সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্ট খুব সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সাজানো গোছানো, পরিকল্পনায় শৈল্পিক ছোয়া দৃষ্টি নন্দন করেছে । প্রতি মিনিটে মিনিটে প্লেন উঠছে নামছে, হাজার হাজার যাত্রী এবং লাগেজ শত শত গন্তব্যে চলে যাচ্ছে, ব্যবস্থাপনাটা অনেকটা পোষ্ট অফিসের মত, লাগেজের ট্যাগ ই ঠিকানা সেই অনুযায়ী বিভিন্ন গন্তব্যে বিভিন্ন বিমানে লাগেজ চলে যাচ্ছে, অথচ’ কোথাও কোন কর্মব্যস্ততা চোখে পড়ে না, হাউ কাউ চিল্লাচিল্লি ওখানে বেয়াদবীর পর্যায়ে পড়ে। মানুষের আচরনে ভদ্রতা ও সৌজন্যতা অনুকরনীয়।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ছবির মত করে সাজানো রাস্তাঘাটে ধূলো নেই এক ফোটাও চওড়া মসৃন রাস্তা কোথাও যানজট চোখে পড়েনা। রাস্তার পাশে সবুজ ঘাস বিভিন্ন ডেকরেটিভ গাছের কেয়ারি শৈল্পিক ভাবনা নিয়ে পরিকল্পনা করা। কুয়ালালামপুর আসলে হাইরাইজ বিল্ডিং এর শহর যেদিকে চোখ যায় শুধু হাইরাইজ বিল্ডিং নির্মানের দৃশ্য উন্নয়নের সোপান বেয়ে এগিয়ে যাওয়া। এক ইউএস ডলার সমান ৪.৪০ রিঙ্গিত যা ব্যংকক ভারতকে ছাড়িয়ে অনেক এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশক সুধু সিঙ্গাপুর এগিয়ে ১ডলার সমান ১.৪১ সিঃ ডলার।
মালয়েশিয়া প্রধানতঃ তিন জাতির সমাবেশের দেশ মালয়ী চাইনিজ এবং ইন্ডিয়ান । মালয়ী অনেক নারীকে দেখলাম বোরকা ব্যবহার করেন আবার শর্টস ও পরেন । চাইনিজরা ফুলপ্যান্ট এবং শর্টস ইন্ডিয়ানরা শর্টস ও ফুলপ্যান্ট ব্যবহার করেন । মালয়েশিয়ায় প্রচুর টুরিষ্ট আসেন তাদের কোন ড্রেস কোড নেই ফ্রী ড্রেসে ঘুরে বেড়ান নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই অনেক বড় বড় মসজিদ আছে পুত্রজায়ার কাছাকাছি যেখানে শুনেছি ৪/৫ লক্ষ মানুষ নামাজ পড়তে পারেন ধর্মীয় গোড়ামী বা বাড়াবাড়ি নেই এ ব্যাপারটা মনেহয় ওদের চেতনাতেই নেই তাই বিদেশীরা নিঃশঙ্ক চিত্তে দিনরাত ঘুরে বেড়াতে পারেন।
বর্তমানে কুয়ালালামপুরের চেয়ে পুত্রজায়াই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে সরকারী অফিস বড় বড় মন্ত্রনালয় সব পুত্রজায়াতে অবস্থিত। ওদের নিজেদের গাড়ীর কারখানা আছে নিজেদের পেট্রল আছে দাম কম তাই প্রচুর গাড়ী দেখাযায় রাস্তাঘাটে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত সারা শহর জুড়ে স্কাইট্রেনের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। একই কোম্পানীর বাস সার্ভিস ট্রেন সারভিস রয়েছে।
শহরজুড়ে অত্যাধুনিক টোল ব্যবস্থা রয়েছে তিন সিস্টেমে টোল প্লাজাগুলি কাজ করে স্মার্ট ট্যাগ সিস্টেমঃ এই পদ্ধতিতে গাড়ী না থামিয়ে প্রিপেইড ট্যাগটা শুধু সেনসরের দিকে তাক করলে মাসুল নিয়ে বার টা উঠে যায়। স্মার্টকার্ড সিস্টেমঃ এই পদ্ধতিতে গাড়ী খুব স্লো করে কার্ডটা টাচ প্যাডে ছোয়ালে মাসুল নিয়ে বার উঠে গিয়ে রাস্তা খুলে যায়। ম্যানুয়াল পদ্ধতি আমাদের দেশের মত তবে খুব কম ব্যবহৃত হয়। এইসব প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগানোর ফলে টোলপ্লাজায় জ্যাম না বাধিয়ে উভয়মুখী হাজার হাজার গাড়ী নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে।
সাইবার জায়া পুত্রজায়ার কাছাকাছি অত্যাধূনিক আইটি শহর হিসেবে গড়ে উঠছে এই জায়গায় অনেকগুলি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
নীচের ছবির লেকটি পুত্রজায়া সাইবারজায়াকে ছুয়ে আছে অপর পারে বিরাট কম্যুউনিটি সেন্টার ট্রেড সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।আমাদের হাতীর ঝিলের মত ক্যাবল ব্রীজ ও আলোর বিভিন্ন রং এর প্রক্ষেপন ওখানেও আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১