মুহাম্মাদ দেইফ ছদ্মবেশ ধারণ করার বিষয়ে এতটাই পারদর্শী যে, মুহূর্তেই জনতার মধ্যে মিশে যেতে পারেন। রহস্যময় এ কমান্ডার কোনো প্রযুক্তির সঙ্গে থাকেন না; ব্যবহার করেন না কোনো মোবাইল ফোন বা অন্য কিছু। কারণ একটাই; শত্রু ইসরাইলের যেকোনো ধরনের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যাতে কোনোভাবেই তার চিহ্ন না পায়।

সম্ভবত তিনি এ কৌশল ও সতর্কতা অবলম্বন করেন তারই বিজ্ঞ পরামর্শদাতা ইয়াহহিয়া আইয়াশের শাহাদাতের কারণে। আইয়াশ শহীদ হয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। মোবাইল ফোন ট্রাক করে ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা ফাঁদে ফেলে তাকে শহীদ করে। শহীদ আইয়াশ একান্ত তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে মুহাম্মাদ দেইফকে গড়ে তোলেন বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে; সেই সঙ্গে গড়ে ওঠে হামাসের সামরিক শাখার কমান্ড কাঠামো।

যে দেইফ নিয়ে এতক্ষণ এত কথা হলো সেই দিয়েফের পুরো নাম কিন্তু জানা হলো না। তার পুরো নাম মুহাম্মাদ দিয়াব আল-মাসরি এবং তিনি পরে গেরিলা নাম ধারণ করেন দিয়েফ যার আরবি অর্থ হচ্ছে মেহমান বা অতিথি। হামাসের এই জাঁদরেল কমান্ডারের স্বাভাবিক অভ্যাস হচ্ছে- ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করা।

নাম প্রকাশে হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মুহাম্মাদ দেইফ হচ্ছেন “অতিশয় বিনয়ী মানুষ, বিচক্ষণ এবং খুব নরম সুরে কথা বলেন।” তার পরম ভালোবাসার বিষয় হচ্ছে ‘সামরিক কৌশল’। দিনের বেশিরভাগ সময় কাটান তিনি সামরিক কৌশল নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে।

রহস্যের জালে ঘেরা এই কমান্ডারের কোনো বক্তব্য-বিবৃতিও পাওয়া দুর্লভ বিষয়। ২০১২ সালে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে ‘পিলার অব ডিফেন্স’ নামে সামরিক অভিযান চালানোর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। গাজা থেকে হামাসের রকেট হামলা ঠেকানোর নামে ইসরাইল ওই অভিযান চালায়।

১৯৯৬ সালে ইয়াহহিয়া আইয়াশ শাহাদাতবরণ করার পর মুহাম্মাদ দেইফ নিজেই ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব পালন করা শুরু করেন। আইয়াশ নিজেও ছিলেন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। ইসরাইল মনে করে- মুহাম্মাদ দেইফের কারণেই হামাস বহু হামলায় সফলতা পেয়েছে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত ইসরাইলের অভ্যন্তরে যেসব হামলা হয়েছে তার মূল পরিকল্পনাকোরী ছিলেন হামাসের এই কমান্ডার।

হামাসের কৌশলগত উন্নয়নে তিনিই বড় ভূমিকা রেখেছেন বলে মনে করে ইসরাইল। ইসরাইলের সামরিক কর্মকর্তারা আরো মনে করেন- হামাসের কাসসাম রকেটের আবষ্কিারক হলেন কমান্ডার মুহাম্মাদ দেইফ। বলা হয়- ইরান উন্নত রকেট প্রযুক্তি দেয়ার আগ পর্যন্ত এই রকেটের পাল্লা ছিল ৮ কিলোমিটার।


বিগত বছরের
অন্য দিগন্ত থেকে নেওয়া
অন্য দিগন্ত থেকে নেওয়া
অন্য দিগন্ত থেকে নেওয়া
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×