কুরআন যখন নাজিল হয় তখন দুনিয়াতে জাতির অভাব ছিল না। চীন, মংগোলিয়, তাতার সবই ছিল । বরং ইহুদিরা দুনিয়ার মানে উল্লেখ করার মত কোন জাতি ছিল না।
তারপরও আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বার বার বনী ইসরাইলের কথা বলেছেন। কেন চীন না?
এখন না ২০১৭ তে এসে আমরা বুঝতে পারছি বনী ইসরাইল কি জিনিস। কিন্তু ১৪৫০ বছর আগে কুরআনে কেন? এ প্রশ্ন কি অবিশ্বাসীদের মনে আসে না?
আসলে সে অবাক হয়ে খেয়াল করত- কুরআন কতটা সত্য। দুনিয়াতে এখন এই অল্প সংখ্যক বনী ইসরাইল-ই কিভাবে নিরীহ মানুষকে দৌড়ের উপর রেখেছে।
আল্লাহ পাক জানতেন। তাই তিনি উনার বানী কোরআনে বনী ইসরাইলের সর্ম্পকে বার বার আলোচনা করেছেন। চীন নিয়ে নয়।
আল্লাহ পাক ১৪৫০ বছর আগে আমাদেরকে এও জানিয়েছেন -
"হে বনী-ইসরাঈল! আমার অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, যা আমি তোমাদের দিয়েছি। আমি তোমাদেরকে বিশ্বাবাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি"। (২:১২২)
এখনও কি অবিশ্বাসীরা বা ইসরাইল প্রেমীরা দেখছে না- বনী ইসরাইলের আল্লাহ প্রদত্ত শ্রেষ্ঠত্ব? এখনও কি বিশ্বাস হয় না এ কুরআন সত্য। এটা বিশ্ব প্রতিপালক এক আল্লাহ থেকে এসেছে।
সূরা বনী ইসরাইল থেকে কয়েকটি আয়াতের অর্থ:-
আমি বনী ইসরাঈলকে কিতাবে পরিষ্কার বলে দিয়েছি যে, তোমরা পৃথিবীর বুকে দুবার অনর্থ সৃষ্টি করবে এবং অত্যন্ত বড় ধরনের অবাধ্যতায় লিপ্ত হবে। (4)
অতঃপর যখন প্রতিশ্রুতি সেই প্রথম সময়টি এল, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করলাম আমার কঠোর যোদ্ধা বান্দাদেরকে। অতঃপর তারা প্রতিটি জনপদের আনাচে-কানাচে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ল। এ ওয়াদা পূর্ণ হওয়ারই ছিল। (5)
অতঃপর আমি তোমাদের জন্যে তাদের বিরুদ্ধে পালা ঘুয়িয়ে দিলাম, তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও পুত্রসন্তান দ্বারা সাহায্য করলাম এবং তোমাদেরকে জনসংখ্যার দিক দিয়ে একটা বিরাট বাহিনীতে পরিণত করলাম। (6)
তোমরা যদি ভাল কর, তবে নিজেদেরই ভাল করবে এবং যদি মন্দ কর তবে তাও নিজেদের জন্যেই। এরপর যখন দ্বিতীয় সে সময়টি এল, তখন অন্য বান্দাদেরকে প্রেরণ করলাম, যাতে তোমাদের মুখমন্ডল বিকৃত করে দেয়, আর মসজিদে ঢুকে পড়ে যেমন প্রথমবার ঢুকেছিল এবং যেখানেই জয়ী হয়, সেখানেই পুরোপুরি ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। (7)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০