> নারী মহাজগতের সব থেকে আলোচিত
প্রাণী।
> নারীর প্রতিপক্ষটির নাম পুরুষ, নিজের
বানানো অলীক বিধাতার পার্থিব
প্রতিনিধি।
> পুরুষমাত্রই প্রতিভাবান, তার
বিধাতার চেয়ে প্রতিভাদীপ্ত।
> প্রতিপক্ষ কখনো কারো মুল্য
বা অধিকার স্বীকার করে না;
এমনকি অস্তিত্বই স্বীকার
করে না অনেক সময়।
> পুরুষ নারীকে দেখে দাসীরূপে,
করে রেখেছে দাসী; তবে স্বার্থে ও
ভয়ে কখনো স্তব করে দেবীরূপে।
> পুরুষ এমন একটি প্রাণী, যার নিন্দায়
সামান্য সত্য থাকতে পারে; তবে তার
স্তব সুপরিকল্পিত প্রতারণা।
> পুরুষ নারীকে সাজিয়েছে অসংখ্য
কুৎসিত অভিধায়; তাকে বন্দি করার জন্য
তৈরি করেছে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র;
উদ্ভাবন করেছে ঈশ্বর,
নিয়ে এসেছে প্রেরিতপুরুষ।
> পুরুষের যৌথচেতনার মহাজাগতিক
ভীতির মতো বিরাজ করে নারী।
> পুরুষ এমন এক সভ্যতা গড়ে তুলেছে,
যা নারীকে সম্পূর্ণ
বন্দি করতে না পারলেও ধ্বংস
হয়ে যাবে বলে পুরুষের ভয় রয়েছে; যার
নাম পিতৃতান্ত্রিক সভ্যতা।
> পুরুষতন্ত্রে সূর্য পুরুষ, নারী আঁধার।
> আদি থেকে পুরুষ সব কিছু
তৈরি করেছে নিজের কাঠামোতে; তার
বিধাতা পুরুষ, তাঁর প্রেরিতদূত পুরুষ, প্রথম
সৃষ্টি পুরুষ; নারী ওই পুরুষের
সংখ্যাতিরিক্ত পুতুল।
> পুরুষের সভ্যত্যায় পুরুষ মুখ্য, নারী গৌণ;
পুরুষ শরীর, নারী ছায়া; পুরুষ প্রভু,
নারী দাসী; পুরুষ ব্রাহ্মণ, নারী শূদ্রী।
> বাঙলার সমাজে শয়তানের চেয়েও
নিন্দিত নারী
> সর্বহারা পুরুষ নিজে শোষণ
হয়ে অন্যকে শোষণ
করতে দ্বিধা করে না।
> বিত্তবান শ্রেণীর নারী পরগাছার
পরগাছা, বিত্তহীন শ্রেণীর
নারী দাসের দাসী।
> শোষণে সব শ্রেণীর পুরুষই অভিন্ন;
শোষণে মিল রয়েছে মার্কিন
কোটিপতির সাথে বিকলাঙ্গ
বাঙালি ভিখারির, তারা উভয়েই পুরুষ,
মানবপ্রজাতির রত্ন।
> পুরুষতন্ত্র শুধু বল প্রয়োগ
করে অধীনে রাখতে চায় নি নারীকে,
তাকে স্তবস্তুতিও পান করিয়েছে।
> পুরুষ মনে করে নি যে তার জীবনের
সার্থকতা পুত্র, পিতা, গৃহস্ত হওয়াতে;
বরং এই
ভূমিকাগুলো পেরিয়ে যাওয়াকেই
মনে করেছে পৌরুষ।
> পুরুষ নারীকে গৃহে বন্দী করেছে,
তাকে সতীত্ব শিখিয়েছে,
সতীত্বকে নারীর জীবনের মুকুট
করে তুলেছে, যদিও লাম্পট্যকেই
করে তুলেছে নিজের গৌরব।
> পুরুষ উদ্ভাবন
করেছে নারী সম্পর্কে একটি বড় মিথ্যা,
যাকে সে বলেছে ‘চিরন্তনী নারী’
> পুরুষ নারীকে বলেছে দেবী, শাশ্বতী,
কল্যাণী গৃহলক্ষ্মী, অর্ধেক কল্পনা;
কিন্তু
চেয়েছে চিরন্তনী দাসী হিসাবে।